আজ: শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৭, শনিবার |

kidarkar

রহস্যে ঘেরা বটগাছ! শিকড় কাটলেই মৃত্যু অবধারিত

huge-tree-feb-17-2017শেয়ারবাজার ডেস্ক: এই গাছের একটি শিকড় কাটলেই, যিনি সেই শিকড় কাটছেন, কিছুদিনের মধ্যেই তাকে ঢলে পড়তে হবে অবধারিত মৃত্যুর কবলে। কেউ ঠেকাতে পারবে না সেই মৃত্যু। রহস্যে ঘেরা সেই বটগাছটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হলো। খবর এবেলার।

আপনি ভূত কিংবা অশরীরী আত্মায় বিশ্বাস না করতেই পারেন। কিন্তু এটা মানতেই হবে যে, পৃথিবীতে এমন অনেক রহস্যই রয়েছে, যার যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা পাওয়া কঠিন। ভারতের পাঞ্জাবের ফতেহগড় সাহেব জেলার অন্তর্গত চরোটি খেড়ি গ্রামে স্থিত একটি প্রাচীন বট গাছকে কেন্দ্র করে দানা বেঁধেছে এরকমই কিছু অদ্ভুত রহস্য। স্থানীয় মানুষের বিশ্বাস, এই গাছের একটি শিকড় কাটলেই, যিনি সেই শিকড় কাটছেন, কিছুদিনের মধ্যেই তাকে ঢলে পড়তে হবে অবধারিত মৃত্যুর কবলে।

এই বট গাছের আশেপাশে রয়েছে জনবসতি এবং কৃষিজমি। আর পাঁচটা বট গাছের মতো এই গাছের শিকড়ও সুযোগ পেলেই মাটির ভেতর দিয়ে ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের জমিতে। অনেক সময়ে পার্শ্ববর্তী কৃষিজমিতেও হানা দেয় গাছটির শিকড়। মাটির তলায় বট গাছের মোটা শিকড় থাকলে চাষবাসের অসুবিধা হয়। ফলে সেই শিকড় কেটে ফেলাই ভালো। কিন্তু চরোটি খেড়ির কৃষকরা এই গাছের শিকড় ভুলেও কাটেন না, সে তাদের কৃষিকাজে যত অসুবিধাই হোক না কেন। প্রয়োজন হলে ওই জমিতে চাষবাস বন্ধ করে তারা চলে যান। কিন্তু গাছের শিকড় তারা কাটবেন না। কারণ স্থানীয় বিশ্বাস, এই বট গাছের একটি মূলও যিনি কাটবেন, শিকড় কাটার কয়েকদিনের মধ্যেই তার নিজের, অথবা তার কোনও নিকটজনের মৃত্যু হবে।

গ্রামবাসীরা মনে করেন, এই বট গাছের বয়স অন্তত ৫০০ বছর, এবং এই গাছের অলৌকিক ক্ষমতা রয়েছে। গ্রামের বয়স্ক মানুষ অনিল চৌহান জানালেন, “আমি আমার জীবনে অনেক মানুষ দেখেছি, যারা ওই গাছের শিকড় কাটার কয়েকদিনের মধ্যেই মারা গিয়েছে। আমাদের যৌবনে গুরপ্রীত নামের এক চাষির মৃত্যুর কথা মনে আছে। তার জমিতে ওই গাছের শিকড় বেড়ে গিয়েছিল বলে সে শিকড়টা কেটে দিয়েছিল। কিন্তু তার সাত দিনের মধ্যে কলেরা হয়ে সে মারা যায়। বছর দশেক আগেও বলবিন্দর নামের এক যুবক লোকবিশ্বাসকে ভুল প্রমাণ করার উদ্দেশ্যে সাহস করে বট গাছটির একটি শিকড় কেটেছিল। তার দিন দশেকের মাথায় ছেলেটির বউ গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। সেই থেকে আর কেউ গাছের শিকড় বা ডালপালা কাটার সাহস করে না। আর গাছটি কাটার তো প্রশ্নই ওঠে না। “

পাঞ্জাব বনদফতরের কর্মকর্তা গুরপ্রীত মান অবশ্য এইসব অলৌকিক তত্ত্ব মানতে নারাজ। তিনি বলছেন, “বনদফতরের কর্মীরা ওই গাছটি পরীক্ষা করেছিলেন। ওটি অতি সাধারণ একটি বট গাছ। গাছের শিকড় কাটার পরে মৃত্যুর যে ঘটনাগুলি ঘটেছে, তা নিতান্তই কাকতালীয়। গাছের শিকড় না কাটলেও ওই সমস্ত মৃত্যু ঘটত। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই মৃত্যুর সুস্পষ্ট কারণও রয়েছে। হ্যাঁ, গাছটি প্রাচীন ঠিকই। কিন্তু তার বয়স মোটেই ৫০০ বছর নয়। বড়জোর শ’খানেক বছরের পুরানো হবে গাছটি। বট গাছের পক্ষে ওটা এমন কিছু বেশি বয়স নয়।”

শেয়ারবাজারনিউজ/ঊ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.