কাগজ ভিত্তিক তথ্য জমা দেয়ার ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে চাচ্ছি- বিএসইসি
শেয়াবাজার রিপোর্ট: তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো তাদের বিভিন্ন তথ্য চিঠি আকারে স্টক এক্সচেঞ্জে সরবরাহ করছে। কিন্তু এই কাগজভিত্তিক তথ্য জমা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ লক্ষ্যে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) এর সহায়তায় ক্যাপিটাল মার্কেট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প-৩ এর আওতায় ই-ডাটা (ইলেকট্রনিক ফাইন্যান্সিয়াল রির্পোটিং) চালুর উদ্যোগ নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সম্প্রতি এডগার ব্যবস্থায় ই-তথ্য সংগ্রহের প্রবর্তন বা পরিচালনের বিষয়ে ধারণা নিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে বিএসইসি।
বৈঠকের বিষয়ে বিএসইসির কমিশনার ড. স্বপন কুমার বালা জানান, আমাদের আলোচনায় এসেছিল কিভাবে এডগার ব্যবস্থায় ই-তথ্য সংগ্রহের প্রবর্তন বা পরিচালিত হবে। সে ব্যাপারে আমাদের সাহায্য করবে বলেন জানিয়েছে মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন।
তিনি বলেন, সিকিউরিটিজ নিয়ন্ত্রকের নেয়া সিদ্ধান্ত পুঁজিবাজারে ই-তথ্য সংগ্রহের ব্যবস্থা বিনিয়োগকারীদের জন্য কতটা কার্যকর তা উপলব্ধ বা বিশ্লেষণ করা হবে।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো: সাইফুর রহমান শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে বলেন, ‘সিকিউরিটিজ নিয়ন্ত্রক তালিকাভুক্ত কোম্পানি এবং পুঁজিবাজারের অন্যান্য স্টেকহোল্ডারের দ্বারা কাগজ ভিত্তিক তথ্য জমা দেওয়ার ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে চাচ্ছি। সে লক্ষ্যে ই-ডাটা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি। তবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ক্যাপিটাল মার্কেট উন্নয়ন প্রকল্প-৩ এর জন্য এই ই-ডাটা সংগ্রহের ব্যবস্থা প্রবর্তনের একটি শর্ত নির্ধারণ করেছে। আর সেটি হলো ইলেকট্রনিক ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিংয়ের ব্যবস্থা করা। যা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। যা আগামি ১ থেকে ২ বছর সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করছি’।
সাইফুর রহমান আরো বলেন, ই-তথ্য সংগ্রহের ব্যবস্থা প্রবর্তনের পর সব মধ্যস্থতাকারী এবং তালিকাভুক্ত কোম্পানির বিন্যাস সিকিউরিটিজ রেগুলেটর সেট করা তথ্যের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। যদি ই-তথ্য সংগ্রহের ব্যবস্থা চালু করা হয়, কর্মকর্তাদের বাইরে থেকে কোনো তথ্য সংগ্রহ করতে হবে না। তারা সবচেয়ে কম সময়ে একটি অনুসন্ধানের মাধ্যমে সম্ভাব্য সকল তথ্য খুঁজে পেতে সক্ষম হবে।
জানা গেছে, ইলেকট্রনিক তথ্য সংগ্রহ এবং আহরণ ব্যবস্থার জন্য প্রকল্প চালু করার পর পরামর্শক নিয়োগ করা হবে। আর টেকসই সফটওয়্যারের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ই-তথ্য সংগ্রহ এবং পুনরুদ্ধারের ব্যবস্থা করা হবে। গোপনীয় তথ্যের নিরাপত্তার জন্য তথ্য সংগ্রহ এবং আহরণ করার ক্ষেত্রে সিকিউরিটিজ নিয়ন্ত্রক শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা চিন্তা করছে বিএসইসি । বর্তমানে ৩২৮ কোম্পানি এবং ৩৫ মিউচুয়াল ফান্ড, ৫৫ মার্চেন্ট ব্যাংক, ৩৯১ ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারী, ৩৯৮ সিকিউরিটিজ হাউজ, ২১ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি এবং ৫৫ মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো বিএসইসির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
শেয়ারবাজারনিউজ/সো