বিদ্যুৎ খাতে প্রায় সাড়ে ২৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে বেক্সিমকো
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: চীনকে পাশে নিয়ে বিদ্যুৎ খাতে প্রায় ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে বেক্সিমকো গ্রুপ।
এর জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী দুটি চীনা কোম্পানির সঙ্গে বেক্সিমকো গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। চীনা প্রেসিডেন্ট শী জিমপিং এর বাংলাদেশ সফরের সময় এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
এ বিষয়ে বেক্সিমকো গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম শেয়ারবাজার নিউজকে জানান, বাংলাদেশে বেক্সিকো গ্রুপ ২ হাজার ১৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। এর জন্য দুটি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং একটি সোলার ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে এক হাজার ৯৮০ মেগাওয়াট এবং সোলার কেন্দ্র থেকে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। এর জন্য ৩.২ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রয়োজন। আর এ প্রকল্প চীনা কোম্পানি এবং বেক্সিমকো গ্রুপের অর্থায়নে সম্পন্ন হবে।
জানা যায়, গাইবান্ধায় তিস্তা সোলার পাওয়ার নামে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করবে বেক্সিমকো। এর জন্য ৪০০ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে। বেক্সিমকোর সঙ্গে চীনা বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানি টিবিইএ সোলার পাওয়ার প্ল্যান্টে বিনিয়োগ করবে। সোলার পাওয়ার প্ল্যান্টটির ৮০ শতাংশ মালিকানা বেক্সিমকোর এবং বাকী ২০ শতাংশ মালিকানা টিবিইএ এর কাছে থাকবে। আগামী ২০১৭ সালের মার্চ মাসে পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। ২০১৯ সালে জাতীয় গ্রীডে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে জানায় বেক্সিমকো।
এদিকে, ৬৬০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিট নির্মাণ করা হবে। চট্টগ্রামের বাঁশখালী এবং বোয়ালখালীতে এ দুটি ইউনিট নির্মাণ করা হবে। এর জন্য ব্যায় হবে ৮৬১ মিলিয়ন ডলার। এতে বেক্সিমকোর সঙ্গে চাইনিজ রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠান পাওয়ার চায়না রিসোর্স বিনিয়োগ করবে। বাঁশখালীর কেন্দ্রটির ২৫ শতাংশ মালিকানা এবং বোয়ালখালীর কেন্দ্রটির ২০ শতাংশ মালিকানা বেক্সিমকোর। আর এ টাকা যোগাবে চাইনিজ আইপিবিসি ব্যাংক এবং বিওসি ব্যাংক। আগামী ৫ বছরের মধ্যে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ সম্ভব হবে বলে আশা করছে বেক্সিমকো।
তবে রাজাখালে ৬৬০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লা ভিত্তিক দুটি ইউনিট নির্মাণের জন্য এখনও চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না ইলেকট্রিক পাওয়ার কনস্ট্রাকশন গ্রুপ কো এর সাথে এখনও চূড়ান্ত চুক্তি সম্পন্ন হয়নি।
শেয়ারবাজারনিউজ/আ