আজ: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৯ অক্টোবর ২০২১, মঙ্গলবার |

kidarkar

শীর্ষ ব্রোকারেজ- ডিলারের সাথে বিএসইসির বৈঠক

পতনের তিন ইস্যু‌‌ সনাক্ত, তারল্য বৃদ্ধিতে চার উদ্যোগ ও আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ

শেয়ারবাজার রিপোর্ট: দেশের শেয়ারবাজারে টানা ছয় কার্যদিবস পতন নিয়ে শীর্ষ ব্রোকারেজ ও ডিলারদের সাথে বৈঠক করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বৈঠকে পতনের তিনটি ইস্যু প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করা হয়েছে এবং তারল্য বৃদ্ধিতে চারটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সেই সাথে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।

মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসির নিজস্ব ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন এবং এ সময় বেশি নির্বাহী পরিচালক মোঃ সাইফুর রহমান, মূখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মোঃ রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া শীর্ষ ব্রোকারেজ ও ডিলারদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

পতনের প্রাথমিক তিনটি ইস্যুর মধ্যে দীর্ঘ উত্থানের পরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগকারী তাদের মুনাফা সংগ্রহ করছে।এজন্য প্রতিদিন শেয়ার বিক্রির জন্য চাপ থাকার কারণে সূচকের পতন হচ্ছে। এছাড়া বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল- ইসলাম পদত্যাগ ও সরকার থেকে দেয়া এক হাজার কোটি টাকার তহবিল ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে গুজব ছড়ানো হয়েছে। যে কারণে সুচকের পতন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

বৈঠক শেষে শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘একটি মহল পুঁজিবাজারকে অস্থিতিশীল করার জন্য গুজব ছড়াচ্ছে। এই বিষয়টিও তদন্ত করা হচ্ছে।’বিনিয়োগকারীদেরকে অভয় দিয়ে তিনি বলেন, ‘ভয় পাওয়ার কিছু নেই। পুঁজিবাজারের জন্য আমরা কাজ করছি, চেয়ারম্যানও কাজ করছেন। কোনো ব্যক্তি বা কোনো গোষ্ঠী যদি পুঁজিবাচারের কারসাজি করতে চায়, বা ক্ষতি করতে চায়, আমরা এখন অনেক শক্তিশালী, আমরা এখন আইডেনটিফাই করতে পরি।

তিনি জানান, তারা জানতে পেরেছেন যে, বিএসইসি চেয়ারম্যান পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন-এমন গুজব ছড়ানো হয়েছে কিন্তু এর কেনো ভিত্তি নেই। গুজব হিসেবে যা ছড়ানো হয়েছে, সেটি হলে পুঁজিবাজারের জন্য বরং ভালো হবে। কারণ, মহলটি ছাড়িয়েছে যে বিএসইসি চেয়ারম্যানকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর করা হবে।

শামসুদ্দিন আহমেদ আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে অনেকগুলো বিষয় নিয়ে আমাদের মতবিরোধ আছে। অবণ্টিত লভ্যাংশ ও আমানতের মধ্যে যে পার্থক্য সেটি নিয়েও আমাদের মত পার্থক্য আছে। আমাদের চেয়ারম্যান যদি ওখানে যান, তাহলে এটা তো আমাদের আর ব্যাখ্যা করে বলতে হবে না। তাহলে তো সেটা পুঁজিবাজারের জন্য আরও ভালো হবে, আরও সৌভাগ্যের বিষয় হবে। এটা তো লকোচুরির কিছু নয়। এটা নিয়ে গুজব ছড়ানো কিছু নেই।’

তিনি আরো বলেন, ‘পুঁজিবাজারে ক্ষুদ্র ও ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য ৯০০ কোটি টাকার যে তহবিল করা হয়েছিল, সেটির মেয়াদ ২০২৬ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সেটি সরকারকে আর ফেরত দেয়া লাগবে না। নতুন করে ব্যবহার করা যাবে।’বাজারে বর্তমানে পর্যাপ্ত পরিমাণে তারল্য রয়েছে

এদিকে তারল্য বৃদ্ধির বিষয়ে মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বাজারে তারল্য বাড়ানোর জন্য চার ধরনের আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে পুঁজিবাজারে মধ্যস্ততাকারী যেন বন্ড ইস্যু করলে কমিশন দ্রুত তা অনুমোদন দেবে। অবন্টিত লভ্যাংশের টাকা যাতে বন্ডে বিনিয়োগের মাধ্যমে তারল্য বাড়ানো এবং ব্যাংকের ২০০ কোটি টাকার পুঁজিবাজারে ব্যবহারে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাকের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারীদের ৯০০ কোটি টাকার ৫ বছর মেয়াদি ব্যবহারের সুযোগ দিয়েছে সরকার। এরমধ্যে কিছুটা অর্থ ব্যবহার করা হয়েছে। বাকি অর্থ কিভাবে দ্রুত বিনিয়োগে আনা যায়, তা নিয়ে কাজ করা হবে।

শেয়ারবাজারে গত কয়েকদিনের পতনে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু ঘটেনি বলে সভায় উপস্থিত সবাই একমত প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। মুনাফা গ্রহনের কারনে এমনটি হয়েছে। যাতে করে আগামিতে শেয়ারবাজার ঘুরে দাড়াবে বলে সবাই আশা ব্যক্ত করেছেন।

বৈঠকে উপস্থিত ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শরিফ আনোয়ার হোসেন বলেন, একটি ব্রোকার হাউজ থেকে ব্যাড প্লে করা হয়েছে। তাদের হাতে থাকা সব শেয়ার বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। মার্কেট প্রথমে ভালো থাকলেও পরে এ জন্য আর টেকেনি। এটার তদন্ত করে কঠিন শান্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ ওই হাউজের নাম কী- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘নামটা কী, মিটিংয়ে সেটা বলা হয়নি।’

শরিফ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা চাই, যারা এই ধরনের কাজ করে, বাজারকে মন্দার দিকে নিয়ে যায়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হোক। এ বিষয়ে আমরা সবই একমত হয়েছি।’

বৈঠকে শরিফ আনোয়ার হোসেন ছাড়াও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছাইদুর রহমান সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

৩৪ উত্তর “পতনের তিন ইস্যু‌‌ সনাক্ত, তারল্য বৃদ্ধিতে চার উদ্যোগ ও আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ”

  • নাসির says:

    দয়া করে পুজিবাজার রখা করুণ। বিনিয়োগকারিরা আতংকে আছি।

  • Anonymous says:

    আমা‌দের কে এত না বু‌ঝি‌য়ে ব্যবস্থা নি‌য়ে দেখান , আপনারা কিছু কর‌ছেন ~।

  • Mohammad Mahmudur Rahman says:

    দাম বাড়লে কুয়ারী দিতে পারেন, আর কমলে কাতা মুড়ি দিয়ে ঘুমান?

  • জন says:

    Protfolio তে তহবিল ইতোমধ্যেই কোম্পানীভেদে ২৫% থেকে ৩০% হাওয়া হয়ে গেছে। বিগত দিনের লাভ তলানীতে। কোন বিশ্লেষণ, মৌলভিত্তি এখন অার কাজ করছে না। সব অচলাবস্তা। হয়ত স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে। এখন সকল অাশার বাণী অর্থহীন। হয়ত সামনের দিনগুলোতে অারও খারাপ অবস্থায় যাওয়ার অপেক্ষা। শেয়ার বাজার এমনই হয়তো। এদেশের শেয়ার মার্কেট ভাল হওয়ার নয়। বিগত ছয়দিনের লস এক বছরেও কভার হবে না। কারণ ২০১০ সালের ক্ষত এখন ভাল হয়নি। অনেকে ক্ষত এখন শুকাইনি।

  • saimon says:

    200 crores of per bank should come to market directly not in bond. undistributed dividend directly comes to market as a stabilization fund soon. Change Bangladesh Bank governor immediate. stop Bex sukuk. Banks and financial institutions are to be allowed to issue sukuk bonds first.

  • Kazi Shahadat Hossain says:

    যখন সুচক বাড়ে শেয়ারের দামও বাড়ে তবে .১০ পয়সা থেকে .৩০ পয়সা। আবার বিপরীতে যখন সূচক পড়ে যায় তখন শেয়ারের দাম কমে ২ টাকা থেকে ১০ টাকা। এই সময়ে কোনো প্রকার নজরদারী পদক্ষেপ কেন নেওয়া হয় না??? দাম বাড়লে কোম্পানিকে চিঠি দিয়ে /তদন্ত দিয়ে দাম কমান। আর দম কমলে চিঠি দেন না কেন/তদন্ত দেন না কেন??? এমনিতেই অনেক বিনিয়োগকারী মার্কেট থেকে পুজি হারিয়ে চলে গেছে। নীতি ঠিক করে মিটিং করেন। কোন শেয়ারের দাম বাড়লেই তলব হয়, কিন্তু কমলে তলব হয়না কেন? একদম ভিত্তিহীন শেয়ার মার্কেটে আসে কিভাবে? শেয়ার বাড়ার যেমন নজরদারি করেন তেমনি কমার ও সব নজরদারী করতে হবে। বাংলাদেশ ষ্টক এক্সচেঞ্জ কমিশন কি কাজ করেন বুঝে উঠতে পারছি না?

  • ইন্জিঃ একেএম আমির হোসেন সরকার says:

    যে হাউজ থেকে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিহয়েছে তাদের নাম প্রকাশ করে দিন এবং তারুল্যসংকট৷ নিরসনের দ্রুত ব্যবস্থা করতেহব।

  • mostafiz says:

    বাংলাদেশের শেয়ার বাজার হলো সরকারী ভাবে একটা বৈধ পাতা ফাঁদ,
    এই ফাঁদে যে পা দিয়েছে – তার সব শেষ ( টাকা মারা দিয়ে মনে মনে কান্দে, ঘরে ঝগড়াঝাটি হয়, অশান্তি আরো বাড়ে)।
    এই হারামজাদা বাজারে – কোন শেয়ারের দাম বাড়লে চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয়, এর মানে হলো – এখান থেকে কেউ লাভ করে নিয়ে যেতে পারবা না, টাকা মারা দিয়া বাড়ী যাও।
    আবার শেয়ারের দাম কমলে ঐ শয়তানগুলা খুশি হয়, তখন তো সতর্ক করার নজির নাই যে শেয়ারের দাম কেন কমলো ???
    সুতরাং সময় থাকতে, যার যে কয়ডা টাকা আছে – উঠায়ে নিয়ে যাওয়াই শ্রেয় ।
    এই সিটার- বাটপারদের ভিড়ে না থাকাই ভাল।।

  • Md. Abdur Rahim Mondal says:

    Bangladesh ব্যাংকের exposure নীতিতে সব ব্যাংকের বিনিয়োগ exposure বেশি হয়েছে বলে যে গুজব রটেছে অথবা বাস্তবে BB এর exposure বেশি হওয়াতে ব্যাংকগুলোshare বেচতে বাধ্য হছছে বলে আমার মনে হয়।

  • Anonymous says:

    আমার এই মারকেটে থাকতে আর মন চায় না লস আর লস কি জে কির

  • monju says:

    আমার এই মারকেটে থাকতে আর মন চায় না লস আর লস কি জে কির

  • monju says:

    সবার কাছে অনুরোধ কেউ শেয়ার সেল করবেন না দেখি কতো দুর পরে

  • Moniruzzaman says:

    দাম কমার সময় অাপনারা কোথায় থাকেন, দাম বাড়ার সময় গা জ্বলে কেন অাপনাদের???

  • abib hussain says:

    amra kudro biniyog karaira jate sorvodantho na hoi atai prathona.

  • Swapan says:

    Plz we HV to know which time we will buy and what stock which HV fundamental strength .

  • রবি লাল সেন says:

    ২০১০ সালে সব টাকা পয়সা হারিয়ে এখন নিশ্বাস নিতে পারিনা এক হাজার টাকা লাভ
    হলে পাঁচ হাজার টাকা লস হয়? বোম্বে সেনসেক্স ২০১০ সালে সুচক ছিলো ৮৫০০+ আর এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়ে ৫৬০০০+ আর আমাদের কর্তাব্যক্তিরাই সব সময় ভাবেন ক্ষুদ্র বিনিয়োগ কারী দের কিভাবে ফকির বানানো যায় ?

  • মোঃ মিজানুর রহমান আগ্রাবাদ চট্টগ্রাম says:

    শেয়ারবাজার নিয়ে অনেক কথা বললেন।
    কিন্তু ইউনাইটেড এয়ার শেয়ার নিয়ে কোন পদক্ষেপ নেই, বিনিয়োগকারীদের অনেক টাকা এই খাতে বিনিয়োগ করে রেখেছে।

  • Anonymous says:

    আপনারা কেউই লসে শেয়ার বেচবেন না দেখি শয়তানেরা কিভাবে শেয়ার কিনে বাজার বারলে নজরদারি করেন কমলে কি করেন একটা কিছু করা দরকার আমাদের বাঁচান নাহলে রাস্তায় নেমে আসেত হবে সবাই ভালো থাকবেন এই কামনা করি

  • সুমন বনিক says:

    সকল ধরনের ব্যাবসায় কম বেশী লাভ হয়, অন্তত কোন ভাবেই সংসার চলে যায়, এই পুঁজিবাজারে ভিখারির থাল ছাড়া কিছুই থাকে না।

  • মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী says:

    দেখা যাক আগামী কাল মার্কেটের কি পজিশন দাড়ায়

  • MZN says:

    আশা করছি নতুন পর্ষদের করা প্রথম সিদ্ধান্তগুলো যথাযথ ভাবে বাস্তবায়িত হবে। তা না হলে পরবর্তীতে তাদের কথা বিনিয়োগকারীরা বিশ্বাস করবে না।

  • কাজিম উদ্দিন says:

    বাজার বাচান, আমাদের বাচান।

  • মো কবির। says:

    য়ারা কারসাদি করেছে তাহাদের সনাক্ত করে লাইসেন্স বাতিল করে দিন।নাহয় তারা সবসময় এইরকম করবে।

  • সমকালিন গল্প says:

    কার্যকর নজরদারির অভাব অথবা নজরদারিতে আন্তরিকতার অভাব। দেশে কত বড় বড় অপরাধিদের ধরা হচ্ছে। তাহলে এখানে ব্যর্থতা কেন?

  • আঃ রাজ্জাক says:

    কার কাছে বলবেন আর কে উত্তর দিবে।কোন সমাধান নাই।

  • লিমন says:

    যারা কারসাদি করেছে তাহাদের সনাক্ত করে সবার সামনে প্রকাশ করা এবং লাইসেন্স বাতিল করা উচিৎ।না হয় বুঝতে হবে এখানে ষড়যন্ত্র আছে। টানা ৬ দিন দাম কমে এতদিন কি ওনারা বসে মজা দেখছে নাকি। অকর্মণ্য ও অযোগ্য লোকজন সব বাদ দেওয়া দরকার।

  • লিমন says:

    টানা ৬ দিন দাম কমে আর এতদিন কি ওনারা বসে মজা দেখছে নাকি। অকর্মণ্য ও অযোগ্য লোকজন সব বাদ দেওয়া দরকার।

  • মোঃ ফেরদৌস রহমান says:

    তাহারা এখন কারসাজিকারিদের সনাক্ত করতে শিখেছন😝😝😂
    কিন্তু শাস্তি দিতে এখনো শিখেন নাই🤔🤔😜

  • রাজ says:

    বাজার একটু বাড়লেই বাংলাদেশ ব্যাংকসহ যারা বাজারের সাথে সংশ্লিষ্ট বাজারে বিভিন্ন মতপার্থক্যের কথা উল্লেখ করে আর বাজার পড়ে যায়। কথা বলার আগে আমাদের জানতে হবে 2010 সালে সূচক ও কোম্পানির সংখ্যা কত ছিল। বর্তমান সূচক ও কম্পানি সংখ্যা কত।আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত সেখানে 2010 সালে সূচক ছিল 10 থেকে 11 হাজার আর বর্তমান সূচক 69000 কিন্তু তারা এটা নিয়ে কোন কথা বলে না।তাহলে আমাদের দেশে নূন্যতম ২০০০০ সূচক থাকা উচিত এর আগে আমরা একটু কম কথা বলি।

  • মোঃ শাহীনুর আলম says:

    হায় আল্লাহ আবার বোধহয় ফকিরি ঝোলা কাধে নিতে হবে।
    মনে পড়ে ২০১০ সালের কথা। পৈত্রিক সমস্ত জমি বিক্রি করে শেয়ার ব্যবসা শুরু করেছিলাম। ভালোই চলছিল ৫০ লাখ টাকার পুজি ৭৩ লাখ পর্যন্ত হয়েছিল। তারপর শুরু হলো বাজার ধস পতনের পর। পতন কত মিছিল মিটিং মানববন্ধন কিন্ত কিছুতেই কিছু হলো না। যখন আমার পুজি ৫১ লাখ টাকায় নেমে আসে তখন ব্রোকারেজ হাউস একপ্রকার জোর করেই আমাকে ৫০ লাখ টাকা লোন দেয় এই মোট ১ কোটি টাকার শেয়ার হলো। তারপরও পতন অব্যাহত চলতেই থাকলো, দাম কমতে কমতে যখন আমার কমে ইকুইটি ৫০ লাখ টাকার কাছাকাছি এসে যায়,একদিন দেখি আমার বিও একাউন্টে কোন শেয়ার নাই অর্থাৎ ব্রোকারেজ হাউস আমার সব শেয়ার বিক্রি করে তাদের টাকা উঠিয়ে নিয়েছে, তার মানে আমি নিঃস্ব। কথা থেকে যে হাউসে ট্রেড করতাম সেখানকার সিইও নিজে একজন গেমলার ছিলেন আমি জানতাম না লোন একাউন্টে ওনি নিয়মিত নন মার্জিনেবল শেয়ার কিনতেন,আমি প্রতিবাদ করলেও কোন কাজ হয়নি, কিন্তু দেখার কেউ ছিলোনা কি এস.ই.সি কিংবা ডি.এস.ই। তখন আত্নহত্যা ছাড়া গতন্তর ছিলো না, কিন্তু আমি তো মুসলিম!
    আবার ২০২১ সালে বাড়ি ভিটার কিছু অংশ বিক্রি করে, নতুন ভাবে শেয়ার ব্যবসা শুরু করলাম,এখন বুঝেন অবস্থা, কোথায় যাই কার কাছে যাই প্রতিকারের জন্য???

  • নাঈম says:

    মে হাউজ গুলো থেকে কারসাজি করা হয়েছে সেগুলোকে চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.