আজ: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৮ অগাস্ট ২০১৬, সোমবার |

kidarkar

আইন লঙ্ঘন করে ব্যবসা করায় মামলার জালে গোল্ডেন সন

GOLDEN_SONশেয়ারবাজার রিপোর্ট: রফতানিমুখী কারখানার কাঁচামাল আমদানিতে শুল্কমুক্ত (বন্ড) সুবিধা পেয়ে থাকেন কারখানার মালিকরা। কিন্তু এসব কাঁচামাল থেকে উত্পাদিত পণ্য রফতানির বিধান থাকলেও তা মানছেন না অনেকেই। গত এক বছরে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের গোল্ডেন সন বন্ড সুবিধার অপব্যবহার করে ৫ কোটি ২০ লাখ টাকার পণ্য খোলাবাজারে বিক্রি করেছে এমন প্রমাণ পেয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাঠ পর্যায়ের তদারকি ও শুল্কায়ন পর্যায়ে নজরদারির অভাবে এমনটি হচ্ছে বলে মনে করছেন তারা। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে শুল্ক বিভাগ।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রফতানিমুখী কারখানার জন্য কাঁচামাল আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়া হয়। কিন্তু অন্য বাণিজ্যিক আমদানিকারকদের নির্দিষ্ট হারে শুল্ক-কর পরিশোধ করে একই পণ্য বা কাঁচামাল আমদানি করতে হয়। কিন্তু অনেকে রফতানিমুখী কারখানার বিপরীতে বন্ড সুবিধায় কাঁচামাল আমদানি করে তা বিক্রি করেন খোলাবাজারে। আর এটি বন্ড সুবিধায় পণ্য আমদানির শর্তের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ফলে অসম প্রতিযোগিতায় পড়তে হয় অন্য আমদানিকারকদের। আর রাজস্বহানির বিষয়টি তো রয়েছেই।

মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, বন্ড সুবিধায় আমদানিকৃত কাঁচামাল খোলাবাজারে বিক্রির দায়ে চট্টগ্রামের খোয়াজনগর এলাকার গোল্ডেন সন লিমিটেডের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। কারখানায় অভিযান চালিয়ে বন্ড সুবিধায় আনা ৫ কোটি ২০ লাখ টাকা মূল্যের বৈদ্যুতিক পাখা খোলাবাজারে বিক্রির প্রমাণ পান শুল্ক কর্মকর্তারা। বন্ড সুবিধার অপব্যবহারের মোট তিনটি অভিযোগের বিপরীতে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি চলতি বছর ও একটি গত বছর দায়ের করা হয়। এসব মামলার নম্বর হচ্ছে— ৫৩/২০১৫, ১০/২০১৬ ও ০৫/২০১৬।

এ বিষয়ে গোল্ডেন সনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেলাল আহমেদ শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে বলেন, এ প্রসঙ্গে শুল্ক বিভাগের সাথে আমাদের মামলা চলছে। তাই মামলা চলাকালীন সময়ে এ বিষয়ে এখন কোন মন্তব্য করা যাবে না।

এ প্রসঙ্গে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে বলেন, বন্ড সুবিধায় আনা পণ্য খোলাবাজারে বিক্রির ফলে সরকারের রাজস্বহানির পাশাপাশি বাণিজ্যিক আমদানিকারকরা অসম প্রতিযোগিতার মুখে পড়ছেন। বন্ড সুবিধার অপব্যবহার রোধে শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা সারা দেশে অভিযান পরিচালনা করছেন। চট্টগ্রাম অঞ্চলের শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বেশ কয়েকটি রাজস্ব ফাঁকির ঘটনা শনাক্ত করেছেন। এসব প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ফাঁকি দেয়া শুল্ক আদায়সহ তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, বন্ড সুবিধার অপব্যবহার করে খোলাবাজারে পণ্য বিক্রি করছে, এমন বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের তালিকা আমাদের হাতে রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে সরকারের রাজস্ব আদায়ের পাশাপাশি বাজারের অসম প্রতিযোগিতা রোধ করা হবে। শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া প্রতিষ্ঠানের কারখানায় গিয়ে তদারকি ও চালান ছাড়করণের সময় বাড়তি তদারকি করলে এ ধরনের ফাঁকি রোধ করা সম্ভব হবে।

শেয়ারবাজারনিউজ/আ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.