আজ: শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৪ জুলাই ২০১৫, শনিবার |

kidarkar

দ্রুত মামলা নিষ্পত্তিতে আইসিটি সফটওয়্যার

sinhaশেয়ারবাজার রিপোর্ট: এখন সময় এসেছে স্বল্প খরচে বিচার বিভাগের জন্য উপযোগী আইসিটি অবকাঠামো তৈরি, যা দ্রুত মামলা নিষ্পত্তিতে ভূমিকা রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।

শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, ‘আমি মনে করি, এখন সময় এসেছে স্বল্প খরচে বিচার বিভাগের জন্য উপযোগী আইসিটি অবকাঠামো তৈরি, যা দ্রুত মামলা নিষ্পত্তিতে ভূমিকা রাখতে পারে। একই সঙ্গে আদালত বান্ধব আইসিটি সফটওয়্যার তৈরির মাধ্যমে দেশের সকল আদালতে সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করে বিচার ব্যবস্থাপনাকে যুগোপোযোগী করার কথা বলেন তিনি।

এস,কে সিনহা বলেন, ‘আইসিটি কোর্ট পরিচালনা, মামলার রীতি পরিবর্তন, গবেষণা, আইনজীবীদের কার্যক্রম এবং আইনগত জ্ঞানের ওপর প্রভাব ফেলবে। আধুনিক বিজ্ঞান মানবিক ব্যবহার ও জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলে যার মাধ্যমে বিভিন্ন দ্বন্দ্ব ও অন্যায় কমানো সম্ভব।

তিনি  বলেন, বর্তমান আদালত পদ্ধতিতে কোন ইলেকট্রনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। এখন সময় এসেছে বিচার বিভাগকে অটোমেটিক সফটওয়্যারের মাধ্যমে আদালতের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করা। ‘যখন মামলার জট বাড়তে থাকে, মামলা অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে যেতে থাকে তখন সমাজে এটা সমালোচনার দিক হয়ে যায় এবং সকলেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এসময় বিচার বিভাগে মামলায় দীর্ঘসূত্রিতা, সীমিত প্র্রবেশাধিকার, আদালতের রায়ের বিষয়ে স্বচ্ছতা ও ভবিষ্যদ্বাণীর অভাব এবং আর্থিক, বাস্তবিক ও অন্যান্য উপায়ের কমতি রয়েছে। আর এ কারণেই বিচার বিভাগের ওপর মানুষের আস্থা কম বলে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।

তিনি বলেন, ‘বিচার বিভাগকে আধুনিকায়নের জন্য ই-জুডিশিয়ারির অধীনে আনতে হবে। এজন্য দেশের ৬৪ জেলায় ওয়াইফাই সংযোগ, মামলার তথ্য অনলাইনে দেওয়া, ভয়েসের মাধ্যমে বাংলা লিখন, ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমে কজলিস্ট ব্যবস্থা চালু, সুপ্র্রীম কোর্টের সঙ্গে নিম্ন আদালতের ভিডিও কনফারেন্স পদ্ধতি চালু, ইলেকট্রনিক মামলা ফাইলিং পদ্ধতি, জেলা আদালতের জন্য মামলা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, সকল আদালতের জন্য ডিজিটাল ডিসপ্লে, রায়ের আর্কাইভ, অটোমেটিক সেকশন, ই-লাইব্রেরী, জেলা আদালতের ডাটা সিস্টেম, বিচারক ও কর্মকর্তাদের জন্য আইসিটি সম্পন্ন এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানের সেমিনার ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘অতি দ্রুত সময়ের মধ্যেই আমরা বিচার বিভাগের ত্রুটি দূর করে ডিজিটাল জুডিশিয়ারির মাধ্যমে বিচারের ক্ষেত্রে দ্রুততা এবং মানুষের জন্য সহায়ক বিচারিক পদ্ধতি দিতে পারবো।

 

শেয়ারবাজারনিউজ/অ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.