ইয়াকিন পলিমারের আইপিও লিষ্ট: আপনার আইডি দেখতে ক্লিক করুন
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: প্রাথমিক গণ প্রস্তাব (আইপিও) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা কোম্পানি প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ইয়াকিন পলিমার লিমিটেডের আইপিও লটারিতে বরাদ্দ পাওয়া শেয়ার বিনিয়োগকারীদের নিজ নিজ বিও হিসাবে জমা হয়েছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর সিডিবিএলের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের নিজ নিজ বিও হিসাবে এ শেয়ার জমা হয়। এর পাশাপাশি কোম্পানির আইপিওতে যেসব বিনিয়োগকারীরা আবেদন করেছেন তাদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
তালিকায় আপনার আইডি দেখতে ক্লিক করুন
এদিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ইয়াকিন পলিমারকে তালিকাভুক্তির অনুমোদন দিয়েছে। তবে লেনদেনের তারিখ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।
এর আগে গত ১০ আগস্ট আইপিও লটারির ড্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কোম্পানিটি।
জানা যায়, এর আগে গত ১০ জুলাই রোববার থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত আইপিও আবেদন গ্রহণ করা হয়। স্থানীয় এবং অনিবাসী-উভয় ধরনের বিনিয়োগকারীকে এ সময়ের মধ্যে আবেদনপত্র জমা নেওয়া হয়।
এর আগে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ৫৭৩তম সভায় কোনো প্রকার প্রিমিয়াম ছাড়া এ কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়।
জানা যায়, প্রতি ৫০০ শেয়ার নিয়ে এর মার্কেট লট। তাই একটি আবেদনের জন্য ৫ হাজার টাকা জমা দিতে হয়। একজন বিনিয়োগকারী একক নামে একটি এবং যৌথ নামে আরও একটি আবেদন করতে পারে।
আইপিওর মাধ্যমে ইয়াকিন পলিমার লিমিটেড পুঁজিবাজারে ২ কোটি শেয়ার ছেড়ে ২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। কোম্পানিটিকে অভিহিত মূল্যে তথা ১০ টাকা দরে শেয়ার ইস্যু করার অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।
এ টাকা দিয়ে মেশিনারিজ ক্রয়, কারখানা ও প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ এবং আনুষঙ্গিক খাতে ব্যয় করবে কোম্পানিটি।
ইয়াকিন পলিমারের তৃতীয় প্রান্তিকে অর্থাৎ জুলাই, ২০১৫ থেকে ৩১ মার্চ, ২০১৬ পর্যন্ত নয় মাসে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) করেছে ১.০২ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ০.৭৮ টাকা। দেখা যাচ্ছে এক বছরের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস ৩১ শতাংশ বেড়েছে।
আলোচিত সময়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৫.৬৩ টাকা। যা ৩০ জুন, ২০১৫ সমাপ্ত অর্থবছরে ছিল ১৪.৬১ টাকা। এছাড়া তৃতীয় প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি নগদ কার্যকর প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১.৬৬ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.৩৫ টাকা।
এদিকে, জানুয়ারি, ২০১৬ থেকে ৩১ মার্চ, ২০১৬ পর্যন্ত তিন মাসে প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস হয়েছে ০.৪১ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.২৫ টাকা। দেখা যাচ্ছে আলোচিত সময়ে প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস ৬৪ শতাংশ বেড়েছে।
উল্লেখ্য, কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটাল লিমিটেড এবং ফাস ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু