আজ: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৯ মার্চ ২০১৬, বুধবার |

kidarkar

ভবিষ্যতে বাজার চাঙ্গা হবে: অর্থমন্ত্রী

malশেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে যা দরকার তা এখন দেখতে পাই না। বিশেষ করে বাজারে আগের মতো চাঞ্চল্য দেখা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মোবাইল লেনদেন কার্যক্রম ‘ডিএসই-মোবাইল’ উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন।

মুহিত বাজার সম্পর্কে বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর পুঁজিবাজারে ধস নামে। ২০১০ সাল থেকে পুঁজিবাজার উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ নেয়া হলেও আশানুরুপ চাঞ্চল্য ফিরেনি। বর্তমানে পুঁজিবাজার সংক্রান্ত যেসব বিধি-বিধান রয়েছে তা অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় অতি উত্তম। এসব বিধি বিধান পরিপালন নিশ্চিত করা হলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরবে। তাছাড়া ডিএসইর মোবাইল লেনদেন চালুর কারণে আশা করছি ভবিষ্যতে বাজার চাঙ্গা হবে।

মোবাইল লেনদেন প্রসঙ্গে মুহিত বলেন, মোবাইলে লেনদেন চালু হওয়ার কারণে বিনিয়োগকারীরা এখন ঘরে বসে লেনদেন করবেন। তারা এখন সচরাচর মতিঝিল আসবেন না। এতে করে হঠাৎ করে যেকোনো ইস্যুতে আন্দোলন বা শোভাযাত্রা, র‌্যালি, মিছিল মিটিং হবে না। হলেও লোক পাওয়া যাবে না। এটা একটা ভালো দিক।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি ১৯৬৯ সালে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে পাকিস্তানি সরকারের ষড়যন্ত্রের কারণে ৩৩ হাজার টাকা লোকসান করেছি। এরপর আগ্রহ থাকা সত্বেও ১৯৯৬ সালের ধসের কারণে আর বিনিয়োগ করিনি। সরাসরি শেয়ারে না গিয়ে বন্ডে বিনিয়োগ করেছি। কারণ বন্ডে নিশ্চিত রিটার্ন পাওয়া যায়।

ডিএসই মোবাইল উদ্বোধন বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. স্বপন কুমার বালা বলেন, ডিমিউচুয়ালাইজড করার অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ ছিল স্টক এক্সচেঞ্জের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন নিশ্চিত করা। ডিএসইর মোবাইল এই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। এতে লেনদেন সহজ ও নিরাপদ হবে। ফলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও অংশগ্রহন বাড়বে।
তিনি বলেন, পূর্বে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে গিয়ে অনেক কারিগরি জটিলতার সম্মুখীন হয়েছি। এটি ব্যবহারে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষন প্রদান করেছি। যাতে কারিগরি জটিলতার সম্মুখিন হতে না হয়।

তিনি আরও বলেন, মোবাইল লেনদেনে বিনিয়োগকারিরা যে দুটি ভারসন ব্যবহার করতে পারবেন তার মধ্যে একটি হচ্ছে ডিএসই-মোবাইল ভিআইপি। এটি দিয়ে সরাসরি ট্রেড করা যাবে না। বিনিয়োগকারি মোবাইলে শুধু তার পোর্টফোলিও দেখতে পারবে। অন্যটি হচ্ছে ডিএসই-মোবাইল ট্রেডার। এই ভারসন ব্যবহার করে বিনিয়োগকারি নিজে ট্রেড করতে পারবেন।

তবে, কোন বিনিয়োগকারি বাজার দরের চেয়ে বেশি দামে ট্রেড অফার করলে ব্রোকারেজ হাউজের ট্রেডার সেই আদেশ বাতিল করতে পারবেন। কিন্তু বাজার দরে আদেশ দিলে তা বাতিল করার ক্ষমতা ট্রেডারের কাছে থাকবে না।

মোবাইল এপটি একটানা ১০ মিনিট ব্যবহার না করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে লগআউট হয়ে যাবে। শেয়ার কেনা-বেচার ক্ষেত্রে প্রতিবার আদেশ দেওয়ার সময় নতুন করে পাসওয়ার্ড দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. খায়রুল হোসেন, ডিএসইর পরিচালক ওয়ালিউল ইসলামসহ বিএসইসি, ডিএসই, সিএসইর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ স্টেক হোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ারবাজারনিউজ/আ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.