বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ফেরদৌসী কাদরীর ম্যাগসেসে জয়
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: এশিয়ার নোবেল হিসেবে পরিচিত র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার পেয়েছেন আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ড. ফেরদৌসী কাদরী। ড. ফেরদৌসী কাদরীর পুরস্কার পাওয়ার তথ্যটি আইসিডিডিআরবি নিশ্চিত করেছে।
এ ছাড়া র্যামন ম্যাগসেসের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ড. ফেরদৌসীর পুরস্কার পাওয়ার তথ্য দেয়া হয়েছে। তিনি কলেরা ও টাইফয়েড রোগ নিয়ন্ত্রণে অবদান রাখায় এই পুরস্কার পেয়েছেন বলে জানানো হয়।
ম্যাগসেসের ওয়েবসাইটে বলা হয়, সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ, ইমিউনোলজি, টিকার উন্নয়ন ও ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ড. ফেরদৌসীর অবদান রয়েছে।
নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন, শিক্ষা ও চিকিৎসার কম সুযোগ-সুবিধার কারণে এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোতে প্রধান রোগ হিসেবে পরিচিত কলেরা ও টাইফয়েড। আইসিডিডিআরবির এই বিজ্ঞানী ওই দুটি রোগ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওয়েবসাইটে।
ড. ফেরদৌসী প্রাপ্তবয়স্ক, শিশু এমনকি ৯ মাস বয়সী শিশুদের জন্য টাইফয়েডের টিকা (ভিআইটিসিভি) উদ্ভাবনে এবং সেই সঙ্গে সাশ্রয়ী মূল্যে ওরাল কলেরা ভ্যাকসিন (ওসিভি) তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
ড. ফেরদৌসী ১৯৮৮ সালে আইসিডিডিআরবিতে যোগ দেন।
২০১৩ সালে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিজ্ঞানের অগ্রগতির জন্য বিশ্ব বিজ্ঞান অ্যাকাডেমির বার্ষিক সিএন রাও পুরস্কার পান ফেরদৌসী কাদরী।
২০১৪ সালে তিনি ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভস (ideSHi) প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠান বায়োমেডিক্যাল গবেষণা পরিচালনা, প্রশিক্ষণ কোর্স এবং একটি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিচালনা করে। বর্তমানে এটি বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক ক্রিয়াকলাপের একটি কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।
র্যামন ম্যাগসেসের ওয়েবসাইটে বলা হয়, লাখ লাখ মানুষের জীবন রক্ষা করেছে তার উদ্ভাবিত টিকা। এ জন্য ড. ফেরদৌসী কাদরীকে র্যামন ম্যাগসেসে অ্যাওয়ার্ড ফাউন্ডেশন আজীবন সম্মাননায় ভূষিত করেছে।
২০২১ সালের র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার পেয়েছেন ড. ফেরদৌসী কাদরীসহ পাঁচজন।