চাল আমদানিতে শুল্ক হ্রাস, প্রভাব নেই খুচরা বাজারে
শেয়ারবাজার ডেস্ক: সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ হ্রাসের ঘোষণার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চালের বাজারে এর প্রভাব কিছুটা লক্ষ করা গেছে। বাজারে ধানের দাম এবং মিলগেটে বস্তাপ্রতি চালের দাম একশ থেকে দেড়শ টাকা কমলেও খুচরা বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়েনি।
রবিবার খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে চাল আমদানির শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করার ঘোষণা দেন।
তবে কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
দাম না বাড়ালে চাল না দেওয়ার বিষয়ে মিলারদের হুমকি প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার কারও হুমকিতে মাথা নত করে না। মিলারদের চুক্তির জন্য পীড়াপীড়ি করিনি আমরা। তাঁরা তাদের হুমকি নিয়ে থাকুক। প্রয়োজন আমরা কৃষকের কাছ থেকে ধান বেশি করে কিনব। দরকার হলে ১৫ থেকে ২০ লাখ টন চাল কিনব।’
কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু হয়েছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার–নির্ধারিত মূল্য মণপ্রতি ১ হাজার ৪০ টাকা। আজও বাইরে ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে ধান বিক্রি হচ্ছে। ধানের দাম কমলে আমরা কৃষকের জন্য হাহাকার করি। আবার চালের দাম বাড়লেও হাহাকার করি।’
এই ঘোষণার পর দিনাজপুরের পাইকারি বাজারে কমতে শুরু করেছে ধানের দাম বস্তাপ্রতি চালের দাম কমেছে ১০০ টাকা। তবে খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়তে আরও সময় লাগবে বলে মনে করেন চালকল মালিক নেতারা।
কুষ্টিয়ার চাল মোকামে ইতিমধ্যে কেনাবেচা কমে গেছে। নতুন করে অর্ডার দিচ্ছেন না পাইকাররা। মিলগেটে নতুন চাল বস্তা প্রতি ৫০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। আর স্থিতিশীল পুরাতন চালের বাজার।
চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে বগুড়ার খুচরা ও পাইকারি বাজারে চালের দাম বাড়তে থাকলেও গদ এক সপ্তাহের মধ্যে সব ধরনের চালের দাম স্থিতিশীল। বগুড়া সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ বলেন, আশা করছি দু’এক দিনের মধ্যে চালের বাজারে এই প্রভাব পড়বে। আশা করছি চালের দাম কমে যাবে।
চালের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারিভাবে চার লাখ, জিটুজি পদ্ধতিতে দেড় লাখ মেট্রিক টন এবং বেসরকারিভাবেও চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
শেয়ারবাজার নিউজ/মি