২০ কোম্পানির ঘাড়ে ২ হাজার কোটি টাকা লোকসান
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ২০টি কোম্পানি পুঞ্জিভূত লোকসানে জড়িয়ে পড়েছে। এই লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৭২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এছাড়া বেশিরভাগ কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের বেশি পুঞ্জীভুত লোকসান ছাড়িয়ে গেছে। যা খুবই আশঙ্কাজনক বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, পুঞ্জিভূত লোকসানে থাকা ২০ কোম্পানির মধ্যে ব্যাংক খাতের ১টি, প্রকৌশল খাতের ৫টি, আর্থিক খাতের ১টি, খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের ৭টি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতের ১টি, পাট খাতের ১টি, বিবিধ খাতের ১টি, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ২টি এবং বস্ত্র খাতের ১টি কোম্পানি রয়েছে।
ডিএসই থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, ব্যাংক খাতের আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৬ শত ৬৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা। অথচ কোম্পানিটির পুঞ্জিভূত লোকসান দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬২৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
প্রকৌশল খাতের ৫ কোম্পানির মধ্যে আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের পুঞ্জিভূত লোকসান দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। অথচ কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১ শত ৩২ কোটি টাকা। আজিজ পাইপসের পরিশোধিত মূলধন ৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা হলেও পুঞ্জীভুত লোকসান ৪০ কোটি ১৯ লাখ টাকা। বিডি অটো কারসের পুঞ্জীভুত লোকসানের পরিমাণ ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা দাঁড়িয়েছে। কে এন্ড কিউর পুঞ্জিভূত লোকসান ৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এছাড়া রেনউইক যজ্ঞেশ্বরের ৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা,আর্থিক খাতের মাইডাস ফাইন্যান্সের ৩৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা পুঞ্জীভুত লোকসানে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের ৭টি কোম্পানি রয়েছে। যার পরিশোধিত মূলধন ৭৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা। অথচ এগুলোর পুঞ্জিভূত লোকসান দাঁড়িয়েছে ৪৯২ কোটি ৯২ লাখ টাকা। এর মধ্যে ঝিল বাংলার পরিশোধিত মূলধন ৬ কোটি টাকা এবং পুঞ্জিভূত লোকসান ১৭১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এছাড়া শ্যামপুর সুগারের পরিশোধিত মূলধন ৫ কোটি এবং পুঞ্জীভুত লোকসান ২৩৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।
এছাড়া রহিমা ফুডের পুঞ্জীভুত লোকসান ১২ কোটি ৭০ লাখ টাকা, মেঘনা পেটের ১৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা,মেঘনা কনডেন্সড মিল্কের ১৬ কোটি ৭৮ লাখ টাকা,জেমিনি সী ফুডের ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা,ফাইন ফুডের ৮ লাখ টাকা।
এদিকে সিভিও পেট্রো কেমিক্যালের পুঞ্জিভূত লোকসান ৫ কোটি ১০ লাখ টাকা দাঁড়িয়েছে। এছাড়া পাট খাতে থাকা জুট স্পিনার্সের পুঞ্জিভূত লোকসান ১৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। অথচ কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
বিবিধ খাতের সাভার রিফ্যাক্টরীজের পরিশোধিত মূলধন ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। অথচ কোম্পানির পুঞ্জিভূত লোকসান ৭ লাখ টাকা। বস্ত্র খাতের দুলামিয়া কটনের পরিশোধিত মূলধন ৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা হলেও পুঞ্জীভুত লোকসান ৩৩ কোটি ১২ লাখ টাকা।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের ওরিয়ন ইনফিউশনের পুঞ্জিভূত লোকসান ৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এছাড়া ইমাম বাটনের পুঞ্জিভূত লোকসান দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।
শেয়ারবাজার/রু/সা