রমজানে সুস্থ থাকার উপায়!
শেয়ারবাজার ডেস্ক: শুরু হয়ে গেলো সিয়াম সাধনার মাস। রোজার মাসে দৈনন্দিন জীবনযাত্রার সবকিছুতেই আসে বড় পরিবর্তন। এ সময় সুস্থতার জন্য তাই সঠিক খাদ্যাভাস খুবই জরুরী। জনস্বাস্থ্য পুষ্টিবিদ আসফিয়া আজিম পরামর্শ দিলেন কিভাবে রমজানে সুস্থ থাকবেন তা নিয়ে।
দিন বড় হওয়ায় এবার দীর্ঘক্ষণ রাখতে হচ্ছে রোজা। শরীরের অতিরিক্ত পানির চাহিদা পূরণ করতে ইফতারির পর থেকে রাতের খাবার পর্যন্ত পানি, স্যুপ, জুস, ফল, দই, লাচ্ছি, সালাদ এগুলো বার বার খান।
দিনভর রোজা রাখার পর ইফতারি শুরু করা যেতে পারে ঘরে তৈরি মৌসুমি ফলের শরবত দিয়ে। খেজুর দু-তিনটির বেশি খাওয়া ঠিক নয়, কারণ এতে সুক্রোজের পরিমাণ অনেক। অঙ্কুর ওঠা কাঁচা ছোলা ভিটামিন সির খুব ভালো উৎস। প্রতিদিনের ইফতার মেনুতে কাঁচা ছোলাটা তাই নিশ্চিত করুন।
সারা দিনের অনাহারের পর ভাজাপোড়া, তেল মসলা শরীরের জন্য একদমই ভালো না, তা খেতে যতই মুখোরোচক হোক না কেন। ইফতারিতে সহজপাচ্য খাবার শরীরকে ঠান্ডা রাখবে। দই-চিঁড়া, দুধ-কলা-ভাত বা দই-চিঁড়া-ফলের কাস্টার্ড রাখতে পারেন ইফতারিতে। একটু পেঁয়াজু, বেগুনি বা ছোলা না খেলে যদি ইফতারি অসম্পূর্ণ মনে হয়, তবে দই-চিড়া বা ফলাহারের পর সামান্য ভাজাপোড়া খাওয়া যেতে পারে।
রোজার কটা দিন রাতের খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দিন। ইফতারিতে বেশি খেয়ে ফেললে স্বাভাবিকভাবেই রাতের খাবার খেতে বেশ রাত হয়ে যায়। আর রাত যত বাড়তে থাকে আমাদের পরিপাকক্রিয়ার ক্ষমতা ততই কমে আসতে থাকে। এ কারণে রোজার সময়ে রাতের খাবার মেন্যু খুব সাধারণ হওয়া চাই। মাছ, ভাত বা রুটি, সবজি, ডাল এগুলো রাখা যেতে পারে রাতের খাবারে।
তবে সেহরি যেহেতু সারা দিনের রসদ জোগাবে, তাই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ও নিজের রুচিমতো খাবার খান এ সময়। সম্ভব হলে সেহরিতে এক গ্লাস দুধ পান করুন। এতে সারা দিনের প্রোটিনের একটা বড় অংশ পূরণ হবে।
শেয়ারবাজারনিউজ/অ