আজ: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১২ জানুয়ারী ২০২১, মঙ্গলবার |

kidarkar

এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধু ধর্ষণ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ

শেয়ারবাজার ডেস্ক: সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে তুলে নিয়ে দল বেঁধে ধর্ষণ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। বাদীপক্ষের আইনজীবীর কোনও আপত্তি না থাকায় আদালত শুনানি শেষে অভিযোগপত্রটি আমলে নেন। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় অভিযোগপত্রের উপর শুনানি শেষে সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক চৌধুরী এই আদেশ দেন।

এরআগে, গত রবিবার (১০ জানুয়ারি) একই আদালতে বাদীপক্ষের আইনজীবী অভিযোগপত্র পর্যালোচনার জন্য সময় চাইলে আদালত দু’দিনের সময় দেন। এর আগে ৩ জানুয়ারি মামলার অভিযোগ গঠনের প্রথম শুনানি শেষে এই তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। ওই তারিখেও বাদীপক্ষের আইনজীবী অভিযোগপত্র পর্যালোচনায় সময় প্রার্থনা করেছিলেন। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে মামলার নথিপত্র বাদীপক্ষ না পাওয়ায় দ্বিতীয় দফায় আবার আবেদন করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বলেন, এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনা একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। আমরা আদালত থেকে অভিযোগপত্র পর্যালোচনা করার জন্য দু’দিনের সময় নিয়ে তা পর্যালোচনা করে দেখেছি, সব আসামিকে অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত করা হয়েছে। যার জন্য আমরা আপত্তি জানাইনি।

গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে এক তরুণীকে (২০) দল বেঁধে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় তার স্বামী বাদী হয়ে মহানগর পুলিশের শাহপরান থানায় ছয় জনের নাম উল্লেখ করে এবং দু’জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন। ঘটনার পর আসামিরা পালিয়ে গেলেও তিন দিনের মধ্যে ছয় আসামি ও সন্দেহভাজন দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ও র‌্যাব। গ্রেফতারের পর তাদের পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

পরে গত ৩ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের আট নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ও মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য। অভিযোগপত্রে সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজনকে ধর্ষণের জন্য অভিযুক্ত করা হয়। আসামি রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুমকে ধর্ষণে সহায়তা করার জন্য অভিযুক্ত করা হয়। আট আসামিই বর্তমানে কারাগারে আছেন।

শেয়ারবাজার নিউজ/মি

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.