আজ: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৫ জানুয়ারী ২০২১, মঙ্গলবার |

kidarkar

মারধর করে, ভয় দেখিয়ে স্বীকারোক্তি আদায়ের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি

শেয়ারবাজার ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জে মৃত কিশোরীর জীবিত ফিরে আসার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মারধর করে স্বীকারোক্তি আদায়ের সত্যতা পেয়েছে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি। এ ব্যাপারে হাইকোর্টে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি। প্রতিবেদন বলা হয়েছে, পুলিশ হেফাজতে (রিমান্ডে) থাকার সময়ে তদন্ত কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শামীম আল মামুন আসামিদের মারধর, ভয়ভীতি ও প্রলোভন দেখিয়ে স্বীকারোক্তি প্রদানে বাধ্য করে।

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে নারায়ণগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। শুনানি নিয়ে আদালত আগামী ১৩ই জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন করেছেন।

ওই প্রতিবেদনের মতামতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, আইন অনুসারে আসামিদের পুলিশি রিমান্ড মঞ্জুর ও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেটদের কোনো অনিয়ম বিচারিক অনুসন্ধানে প্রতীয়মান হয়নি।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন।
গত বছরের ২৪শে সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জে কথিত ধর্ষণ ও হত্যার শিকার স্কুলছাত্রীর জীবিত ফেরত আসার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ২৫শে আগস্ট ওই ঘটনার নথি তলবের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করা হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৪ঠা জুলাই ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরী নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ এলাকার বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়।
পরিবারের লোকজন তাকে না পেয়ে থানায় প্রথমে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) ও পরে মামলা করেন। ওই মামলায় পুলিশ আবদুল্লাহ, রকিব ও খলিলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। পরে গত ৯ই আগস্ট আদালতে জবানবন্দি দেন তারা। বলেন, ওই কিশোরীকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছেন। ঘটনার ৫১ দিন পর গত ২৩শে আগস্ট ওই কিশোরী ফিরে আসে।

কিশোরী আদালতকে বলে, ইকবাল নামের এক যুবককে বিয়ে করে বন্দর এলাকার এক ভাড়া বাড়িতে সংসার করছে সে।

 

শেয়ারবাজার নিউজ/মি

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.