আজ: শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সুন্দরবনের জন্য হুমকি

Naturalশেয়ারবাজার রিপোর্ট: বাংলাদেশের সুন্দরবন সংলগ্ন রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হলে সুন্দরবনসহ ওই এলাকার প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে বলে জানিয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থা।

সাউথ এশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস নামের ওই সংস্থাটি বলছে, এ ধরণের একটি প্রকল্প সুন্দরবনের পরিবেশের জন্য বড় হুমকি। কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রটিতে কয়লা পরিবহন, আবর্জনা পরিষ্কারের মতো বিষয়গুলো এখনো স্পষ্ট নয়। তবে পরিবেশবাদীদের এ ধরণের অভিযোগ সরকারের তরফ থেকে বরাবরই নাকচ করা হয়েছে।

বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে তথ্যানুসন্ধানের পর আজ সাউথ এশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস নামে একটি বেসরকারি সংগঠন যে প্রতিবেদন তৈরি করেছে সেখানেই এসব বিষয় উঠে এসেছে। আজ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হবে।

বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে রামপালের ওই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সুন্দরবনের সীমানার ১৪ কিলোমিটারের ভেতরে নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে।

বাংলাদেশে সাউথ এশিয়ান ফর হিউম্যান রাইটসের সদস্য সুলতানা কামাল বলছেন, যে দূরত্বের মধ্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি তৈরি করা হচ্ছে, সেটি আসলে নিষিদ্ধ দূরত্বের মধ্যেই। সুন্দরবনের কাছাকাছি এরকম একটি প্রকল্প বনটির জন্য বড় হুমকি।

তিনি বলেন, কয়লা কোথা থেকে আসবে, কিভাবে পরিবহন করা হবে, কয়লার যেসব আবর্জনা নদীতে জমবে, সেগুলো কিভাবে পরিষ্কার হবে, এসব প্রশ্নের উত্তর এখনো স্পষ্ট নয়। এসব কারণে সুন্দরবনের উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে বলেই আশংকা হচ্ছে। সেখানকার মানুষের স্বাস্থ্যের বিষয়টি নিয়েও পরিবেশবিদদের মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে।

এর মধ্যেই সেখানকার জলজ প্রাণীর উপর এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বলে সুলতানা কামাল জানান। কারণ সেখানের শুশুক বা ডলফিনগুলো সেই এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছে। বিভিন্ন মহলের এত আপত্তির পরও কেন সরকার বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না, তা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন।

বরং পর্যালোচনা করে রামপালের পরিবর্তে অন্যত্র কেন্দ্রটি সরিয়ে নেয়ারও পরামর্শ দিয়েছে এই সংস্থাটি। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

শেয়ারবাজারনিউজ/রু

 

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.