আজ: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

৩০ নভেম্বর ২০১৬, বুধবার |

kidarkar

আইপিও জালিয়াতি বন্ধে নতুন নির্দেশনা আসছে

BSECশেয়ারবাজার রিপোর্ট: কোম্পানিগুলো প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ যেন জালিয়াতি করতে না পারে সেজন্য নতুন নির্দেশনা জারি করবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আইপিও’র অর্থ কোন খাতে কিভাবে ব্যয় করা হবে সে সম্পর্কে কোম্পানি তার প্রসপেক্টাসে যে বর্ননা দিয়েছে তার বাস্তবায়ন কতটুকু হয়েছে কিংবা কি পর্যায়ে রয়েছে অথবা কবে বাস্তবায়িত হবে সেগুলো ধারাবাহিক প্রতিবেদন বিনিয়োগকারীদের জানাতে হবে। এক্ষেত্রে কোম্পানিগুলো তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আইপিও ফান্ড ব্যবহারের তথ্য আপডেট রাখবে। প্রতিটি কোম্পানিই আইপিও অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহার করছে কিনা তা সম্পূর্ণই বিএসইসির মনিটরিংয়ের আওতায় থাকবে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর ২সিসি ধারাবলে এমনই একটি নির্দেশনা শিগগিরই জারি করা হবে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র মতে, বিদ্যমান পাবলিক ইস্যু রুলস, ২০১৫ অনুযায়ী প্রতিটি কোম্পানি তাদের আইপিও অর্থে ব্যবহার সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যাদি নিরীক্ষা করে প্রতিমাসের হিসাব শেষে ১৫ দিনের মধ্যে বিএসইসিতে জমা দেবে। কিন্তু সম্প্রতি দেখা গেছে বেশকিছু কোম্পানি আইনের এ শর্ত পূরণ করছে না। এতে কোম্পানিগুলো আইপিও অর্থের অপব্যবহার করছে কিনা সে বিষয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও ইতিমধ্যে বিএসইসির দুর্বল আইপিও মনিটরিং এবং আইনের ফাঁকফোকড়ে বেশকিছু কোম্পানি আইপিও অর্থ জালিয়াতি করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

তাই কোনো কোম্পানি যেন বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে কোনো প্রতারণার আশ্রয় নিতে না পারে সেজন্য কঠোর উদ্যোগ নিচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এক্ষেত্রে প্রতিটি কোম্পানিকেই আইপিও তথ্য ওয়েবসাইটে আপডেট রাখতে বাধ্য করা এবং এগুলোকে মনিটরিংয়ের আওতায় আনতে নতুন নির্দেশনা জারি করতে যাচ্ছে বিএসইসি।

শেয়ারবাজারনিউজ/ম.সা

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.