টানা লোকসানে থাকা সত্ত্বেও দর বাড়ছে ইমাম বাটনের
শেয়ারবাজার রিপোর্টঃ টানা পাঁচ বছর ধরে লোকসান করা সত্ত্বেও গত ছয় কার্যদিবসে ইমাম বাটনের শেয়ারদর ৫৭ শতাংশ বেড়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার কোম্পানিটির শেয়ার দর ১০ টাকা থেকে ১০ শতাংশ বেড়ে সর্বশেষ ১১ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এদিন কোম্পানিটির ১৮ লাখ ৬৪ হাজার টাকার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫০০টি শেয়ার সর্বমোট ১৪৩ বার হাতবদল হয়।
এদিকে ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই)পক্ষ থেকে দর বাড়ার কারন জানতে চেয়ে চিঠি দেয়া হয়। জবাবে শেয়ার দর বাড়ার কারন জানা নেই বলে দায়সারা বক্তব্য দেয় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে প্রকাশিত অর্ধবার্ষিক (জুলাই ১৪-ডিসেম্বর ১৪) আর্থিক প্রতিবেদনে কোম্পানিটি ৫৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা কর পরিশোধের পর লোকসান দেখানো হয়েছে। এছাড়া শেয়ার প্রতি লোকসান হয় ০.৭৪ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৯৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং ১.২৯ টাকা।
অন্যদিকে সর্বশেষ প্রান্তিকে (অক্টোবর ১৪-ডিসেম্বর১৪) কোম্পানিটির কর পরিশোধের পর লোকসান হয়েছে ২৪ লাখ টাকা এবং শেয়ার প্রতি লোকসান ০.৩১ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৫৭ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং ০.৭৪ টাকা। ৩১ ডিসেম্বর,২০১৪ অর্থবছর পর্যন্ত এ কোম্পানির পুঞ্জীভুত লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৮৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
এদিকে কোম্পানিটি ২০১০ সালের পর থেকে ধারাবাহিক ভাবে লোকসান করার কারনে বিনিয়োগকারীদের কোন প্রকার ডিভিডেন্ড দিতে পারেনি।
অডিট কোম্পানি আনিসুর রহমান এন্ড কোং এর এক অডিট রিপোর্টে বলা হয়, ৩০ জুন ২০১৪ সমাপ্ত অর্থ বছরে কোম্পানিটি তার ক্যাপাসিটির ২১ শতাংশ উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে। এর কারন হিসেবে মেশিনারিজ সমস্যা, বাজার চাহিদা, ঘন ঘন বিদ্যুৎ সমস্যা, ক্রমাগত লোকসান ইত্যাদি বিষয়কে দেখানো হয়। আরো ৭০ শতাংশ উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে না পারলে কোম্পানিটি ধ্বংস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার এর আগের অর্থ বছরে যখন কোম্পানিটি লোকসান করে তখনো একই মন্তব্য করা হয়েছিল।
এই রকম ক্রমাগত লোকসানের পথে হাটার কারনে সাধারন বিনিয়োগকারীরা প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। এর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে কোম্পানির শেয়ার বাজার বিভাগ থেকে গৌতম বলেন, আমরা ইতিমধ্যে শেয়ারের দর বৃদ্ধির ব্যাপারে চিঠি পেয়েছি এবং তার উত্তর দেয়া হয়েছে। তবে আমাদের কাছে কোন সেনসিটিভ তথ্য নেই। আর আমাদের কোম্পানিটি মেশিনারিজ, বিদ্যুৎ, বাজার চাহিদা সহ আরো অনেক কারনে লোকসানে রয়েছে।
শেয়ারবাজার/রু/সা