সক্রিয় হচ্ছে পুঁজিপতিরা
শেয়ারবাজার রিপোর্ট : নীতিনির্ধারকদের সক্রিয় ভূমিকায় ধীরে ধীরে পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতার দিকে যাচ্ছে। গত ৫ কার্যদিবস ধরে সন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছে দৈনিক লেনদেন । তবে প্রয়োজন অনুযায়ী প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ না বাড়লেও পুঁজিপতিদের সক্রিয়তা চলতি বছরের যেকোনো সময়ের তুলনায় বাড়ছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দৈনিক লেনদেন হয়েছে সর্বোচ্চ ৪১৭ কোটি টাকা। ফেব্রুয়ারি মাসে একদিনের সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ৩৪৬ কোটি টাকা। মার্চ মাসে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ৪৫২ কোটি টাকা। এপ্রিল মাসে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ৫৬৩ কোটি টাকা। মে মাসে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ৮৫৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ মাস অনুযায়ী লেনদেনের পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। এক্ষেত্রে পুঁজিপতি তথা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা আরো এগিয়ে আসলে বাজারে লেনদেনের চিত্রে আরো ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। তাই স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে পুঁজিপতিদের অপেক্ষায় পুঁজিবাজার দিন গুনছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, পুঁজিপতি বিনিয়োগকারী অর্থাৎ যারা বড় অঙ্কের লেনদেন করেন, তাদের জন্য বেশিরভাগ সিকিউরিটিজ হাউজ এবং মার্চেন্ট ব্যাংকে আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে। গত বছরজুড়ে ধারাবাহিক মন্দা বিরাজ করায় পুঁজিপতি বিনিয়োগকারীরা বাজারবিমুখ ছিলেন। ফলে অধিকাংশ হাউজ এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের সংরক্ষিত আসনগুলো ফাঁকা রয়েছে।
বিভিন্ন হাউজ কর্তৃপক্ষ জানায়, ধারাবাহিকভাবে লেনদেনের পরিমাণ বাড়ছে। এ অবস্থায় পুঁজিপতি বিনিয়োগকারীরা এগিয়ে আসলে বাজার আবারও স্বাভাবিক হবে। সরগরম হবে সিকিউরিটিজ হাউজ। এজন্য প্রয়োজন একটি স্থিতিশীল বাজার। আর সে চাবিকাঠি রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে। তাই বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে পুঁজিপতিদের বিকল্প নেই বলে জানান তারা।
এ ব্যাপারে ডিএসইর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান পরিচালক মোঃ শাকিল রিজভী শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে জানান, প্রতি বছর ধারাবাহিকভাবে মার্কেট প্রসারিত হচ্ছে। নিত্যনতুন জিনিষ এ মার্কেটে যুক্ত হচ্ছে। স্টেকহোল্ডারদের তৎপরতায় বাজার ভালোর দিকে যাচ্ছে। বর্তমান বাজার খুবই বিনিয়োগ উপযোগী বাজার। এখন ডে ট্রেডারের মতো কাজ না করে দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ করা দরকার। এতে এক পর্যায়ে বিনিয়োগকারীরা অনেক লাভবান হবেন বলে মনে করেন তিনি।