আজ: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৪ নভেম্বর ২০১৫, মঙ্গলবার |

kidarkar

ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনায় চলছে প্রথম ব্যাংকিং মেলা

Banking-Fairশেয়ারবাজার রিপোর্ট: ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনায় আজ (২৪ নভেম্বর) শুরু হয়েছে দেশের ইতিহাসে প্রথম ব্যাংকিং বিষয়ক মেলা ‘ব্যাংকিং মেলা বাংলাদেশ ২০১৫’। এ মেলার উদ্বোধণ করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ড.আতিউর রহমান। রাজধানীর বাংলা একাডেমীতে আয়োজিত এ মেলায় অংশগ্রহণ করে দেশের সকল সরকারী-বেসরকারী ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানি।

মঙ্গলবার সকাল থেকেই সরব হয়ে ওঠে বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গন। ভোর থেকেই এখানে ভির জমাতে থাকে বিভিন্ন ব্যাংক কর্মী, গ্রাহক এবং সংবাদকর্মীরা। দেশের প্রত্যেকটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিজেদের ষ্টলে সাজিয়ে বসেছেন তাদের সেবার পসড়া। বিভিন্ন ষ্টলে ঘুরে দেখাযায় কেউ লোন কিংবা ইন্টরেস্ট নিয়ে আলোচনা করছেন। কেউবা আবার ছবি তুলছেন। আবার অনেককেই দেখা গেছে নিজেদের ষ্টল থেকে দলবেধে বা একা একা অন্যকোন ষ্টলে গিয়ে অন্যদের সাথে পরিচয় হতে এবং কার্ড বিনিময় করতে।

সাইরাস নামের একজন ব্যাংক কর্মকর্তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আসলে এটা আমার কাছে মনে হচ্ছে একটা মেলা না আমাদের ভ্রাতৃত্ব বন্ধণ দৃঢ় করার একটি মাধ্যম। আমরা যারা ব্যাংকিং পেশায় আছি তারা সাধারণত অন্য যেকোন ব্যাংকে যারা কর্মরত আছেন তাদের সাথে যোগাযোগ করা এবং পরিচয় হওয়ার সুযোগ একটু কম থাকে। এ মেলার মাধ্যমে আমি আজ আমার মত অনেক ব্যাংক কর্মীর সাথে পরিচয় হয়েছি। এর মধ্যে কেউ এ পেশায় আমার সিনিয়র, কেউবা আবার জুনিয়র। যদিও এর আগে কখনো তাদের সাথে পরিচয় ছিলনা আজ মনে হচ্ছে অনেক কাছের। সাইরাস আরো বলেন, এ মেলার মাধ্যমে মনে হয় আমাদের ব্যাংকিং খাত নতুন মাত্রা পাবে। ব্যাংকিং বিষয়টি মানুষের আরো কাছে পৌছতে পারবে। এতে গ্রহকরাও অনেক উপক্রিত হতে পারবেন বলে আমার মনে হয়। কেননা একই সেবা এত গুলো কোম্পানির কাছ থেকে সঠিকটা বেছে নিতে সহজ হবে।

মেলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক শিক্ষা, টাকা জাদুঘর, বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেস (টাকা তৈরির মেশিন), বিভিন্ন প্রকাশনা, স্মারক মুদ্রা ও নোট ক্রয়, জনসাধারণকে সেবা, সিআইপিসি এবং অভিযোগ কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
এ মেলা আগামী ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত আর্থিক শিক্ষা কর্মসূচির আওতায় স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের নিয়ে দু’দিন, কর্মজীবী শিশুদের নিয়ে একদিন, উন্মুক্ত উপস্থিতদের নিয়ে একদিন ও ভালনারেবল অ্যাডাল্টদের নিয়ে আর্থিক শিক্ষা বিষয়ক কর্মসূচি পালন করা হবে।

দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বির্তক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। প্রতিযোগিতার বিষয় থাকবে, ব্যাংকিং খাতে উচ্চ সুদের প্রধান কারণ, বাজারভিত্তিক মুদ্রার বিনিময় হার, পুঁজির অবাধ প্রবাহ, বৈদেশিক বিনিয়োগ, মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ, কর্মের সময়সীমা ও মুনাফা।

বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত আর্থিক খাতের বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণে আর্থিক উন্নয়ন, শিক্ষা, মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি, অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাংকের ভূমিকা, গ্রহণযোগ্য সুদহার নির্ধারণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে কৃষি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ঋণ প্রবাহের ভূমিকা, মূদ্রানীতির কার্যকারিতা ও প্রযুক্তি নির্ভর ব্যাংকিং সেবা বিষয়ে সেমিনার, গোলটেবিল ও ওয়ার্কশপ।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত বিনোদনের মাধ্যমে আর্থিক শিক্ষা কর্মসূচি পরিচালনা করতে পরিবেশন করা হবে ব্যাংকিং পণ্য ও সেবা সর্ম্পকে লোকজ গান ও নাটিকা।

এসব কর্মসূচিতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অর্থ, কৃষি, পরিকল্পনা, বাণিজ্য, শিল্প, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, অর্থনীতি বিষয়ক গবেষকরা।
শেয়ারবাজারনিউজ/রু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.