আজ: শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২২ জানুয়ারী ২০১৭, রবিবার |

kidarkar

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জ

calcuttaশেয়ারবাজার ডেস্ক: ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) বন্ধ করে দেয়া হবে বলে স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন ভারতের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (সেবি) চেয়ারম্যান ইউ কে সিন্‌হা। সম্প্রতি কলকাতায় ভারত চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত দেশের শেয়ার বাজার নিয়ে এক সভায় সিন্‌হা বলেন, ‘‘আমার মনে হয় না ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের টিকে থাকার কোনও সম্ভাবনা রয়েছে।’’ বস্তুতপক্ষে সিন্‌হা মনে করেন, শুধু সিএসই নয়, দেশে কোনও আঞ্চলিক স্টক এক্সচেঞ্জেরই আর প্রয়োজন নেই। ইতিমধ্যেই ১৯টি এ ধরনের এক্সচেঞ্জ বন্ধও হয়ে গিয়েছে। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

তবে সিএসই-র এক কর্তার দাবি, ‘‘সিন্‌হা ওই কথা বললেও আমাদের ধারণা, এই স্টক এক্সচেঞ্জকে চাঙ্গা করে তোলার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। কী ভাবে তা করা যায়, সেটি নিয়ে একটি সমীক্ষাও কর্তৃপক্ষ করিয়েছেন।’’

এ দিকে ২০১৬-’১৭ অর্থবর্ষে পূর্বাঞ্চল থেকে একটি সংস্থাও নতুন শেয়ার বা আইপিও ছাড়ার আবেদন করেনি। সিন্হা জানান, ‘‘শুধু ৬টি ছোট -মাঝারি সংস্থা তাদের জন্য নির্ধারিত এসএমই এক্সচেঞ্জে শেয়ার ছেড়ে ৪২ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করেছে।’’ এর কারণ খতিয়ে দেখতে বণিকসভাগুলিকে অনুরোধ করেন তিনি।

সেবি-কর্তা

বলেন, ‘‘সারা দেশে নতুন ইস্যু খাতে বাজার থেকে ২৬ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে বিভিন্ন সংস্থা। তবে এর মধ্যে সিংহভাগই আর্থিক পরিষেবা সংস্থা। উৎপাদন শিল্পের সংখ্যা খুবই কম।’’

পূর্বাঞ্চলের এক শ্রেণির লগ্নিকারীর বিরুদ্ধে এ দিন অভিযোগও আনেন সিন্‌হা। তিনি বলেন, ‘‘কিছু অসাধু লগ্নিকারী এবং ব্রোকার নিজেদের মধ্যে যোগসাজশে দীর্ঘ মেয়াদি মূলধনী লাভকর ফাঁকি দিয়েছেন। আমরা তদন্ত করে দেখেছি, মোট ১০ হাজার কোটি টাকার লেনদেনে তাঁরা ওই কর এড়িয়েছেন।’’ কী ভাবে কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে, তার বিবরণ দিতে গিয়ে সিন্‌হা বলেন, কৃত্রিম ভাবে শেয়ারের দাম বাড়িয়ে মুনাফা দেখিয়ে তার উপর দীর্ঘ মেয়াদি মূলধনী লাভকর ছা়ড়ের সুবিধা বেআইনি নিয়েছেন তাঁরা।’’ এই রকম ২০০টি সংস্থা এবং ব্যক্তিকে সেবি নোটিস দিয়েছে বলেও জানান সিন্‌হা।

দেশের শেয়ার বাজারের ব্যাপারে সিন্‌হা মন্তব্য করেন, বর্তমানে সূচকের ওঠা-নামা আগের মতো আর বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল নয়। একটি উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন যে, ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে দেশের বাজার থেকে ১১০০ কোটি ডলারের মতো লগ্নি ওই সব সংস্থা তুলে নিয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও শেয়ার বাজারের পতন হয়নি। ভারতীয় আর্থিক সংস্থা, পেনশন তহবিল এবং বিমা সংস্থা বড় অঙ্কের লগ্নি করার ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি সিন্‌হার।

শেয়ারবাজারনিউজ/ম.সা

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.