আজ: শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১১ মে ২০১৬, বুধবার |

kidarkar

নীতি সহায়তার মোড়কে বিনিয়োগ বাড়ছে না: আস্থাহীনতায় পুঁজিবাজার

ডিএসইশেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারের পতন ঠেকানোর পাশাপাশি বিনিয়োগ বাড়াতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) যথাযথ নীতি সহায়তা দিচ্ছে বলে দাবী করা হচ্ছে। কিন্তু এমন নীতি সহায়তার মোড়কেও নতুন বিনিয়োগ বাড়ছে না। বরং পুঁজিবাজার আরও তলানির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

ডিএসই’র একজন ট্রেকহোল্ডার নাম প্রকাশ না করার শর্তে শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা পুঁজিবাজারের উন্নয়নের নামে যেসব নীতি সহায়তা দিয়েছে তা বেশ জটিল এবং পেচানো। আর এসব নীতিতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরবে না। তা না হলে বর্তমানে ডিভিডেন্ড ও প্রান্তিক প্রতিবেদন ঘোষণার মৌসুমে পুঁজিবাজারে লেনদেন ও সূচক বাড়ার কথা। কারণ প্রান্তিক ও বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে অধিকাংশ কোম্পানিরই মুনাফা বেড়েছে।

এদিকে আসন্ন বাজেটে পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত কিংবা কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ থাকবে কিনা এমন প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্টরা নির্বাক ভূমিকা পালন করছেন। এ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন রাখা হলেও তারা কোন জবাব না দিয়ে প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যান। অথচ এর আগে বাজেট প্রস্তাবনায় এ প্রসঙ্গে বিভিন্ন দাবী উত্থাপন হলেও এবার এমন কোন দাবী পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে উত্থাপন করা হয়নি।

এ প্রসঙ্গে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর একাধিক নেতার সাথে আলাপ করে জানা যায়, দেশে কালো টাকা বিনিয়োগের সুবিধা না থাকায় এ টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। এটা ওপেন সিক্রেট। আর এ টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হলে দেশের টাকা দেশে থাকার পাশাপাশি পুঁজিবাজারেরও অর্থ সঙ্কট কাটবে বলে মনে করছেন এসব নেতারা।

অপরদিকে সিঙ্গেল বরোয়ার এক্সপোজার লিমিট সমন্বয়ের জন্য আজ বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার জারি করেছে। এতে যে কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা গ্রুপকে দেয়া সকল ঋণ সুবিধার আসল অংকের মোট পরিমাণ ব্যাংকের মূলধনের ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর প্রেক্ষিতে বিনিয়োগকারীদের আশঙ্কা আরও ঘণীভূত হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আর এসব কারণে পুঁজিবাজারে লেনদেন ও সূচকে গতি আসছে না।

ডিএসই:

আজ বুধবার ডিএসইতে টাকার অঙ্কে মোট লেনদেন হয়েছে ৩২২ কোটি ০২ লাখ টাকা। গত মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ৪৩০ কোটি ৭০ লাখ টাকা। সুতরাং এক কার্যদিবসের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১০৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

এদিন ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ১২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৩১৮ পয়েন্টে, ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৩.৭১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৬২ পয়েন্টে এবং ৭.৫৪ পয়েন্ট কমে ডিএসই-৩০ সূচক দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৭৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১৯টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩৬টির, কমেছে ১২৭টির এবং কোনও পরিবর্তন হয়নি ৫৬টি কোম্পানির শেয়ার দর।

এছাড়া টাকার অঙ্কে এদিন ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো-  ইউনাইটেড পাওয়ার, বিএসআরএম স্টিল, বিএসআরএম লিমিটেড, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, মবিল যমুনা, ফারইস্ট নিটিং, ডোরিন পাওয়ার, লিন্ডে বাংলাদেশ, শাহজিবাজার পাওয়ার এবং কেয়া কসমেটিকস।

সিএসইসিএসই:

এদিন সিএসইতে মোট শেয়ার লেনদেনের পরিমান ১৮ কোটি ২৮ লাখ টাকা। গত মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ১৯ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার। সুতরাং এক কার্যদিবসের ব্যবধানে সিএসইতে শেয়ার লেনেদেন কমেছে ১ কোটি ১২ লাখ টাকার বেশি।

এদিন সিএসইতে সূচকের মিশ্র প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। সিএসই’র প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ২০.৪৮ পয়েন্ট কমে ৮ হাজার ৭১ পয়েন্টে, সিএএসপিআই সূচক ৩২.২৪ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ২৭৯ পয়েন্টে, সিএসই-৫০ সূচক ৪.১৩ পয়েন্ট কমে ৯৭৬ পয়েন্টে এবং সিএসই-৩০ সূচক ৪৪.৯৬ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ২৯৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২২৭টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৯০টির, কমেছে ৯৮টির এবং কোনও পরিবর্তন হয়নি ৩৯টি কোম্পানির শেয়ার দর।

টাকার অঙ্কে এদিন সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- ইউনাইটেড পাওয়ার, মবিল যমুনা, বিএসআরএম লিমিটেড, কেয়া কসমেটিকস, বিএসআরএম স্টিল, নাভানা সিএনজি, ডোরিন পাওয়ার, ইউনাইটেড এয়ার, শাহজিবাজার পাওয়ার এবং বেক্সিমকো লিমিটেড।

শেয়ারবাজারনিউজ/আ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.