স্বল্প লভ্যাংশ প্রদানে ব্যাখ্যা চাইবে বিএসইসি
নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৩২টি কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশের নিচে লভ্যাংশ প্রদান করেছে। এরমধ্যে অনেক কোম্পানি ভালো ব্যবসা করেও স্বল্প পরিমাণ লভ্যাংশ দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এর সত্যতা যাচাই করতে ৫ শতাংশের নিচে কম লভ্যাংশ প্রদান করা কোম্পানিগুলোর কাছে ব্যাখ্যা চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
অতি দ্রুত কোম্পানিগুলোকে চিঠি দেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি
তথ্য মতে, শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশের নিচে লভ্যাংশ প্রদান করা কোম্পানিগুলোর মধ্যে- ০.৫০ শতাংশ করে লভ্যাংশ দিয়েছে ৩টি কোম্পানি। কোম্পানিগুলো হলো- একটিভ ফাইন কেমিক্যালস, এএফসি এগ্রো বায়োটেক ও সমতা লেদার কমপ্লেক্স। ১ শতাংশ করে লভ্যাংশ দিয়েছে ৮টি কোম্পানি। কোম্পানিগুলো হলো- অলিম্পিক এক্সেসরিজ, রহিমা ফুড করপোরেশন, প্যাসিফিক ডেনিমস, ফার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ, হাক্কানি পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলস, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ ও সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা। ২ শতাংশ করে লভ্যাংশ দিয়েছে ১০টি কোম্পানি। কোম্পানিগুলো হলো- বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন, প্রাইম টেক্সটাইল স্পিনিং মিলস, আনলিমা ইয়ার্ন ডাইং, আলিফ ম্যানুফেকচারিং, ইভেন্স টেক্সটাইল, সালভো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ, অ্যাডভেন্ট ফার্মা ও ফু-ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ।
এছাড়া ২.৫০ শতাংশ করে লভ্যাংশ দিয়েছে ৩টি কোম্পানি। কোম্পানিগুলো হলো- তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ও শাইনপুকুর সিরামিকস। গোল্ডেন সন দিয়েছে ২.৭৫ শতাংশ লভ্যাংশ। ৩ শতাংশ করে লভ্যাংশ দিয়েছে ২টি কোম্পানি। কোম্পানিগুলো হলো- রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রডাক্টস এবং মোজাফ্ফর হোসাইন স্পিনিং মিলস। অগ্নি সিস্টেমস লভ্যাংশ দিয়েছে ৩.৫০ শতাংশ। ৪ শতাংশ করে লভ্যাংশ দিয়েছে ৩টি কোম্পানি। কোম্পানিগুলো হলো- বাংলাদেশ অটোকারস, বঙ্গজ, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ ও ইন্দো বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস।
সূত্রে জানা গেছে, ব্যবসায়িক মুনাফায় থাকা সত্ত্বেও সম্প্রতি বেশ কিছু কোম্পানি সর্বশেষ হিসাব বছরের (২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর এবং ২০২১ সালের ৩০ জুন) নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের স্বল্প পরিমান লভ্যাংশ প্রদান করছে। এতে সারা বছর বিনিয়োগ করে আশানুরূপ লভ্যাংশ না পেয়ে হতাশ হচ্ছেন তারা। ফলে বিষয়টি শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ পরিপন্থি বলে মনে করছে কমিশন। তাই কোম্পানিগুলো মুনাফা গোপন করেছে কি না তা কেস টু কেস খতিয়ে দেখা হবে। কোম্পানিগুলোর মুনাফার তুলনায় লভ্যাংশ প্রদানের হার যাচাই করা হবে। এছাড়া কোম্পানির উৎপাদনের সঙ্গে আয়ের সঙ্গতি আছে কিনা তাও যাচাই করা হবে। আর এসব কিছুই কোম্পানিগুলোর বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) আগেই খতিয়ে দেখবে বিএসইসি। অসঙ্গতি পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির বিরুদ্ধে বিশেষ নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার চিন্তা-ভাবনা করছে কমিশন।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক বিএসইসি’র একজন ঊর্বধতন কর্মকর্তা বলেন, ‘সর্বশেষ হিসাব বছরে যেসব কোম্পানি লভ্যাংশ প্রদান করছে না, সেসব কোম্পানি বিএসইসির নজরদারিতে রয়েছে। লভ্যাংশ না দেওয়ার কি কারণ, সেই বিষয়ে কোম্পানিগুলোর কাছে ব্যাখা চাওয়া হবে। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা যাতে লভ্যাংশ পেতে পারে সেজন্য কমিশন খুবই আন্তরিক। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে কমিশন করণীয় সবকিছুই করবে।’
5% kno ta….. Je compani 10% dito
লভ্যাশ সঠিক ভাবে পরদান না করলে দীর্ঘ বিনিয়োগ কারি হারিয়ে যাবে
ডিলে ডালা হবে না তো হবে না
কি ?
যে সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে , উৎপাদন করার ইচ্ছা নেই
,এবং ৩০% শেয়ার ধারন না করে বিক্রির জন্য পাঁয়তারা করছে তাদের শেয়ার বাজেয়াপ্ত করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের নামে বন্টন করে সমাধান করতে হবে ,তা হলে ভবিষ্যতে কোনো প্রতিষ্ঠান যেন শেয়ার বাজার থেকে টাকা তুলতে পারবে না , বাজার গতিশীলতা আসবে বলে মনে করি, তাই কমিশনের চেয়ারম্যান মহোদ্ধয়ের কাছে অনুরোধ করছি