আজ: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫, সোমবার |

kidarkar

ডিভিডেন্ড দিতে সহযোগিতা করবে বিএসইসি: চেয়ারম্যান

DSC_0081শেয়ারবাজার রিপোর্ট: স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথক করণ অর্থাৎ এক্সচেঞ্জ ডিমিউচ্যুয়ালাইজড এর সময় স্টেক হোল্ডারদের প্রতিবছর ডিভিডেন্ড দেয়া হবে এমন নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছিল। তবে বাজারের লেনদেন কম থাকায় বর্তমান পরিস্থিতিতে ডিভিডেন্ড দেয়া যাচ্ছে না। তাই ভবিষ্যতে যাতে স্টেক হোল্ডাররা নিয়মিত ডিভিডেন্ড পান সে জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা করবে।

আজ ১৪ সেপ্টেম্বর সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) আয়োজিত ‘রিসেন্ট ডেভেলপমেন্টস ইন ডিএসই এন্ড রেগুলেটরি রিফর্মস ফর ক্যাপিটাল মার্কেট’ শীর্ষক আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসইসি,র চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম খায়রুল হোসেন এমন মন্তব্য করেন।

এ সময় চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান পুঁজিবাজার অন্য যে কোন সময়ের তুলনায় স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। তবে এ বাজারকে আরো উন্নত ও স্বচ্ছ করতে হলে বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ব্রোকার ও এক্সচেঞ্জগুলোকে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এগুতে হবে।

তিনি আরো বলেন, একটি শক্তিশালি পুঁজিবাজার গড়ার জন্য বিএসইসি অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও কাজ করে যাচ্ছে। আর পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বিএসইসি’র কার্যকরি ভূমিকার কারণে আজ আমরা আইএসসিও-এ ‘এ’ ক্যাটাগরিতে আসতে পেরেছি। বিশ্বের অন্য দেশগুলো বিশ্বাস করতে শুরু করেছে আমাদের পুঁজিবাজার স্বচ্ছতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। তারাও এখন আমাদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে চাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা ও অংশগ্রহণ বাড়ানোর বিকল্প নেই। তাই আমরা নিষ্ঠার সাথে ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি চূড়ান্ত করার কাজ করছি। আশা করি আগামি বছরের জুনের মধ্যে আমরা চূড়ান্ত ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিতে পারবো।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. স্বপন কুমার বালা পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ডিএসই’র নেয়া পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আগামি মাসের শেষ দিকে মোবাইল অ্যাপলিকেশনের মাধ্যমে লেনদেন চালু করা হবে। এছাড়া জুলাই ২০১৬ এর মধ্যে এক্সচেঞ্জ ট্রেডেট ফান্ড (ইটিএফ) ও ট্রেজারি বন্ড, ডিসেম্বর ২০১৬ এর মধ্যে সুকুকস এর কার্যক্রম শুরু করা হবে।

তিনি আরো বলেন, জানুয়ারি ২০১৬ এর মধ্যে টেকনলজি সাবসিডিয়ারি কোম্পানি ও ক্লিয়ারিং কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করা হবে। এর মাধ্যমে ডিএসই’র আয় বাড়বে। এছাড়া ডাটা সেলের কার্যক্রম মার্চ ২০১৬ এর মধ্যে শুরু করা হবে।

এ সময় তিনি আরো বলেন, আইটি অবকাঠামোর সকল কার্যক্রম সম্পন্ন হলে ডিএসই প্রতিবছর ২২ কোটি টাকা আয় করতে পারবে।

তিনি আরো বলেন, ফরেন ডিভিপি এর ক্ষেত্রে কাস্টডিয়ান চার্জ কমাতে আমরা সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করেছি। আর বিদেশিরা যাতে অন লাইনের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করতে পারে সেজন্যেআগামি মাসে আনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম চালু করা হবে।

এদিকে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বিএসইসি’র নেয়া পদক্ষেপগুলো নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো: সাইফুর রহমান উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ধস পরবর্তী সময়ে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বিএসইসি নিষ্ঠার সাথে কাজ করে গেছে। যার ফলশ্রুতিতে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া আমাদের উন্নত সার্ভেইল্যান্স সফটওয়্যার স্থাপনের ফলে বাজারের প্রতি বিএসইসি’র স্বচ্ছ নজরদারি বেড়েছে।

এদিকে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএসইসি কমিশনার প্রফেসর হেলাল উদ্দীন নিজামী বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে মার্চেন্ট ব্যাংক, ব্রোকারেজ হাউজ ও অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। গুজবের মাধ্যমে মার্কেট ম্যানুপুলেশন বন্ধ করার জন্য আমরা রিসার্চ অ্যানালাইসিস গাইডলাইন প্রেণয়ন করেছি। অথচ বর্তমানে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের রিসার্চ অ্যানালাইসিস নেই। বিএসইসি বর্তমানে ১০ বছরের মাস্টার প্ল্যান নিয়ে কাজ করছে। সেরকম এসব প্রতিষ্ঠানকেও সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে দক্ষ জনবল বাড়াতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান পুঁজিবাজারে কেউ চাইলেও বাবল করতে পারবে না। তবে বিনিয়োগকারীদের সচেতনতাই পঁজিবাজারের উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।

আলোচনা সভায় ডিএসই’র চেয়ারম্যান বিচারপতি সিদ্দিকুর রহমান মিঞা, বিএসইসি কমিশনার, ট্রেকহোল্ডাররাসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

শেয়ারবাজারনিউজ/অ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.