আজ: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৯ মে ২০১৬, রবিবার |

kidarkar

ছবিসহ যৌনদাসী বিক্রির বিজ্ঞাপন!-আইএস

jakia..is_114513শেয়ারবাজার ডেস্ক: মেয়েটি যুবতী, হতে পারে বয়স ১৮। গাঢ় সবুজ রঙের নেকাব দিয়ে মুখ ঢাকা। ফেসবুকে আপ করা ছবিতে মেয়েটি চিত্রগ্রাহকের দিকে না তাকিয়ে হাসছে। ছবির ক্যাপশনে দেয়া আছে- ‘বিক্রির জন্য’।

গত ২০ মে আইএস জঙ্গি আবু আসাদ আলমানির পোস্ট করা এই ছবিতে লেখা রয়েছে, ‘যারা যৌনদাসী কিনতে চান, তাদের জন্য এই যৌনদাসী বিক্রি হবে আট হাজার ডলারে।’ দ্বিতীয় আরেকটি ছবি পোস্ট করেন আলমানি। সেটিও ছিল কোন এক যৌনদাসীর এবং তার মূল্যও আট হাজার ডলার। তবে কোন জায়গা থেকে এই ফেসবুক চালানো হচ্ছিল সেটি নির্দিষ্ট করা যায়নি।

এর আগেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে যৌনদাসী বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়েছে আইএস। তবে এই প্রথমবার ছবিসহ যৌনদাসী বিক্রির বিজ্ঞাপন দেয়ার স্পর্ধা দেখালো গোষ্ঠীটি। বিশেষজ্ঞদের মতে, সবচেয়ে বিপজ্জনক হচ্ছে প্রায় শতাধিক নারী জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসে যৌনদাসী হিসেবে কাজ করছে।

এই মুহূর্তে সিরিয়া এবং ইরাকে আগের জৌলুস হারিয়ে চাপের মধ্যে রয়েছে আইএস। টানাপোড়নের এই সময়ে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা এসব যৌনদাসীদের। বেশিরভাগ যোদ্ধারা তাদের অধীনে থাকা যৌনদাসীদের বিক্রি করে অর্থের যোগান সংগ্রহ করছে। কারণ আইএস নির্মূলের অভিযানে মারাত্মক খাদ্য এবং ঔষধের অভাবে রয়েছে জঙ্গিরা। এসব তথ্য জানায় সন্ত্রাস এবং মানবাধিকার বিষয়ে কাজ করে এমন একাধিক বিশেষজ্ঞ দল।

এসব যৌনদাসীদের বিক্রির জন্য সম্প্রতি কয়েক মাসে আইএস একাধিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছে। একজন দাসীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক কতোটা সঙ্গতিপূর্ণ? এমন প্রশ্নের জবাবে আইএস বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য হলো- এটি সম্পূর্ণ বৈধ এবং প্রয়োজনে দাসীকে প্রহারও করা যাবে।

কিন্তু গত ২০ মে-র আগে কোন যৌনদাসীর ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে তাকে বিক্রির বিজ্ঞাপন দেয়া হয়নি। যদিও পরে সেই ছবি দুটি ফেসবুক মুছে দেয়। কিন্তু তার আগেই ছবিগুলো সংগ্রহ করে ওয়াশিংটন ভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। মিডল ইস্ট রিসার্চ ইনস্টিউট নামে এই প্রতিষ্ঠানটি জঙ্গিদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের খোঁজ-খবরে নেয়ার কাজ করে।

এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালন স্টিভেন স্ট্যালিনস্কাই বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে আলমানি জার্মান নাগরিক এবং তিনি আইএসের হয়ে যুদ্ধ করছেন। তিনি রাকা থেকে যুদ্ধে অংশ নেন এবং প্রায়ই জঙ্গিদলটির জন্য অর্থ সংগ্রহের কাজ করেন।’ এমনকি ওই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে যৌনদাসীর বিক্রির জন্য দর কষাকষিও করেছেন আলমানি।

আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীটি সদস্য সংগ্রহের জন্য ফেসবুক এবং টুইটার অ্যাকাউন্ট বেশি ব্যবহার করে। তবে সম্প্রতি মার্কিন সামাজিক এই মাধ্যম দুটি জঙ্গিদের অ্যাকাউন্ট ব্লক শুরু করেছে। কুর্দি এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়, ইরাক এবং সিরিয়াতে এই জঙ্গি গোষ্ঠীটি কমপক্ষে ১৮শ’ ইয়াজিদি নারী এবং শিশুকে বন্দি করে রেখেছে।

মেয়ারবাজারনিউজ/মা

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.