আজ: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৫ অগাস্ট ২০১৫, বুধবার |

kidarkar

কেডিএস এক্সেসরিজের প্রিমিয়াম বাতিল চেয়ে নোটিশ

BSECশেয়ারবাজার রিপোর্ট: প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যেমে মূলধন উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়া কেডিএস এক্সেসরিজের প্রিমিয়াম বাতিলের জন্য উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। উকিল নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে কোম্পানির আইপিও সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম বন্ধ করতে বলা হয়েছে। আর এ নোটিশ গত ২ আগষ্ট ইস্যু করা হয়।

আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টে লেনদেন করা বিনিয়োগকারী এস কে এনামুল কবীরের (বিও-১৬০৫৪২০০৪৭০৮৭৯৫১) পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো: আমিনুল ইসলাম কোম্পানিকে এ উকিল নোটিশ পাঠায়। বিনিয়োগকারীদের হয়ে ন্যায্য বিচারের দাবি চেয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট পাঁচজনের কাছে এ নোটিশ পাঠানো হয়। সংশ্লিষ্ট বাকি চারজন হলেন কমিশনার মো: আরিফ খান, সংশ্লিষ্ট কোম্পানি কেডিএস এক্সেসরিজ এর চেয়ারম্যান শামীম ইকবাল ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম রহমান।

নোটিশে বলা হয়, কেডিএস এক্সেসরিজের আইপিও অনুমোদনে প্রতি ১০ টাকার শেয়ারে যে ১০ টাকা প্রিমিয়াম অনুমোদন করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিরোধী। প্রায় ৩৫ লাখ বিনিয়োগকারীর এ বাজারে কেডিএস এক্সেসরিজের মত কোম্পানি যদি ১০ টাকা প্রিমিয়াম নিয়ে আসে তা বাজারের স্থিতিশীলতা নষ্ট করবে। শিল্প প্রকল্পের না হলেও কোম্পানিটি ১ কোটি ২০ লাখ শেয়ার ছেড়ে ২৪ কোটি টাকা উত্তোলন করলে তা বাজারে একটি নেতিবাচক পরিবেশ তৈরী করবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দূর্বল মৌলভিত্তিসম্পন্ন এসব কোম্পানি বাজারে আসার প্রথম বছর ভালো করলেও বছর শেষ করতে না করতেই খারাপের দিকে মোড় নেয়। আর আর্থিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দেখা যায় সংশ্লিষ্ট কোম্পানি আগামী বছরগুলোতে ডিভিডেন্ড দিতে পারবে না।

নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, দেশের শেয়ারবাজার এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গভাবে স্থিতিশীল হতে পারেনি। ফলে ৩৫ লাখ বিনিয়োগকারীদের জন্য কেডিএস এক্সেসরিজের প্রিমিয়াম বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। ফলে বিনিয়োগকারীররা ক্রমাগত লোকসানের সম্মুখিন হবে। তাই বাজারের সার্বিক স্থিতিশীলতার কথা চিন্তা করে অতি সত্ত্বর আইপিও প্রক্রিয়া বন্ধ করার আবেদন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আইপিও পূর্ববর্তী কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৪০ কোটি টাকা। আইপিও’র পর কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ দাঁড়াবে ৫২ কোটি টাকা। কিন্তু ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩ সমাপ্ত অর্থবছরের হিসাব অনুযায়ী কেডিএস এক্সসরিজের দীর্ঘমেয়াদি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ১৭ লাখ ৪৩ হাজার ৮৫১ টাকা। এছাড়া স্বল্পমেয়াদি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৬ কোটি ৫৮ লাখ ৭ হাজার ৪৪১ টাকা। এক্ষেত্রে কোম্পানির মোট ১০০ কোটি ৭৫ লাখ ৫১ হাজার ২৯২ টাকা ঋণের ভারে জর্জরিত। এর পাশাপাশি আইপিও’র মাধ্যেমে উত্তোলিত অর্থের প্রায় ৩০ শতাংশই (২৯.১৭) ব্যাংক লোন পরিশোধ করার জন্য।

 

শেয়ারবাজারনিউজ/ওহসি/এমএম সা

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.