আমরা নেটওয়ার্কসের নিলামের তারিখ নির্ধারণ
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: বুক বিল্ডিং পদ্ধিতির মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়া আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেডের শেয়ার কেনার জন্য নিলামের (Bidding) তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে। যা চলবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি সাড়ে ৩টা পর্যন্ত এই বিডিং চলবে। বিডিংয়ে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানকে ২০ শতাংশ অর্থ আইএফআইসি ব্যাংকের মাধ্যমে ডিএসইতে (Account Name: Dhaka Stock Exchange Limited, Account No. 1090-344039-042 and Routing No. 120271706) জমা দিতে হবে।
এর আগে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত তথ্য হালানাগাদের সুযোগ ছিল প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের।
জানা যায়, বুক বিল্ডিং পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসছে তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের কোম্পানি আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেড। এই পদ্ধতি অনুসারে প্রথমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে নিলামের মাধ্যমে শেয়ার বিক্রি করা হবে। যে দামে তাদের জন্য সংরক্ষিত শেয়ার বিক্রি শেষ হবে, সেই দামে (Cut-off price) প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির প্রস্তাব করা হবে। ওই দাম থেকে ১০ শতাংশ ছাড়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আইপিওর মাধ্যমে শেয়ার বিক্রির প্রস্তাব করা হবে। আর তার জন্য আগামী ২৬ জানুয়ারির মধ্যে নিলামে অংশ নিতে ইচ্ছুক ইলিজিবল ইনভেস্টরদের তথ্য ও ব্যাংক হিসাবের তথ্য হালনাগাদ করার জন্য আহবান করা হয়েছে।
এর আগে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেডকে নিলামের মাধ্যমে কাট–অফ প্রাইস নির্ধারণের অনুমতি দেয়।
উল্লেখ্য, আমরা নেটওয়ার্কস হচ্ছে ২০১৫ সালে সংশোধিত পাবলিক ইস্যু রুলসের আওতায় বিডিংয়ের জন্য অনুমোদন পাওয়া প্রথম কোম্পানি। বিএসইসির অনুমোদনের ফলে আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেড শেয়ারের কাট–অফ প্রাইস নির্ধারণ করার জন্য বিডিং করতে পারবে। নিলামে ১২টি ক্যাটাগরির প্রায় আড়াইশ প্রতিষ্ঠান অংশ নিতে পারবে।
পুঁজিবাজার থেকে কোম্পানিটি ৫৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা উত্তোলন করবে। এই টাকা দিয়ে কোম্পানির বিএমআরই (আধুনিকায়ন), ডাটা সেন্টার প্রতিষ্ঠা, দেশের বিভিন্ন স্থানে ওয়াই–ফাই হটস্পট প্রতিষ্ঠা করা, আইপিওর কাজ ও ঋণ পরিশোধ করবে। কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।
৩১ ডিসেম্বর,২০১৫ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত বিররণী অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ১৬ পয়সা। শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য ২১ টাকা ৯৮ পয়সা। আর ৫ বছরের ইপিএসের গড় করলে হয় ২ টাকা ৫২ পয়সা। আর ৩০ জুন ২০১৬ সমাপ্ত নিরীক্ষিত হিসাব (৬ মাসের) অনুযায়ী ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৬৮ পয়সা। আর এনএভি হয়েছে ২৩ টাকা ৬৬ পয়সা।
স্টক এক্সচেঞ্জের অনুমোদন সাপেক্ষে ইস্যুয়ার কোম্পানি তারিখ নির্ধারণ করে একটানা ৭২ ঘন্টা বিডিংয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করবে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করা শেষ হলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে ফের অনুমতি চাইতে হবে। অনুমতি পেলে শেয়ার আবেদন ও চাঁদা জমা নেওয়ার সময়সূচি প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।
উল্লেখ্য, পুঁজিবাজারে বড় ধরনের বিপর্যয়ের প্রেক্ষাপটে ২০১১ সালের ২০ জানুযারি বুক বিল্ডিং পদ্ধতির আইপিও অনুমোদন বন্ধ করে। পরে দেশীয় প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে পদ্ধতিটি সংশোধন করে। সংশোধনের পর ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন প্রথম অনুমোদন পায়।
২০১৫ সালে বিএসইসি পাবলিক ইস্যু রুলস সংশোধন করে। এতে বুক বিল্ডিং পদ্ধতির নিয়মকানুনেও বেশ কিছু পরিবর্তন আসে।
শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর