কৃষি আইন নিয়ে ভারত সরকারের পাশে যুক্তরাষ্ট্র
শেয়ারবাজার ডেস্ক: ভারতে বিতর্কিত কৃষি আইন নিয়ে তীব্র আন্দোলনের মধ্যেই এবার আইনের পক্ষে মোদি সরকারের পাশে দাঁড়াল যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন উন্নত গণতন্ত্রের পরিচায়ক। তবে ভারত সরকার কৃষি আইন নিয়ে যে পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে দেশের বাজারই উপকৃত হবে। পাশাপাশি দেশটিতে বিদেশি বিনিয়োগের রাস্তাও তৈরি হবে।
এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে বাইডেন প্রশাসন সরাসরি স্পষ্ট করে দিতে চেয়েছে ভারত সরকার কৃষিক্ষেত্রে যে সংস্কার এনেছে, তা কৃষকদের স্বার্থেই এবং এই সংস্কারে কৃষকরা লাভবানই হবেন।
তবে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের পাশে দাঁড়ালেও যুক্তরাজ্য কৌশলে মধ্যপন্থা নীতি অবলম্বন করেছে। বিষয়টি নিয়ে তাদের পার্লামেন্টে একটি বিতর্কসভার আয়োজন করতে যাচ্ছে বরিস জনসন প্রশাসন। জনমতের ওপর ভিত্তি করেই বিষয়টি নিয়ে তাদের অবস্থান ঠিক করতে চায় ব্রিটেন।
এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বাইডেন প্রশাসন ভারত সরকারের পাশে দাঁড়ালেও নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে পার্লামেন্টে একটি বিতর্কসভার আয়োজন করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। জনমতের ওপর ভিত্তি করেই বিষয়টি নিয়ে তাদের অবস্থান ঠিক করতে চায় ব্রিটেন।
এদিকে ভারতের কৃষক আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন সুইডিশ পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থানবার্গ। মঙ্গলবার রাতে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে সিএনএনের একটি সংবাদ শেয়ার করে নতুন তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে তিনি তার অবস্থান পরিষ্কার করেন। বিক্ষোভরত কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন জনপ্রিয় মার্কিন পপ-তারকা রিয়ান্নাও। তার টুইটের কয়েক ঘণ্টা পর কিশোর জলবায়ু পরিবর্তন কর্মী গ্রেটা থানবার্গ, প্রাক্তন পর্ন তারকা মিয়া খলিফা এবং মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের ভাগ্নি মিনা হ্যারিসও কৃষকদের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন। রিহানা ও গ্রেটার টুইটের জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রিচা চাড্ডা, দিলজিৎসহ আরও অনেকে। কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিস ট্রুডোও। সেই সময় তাকেও একহাত নিয়েছিলেন কঙ্গনা। কানাডার আইন-শৃঙ্খলার প্রসঙ্গে তুলে কটাক্ষ করেছিলেন।
মঙ্গলবার কৃষকদের লালকেল্লা অভিযান ঘিরে উত্তাল হয়েছে দিল্লীর রাজপথ। লালকেল্লার প্রাচীরে আন্দোলকারীদের পতাকা লাগানোর ছবি আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে মামলা করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বুধবার আন্দোলনকারীদের একাংশের প্রকৃত পরিচয় নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন মমতা। তার বক্তব্য, যে ব্যক্তি লালকেল্লায় পতাকা লাগানোর চেষ্টা করছিলেন, তাকে অতীতে কয়েকজন বড় মাপের বিজেপি নেতার সঙ্গে একাধিক বার দেখা গেছে। ফলে আন্দোলনের প্রকৃত অভিমুখ গুলিয়ে দেয়ার কারণেই মঙ্গলবারের ওই গোলমাল সংগঠিত হয়েছিল কি না, এদিন সেই প্রশ্নও তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শেয়ারবাজার নিউজ/মি