আজ: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৬ জুলাই ২০১৬, মঙ্গলবার |

kidarkar

মুদ্রানীতি: বিএসইসিকে যেসব পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

bsec-bbশেয়ারবাজার রিপোর্ট: মুদ্রানীতির প্রতিবেদনে দেশের পুঁজিবাজার অন্য যে কোন সময়ের তুলনায় অত্যাধিক স্থিতিশীল রয়েছে বলে উল্লেখ্য করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে প্রতিবেদনে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) বেশ কিছু পরামর্শও দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

উল্লেখ্য, সাধারণত মুদ্রার গতিবিধি প্রক্ষেপণ করে মুদ্রানীতি। মুদ্রানীতির অন্যতম কাজগুলো হল: এক. মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করা, দুই. ঋণের প্রক্ষেপণের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি ঋণের যোগান ধার্য করা ও তিন. মুদ্রার প্রচলন নিয়ন্ত্রণ করা।

মুদ্রানীতি প্রতিবেদনে বিএসইসিকে তার কার্যপ্রবাহে আরও মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া পুঁজিবাজারকে ন্যূনতম খরচে ইক্যুইটি সাপোর্ট দেওয়া এবং কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে সহজে পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করতে পারে সে ব্যবস্থা করা অর্থাৎ আইপিও প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ ও সহজ করার পরামর্শ বিএসইসিকে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

উদাহরণ হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, সম্প্রতি সরকার সাধারণ মানুষের জন্য পেনশন ফান্ড রেগুলেটরের অধীনে দীর্ঘমেয়াদী পেনশন সেভিং স্কীম চালু করেছে। যা বর্তমানে অত্যন্ত সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে এ ধরণের স্কীম অর্থাৎ দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের জন্য দীর্ঘমেয়াদী সঞ্চয় ফাইন্যান্সিয়াল এবং পুঁজিবাজারে ন্যূনতম খরচে ইক্যুইটি যোগানের পাশাপাশি এ বাজারের উন্নয়নেও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, ২০১০ সালের মহাধসের পর পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করতে বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যকর বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এরজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বেপরোয়া বিনিয়োগের  লাগাম টেনে ধরেছে। এতে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ মূলধনের প্রেক্ষাপটে যৌক্তিক অবস্থানে এসেছে। সারা বিশ্বেই পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ মূলধন বেসিসে নিয়ন্ত্রণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও বলছে, ২০১৬ অর্থবছরে পুঁজিবাজার সবচেয়ে স্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে। যা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্রড ইনডেক্সে (ডিএসইএক্স), বাজার মূলধন এবং মূল্য আয় অনুপাতে প্রতিফলিত হয়েছে।

জুন, ২০১৬ শেষে ডিএসইএক্স ইনডেক্স ছিল ৪৫০৭.৬ পয়েন্টে। যা জুন ২০১৫ শেষে ছিল ৪৫৮৩.১ পয়েন্টে। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে সূচক সামান্য কমেছে অর্থাৎ বাজারে বড় পতন ঘটেনি। যদিও জিডিপি’র তুলনায় বাজার মূলধন কমেছে। মে, ২০১৬ তারিখে বাজার মূলধন ছিল জিডিপি’র ১৪.৬৮ শতাংশ। যা জানুয়ারি, ২০১৬ তারিখে ছিল ১৫.২২ পয়েন্ট। অর্থাৎ জিডিপি’তে বাজার মূলধনের অংশগ্রহণ সামান্য কমেছে। এছাড়া ডিএসই’র মূল্য-আয় অনুপাত কমেছে। অর্থাৎ পুঁজিবাজার বিনিয়োগ উপযোগী অবস্থানে রয়েছে।

শেয়ারবাজারনিউজ/আ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.