আজ: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৭ মার্চ ২০২১, রবিবার |

kidarkar

বাইডেনের ১.৯ ট্রিলিয়ন ডলারের করোনা বিল পাস সিনেটে

শেয়ারবাজার ডেস্ক: করোনা মহামারি মোকাবিলায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সরকারের আনা ১.৯ ট্রিলিয়ন ডলারের কোভিড-১৯ বিল সিনেটে পাস হয়েছে।

স্থানীয় সময় শনিবার (৬ মার্চ) আনা এই বিল ৫০ ভোটে পাস হয়। বিপক্ষে পড়ে ৪৯ ভোট। ১ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ডলারের বিলটি এখন অনুমোদনের জন্য প্রতিনিধি পরিষদে যাবে। সেখানেও বিলটি পাস হবে বলে প্রত্যাশা বাইডেন প্রশাসনের। করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় বাইডেন এই বিল আনেন।

এক বিবৃতিতে বাইডেন জানান, পরিকল্পনার আওতায় চলতি মাসেই মার্কিন নাগরিকদের হাতে সহায়তা চেক চলে যাবে। আশা করা যাচ্ছে দ্রুত এই বিলে সই করা যাবে।

বাইডেনের পরিকল্পনা অনুযায়ী করোনার কারণে আর্থিক সংকটে থাকা মার্কিন পরিবারগুলো এককালীন ১ হাজার ৪০০ ডলার করে পাবে। এ খাতে বরাদ্দ হবে ১ লাখ কোটি ডলার। এছাড়া করোনা মহামারি মোকাবিলায় ৪১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার এবং ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য দেওয়া হবে ৪৪ হাজার কোটি ডলার। নতুন বাইডেন প্রশাসনের জন্য এই পরিকল্পনাকে এখন অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। বিলে কোভিড-১৯ এর টিকাদান কার্যক্রম এবং রোগ শনাক্তের পরীক্ষার গতি আরও বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

এই বিলের ফলে কমপক্ষে ১০ লাখ বাংলাদেশি আমেরিকানসহ সাড়ে ৮ কোটি মার্কিন নাগরিক উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। পর্বতসম এই বিলে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান আরও দৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাইডেন।

এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সকালে করোনা রিলিফ এ বিলটি দেশটির নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে পাস হয়।এই বিল পাসের ফলে বার্ষিক আয় ৭৫ হাজার ডলারের কম (স্বামী-স্ত্রীর দেড় লাখ ডলার) আয়ের মার্কিন নাগরিকরা মাথাপিছু ১৪০০ ডলারের চেক পাবেন। আর বেকাররা সপ্তাহে ৪০০ ডলার করে ফেডারেল ভাতা পাবেন আগস্ট পর্যন্ত। শনিবার মার্কিন নিম্নকক্ষে ২১৯-২১২ ভোটে পাস হওয়া এ বিলে রিপাবলিকানদের সাথে ডেমক্র্যাটিক পার্টির দুই কংগ্রেসম্যানও বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ফেডারেল ন্যূনতম মজুরি প্রতি ঘণ্টা ৭ দশমিক ২৫ ডলার নির্দ্ধারণ করা হয় ২০০৭ সালে। এরপর বাড়ানো হয়নি। এ অবস্থায় নিউ ইয়র্ক, ক্যালিফোর্নিয়াসহ বিভিন্ন স্টেটের ২৫টিরও অধিক সিটি ও স্টেট তার ন্যূনতম মজুরি ঘণ্টা বাড়িয়েছে।

প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলসি আশা করছেন যে, সময়ের দাবি অনুযায়ী সিনেটও বিলটি পাস করবে। সারা যুক্তরাষ্ট্রের ভয়ংকর একটি পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অনেক মানুষ দু’বেলা খাবার পাচ্ছে না। শিশুর অধিকাংশই পুষ্টিকর খাদ্যের অভাবে দিনাতিপাত করছে। এটা যুক্তরাষ্ট্রের দৃশ্য হতে পারে না।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.