নতুন কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর বেড়েছে “এন” ক্যাটাগরি কোম্পানির। বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক একচেঞ্জে (ডিএসই) ‘এন’ ক্যাটাগরিতে শেয়ার দর প্রায় ১০ শতাংশ বেড়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বর্তমানে ‘এন’ ক্যাটাগরিতে মোট ১০ কোম্পানি আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর বেড়েছে ডোরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড সিস্টেম লিমিটেডের। তারই ধারাবাহিকতায় কোম্পানিটি সাপ্তাহিক টার্নওভার এবং গেইনারের শীর্ষ তালিকায় অবস্থান করছে। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানির শেয়ার দর ১৬.৯১ শতাংশ বেড়েছে। কোম্পানিটির ১ কোটি ১৯ লাখ ৫৬ হাজার ৬৭১টি শেয়ার ৯০ কোটি ২৫ লাখ ২৩ হাজার টাকায় লেনদেন হয়। সপ্তাহের শুরুতে কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয় ৭৪.১০ টাকায়। সপ্তাহ শেষে লেনদেন হয় ৮০.৯০ টাকায়।
এছাড়া ইভেন্স টেক্সটাইলের ১০.৮৬ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে। সপ্তাহের শুরুতে কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয় ২২.২০ টাকায় আর সপ্তাহ শেষে লেনদেন হয় ২৪.৫০ টাকায়। বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ৯.৬৯ শতাংশ বেড়েছে। সপ্তাহের শুরুতে কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয় ১৬.৫০ টাকায় আর সপ্তাহ শেষে লেনদেন হয় ১৮.১০ টাকায়। আইটিসির ৮.৮২ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে। সপ্তাহের শুরুতে কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয় ৪৮.৩০ টাকায় আর সপ্তাহ শেষে লেনদেন হয় ৫১.৮০ টাকায়। রিজেন্ট টেক্সটাইলের শেয়ার দর বাড়ে ২.৩৬ শতাংশ, যা সপ্তাহের শুরুতে লেনদেন হয় ১২.৭০ টাকায় আর সপ্তাহ শেষে লেনদেন হয় ১৩ টাকায়। ইয়াকিন পলিমারের ১.৬৬ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে, যা সপ্তাহের শুরুতে লেনদেন হয় ৩০.১০ টাকায় আর সপ্তাহ শেষে লেনদেন হয় ৩০.৬০ টাকায়।।
আর “এন” ক্যাটাগরিতে থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে শেয়ার দর কমেছে একমি ল্যাবটরিজ, ড্রাগন সোয়েটার এবং সিমটেক্স ইন্ডাট্রিজের। গেল সপ্তাহে কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর কমেছে যথাক্রমে ৫.১৫ শতাংশ, ৫.৬০ শতাংশ এবং ৩.১৭ শতাংশ।
এদিকে নতুন কোম্পানির মধ্যে গত বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে সদ্য তালিকাভুক্ত হওয়া ফরচুন সুজ লিমিটেড প্রথমদিনে বাজিমাত করেছে। প্রথম দিনে কোম্পানির শেয়ার দর প্রায় ৫০০ শতাংশ শেয়ার দর বাড়ে। ওইদিন কোম্পানির শেয়ার দর ৪৫ টাকায় ওপেন হলেও সর্বশেষ লেনদেনটি হয় ৬০.১০ টাকায়। আলোচিত সময়ে কোম্পানির শেয়ার দর ৪০.১০ টাকা থেকে ৬২.১০ টাকা পর্যন্ত ওঠানামা করে। আর দিনশেষে ৯৪ লাখ ৯৬ হাজার ৩০৮টি শেয়ার মোট ১৮ হাজার ৩০০ বার হাত বদল হয়। যা টাকার অংকে লেনদেন হয় ৪৮ কোটি ৬০ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।
এ বিষয়ে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, বছর শেষে ভাল রির্টাণ বা ডিভিডেন্ড পাওয়ার আশায় নতুন কোম্পানির শেয়ার ক্রয় করতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ একটু বেশিই থাকে। কারণ নতুন কোম্পানিগুলো বছর শেষে শেয়ারহোল্ডারদের কী পরিমাণ ডিভিডেন্ড দেবে তা জানা যায়। আর তাই নতুন কোম্পানির শেয়ার ক্রয়ের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ একটু বেশি থাকে।
শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর