যমুনা, গঙ্গা ও পদ্মা নদীর ভাঙ্গন রোধে মেগা প্রকল্প গ্রহণ
শেয়ারবাজার ডেস্ক: যমুনা, গঙ্গা ও পদ্মা নদীর ভাঙ্গন রোধে সরকার এফআরইআরএমআইপি শীর্ষক একটি মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা-৬ আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে পানি সম্পদ মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, যমুনা, গঙ্গা ও পদ্মা নদীর ভাঙ্গন রোধে সরকার এফআরইআরএমআইপি শীর্ষক একটি মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় প্রকল্পটি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে শুরু হয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত সময়ে মোট ৩টি পর্যায়ে বাস্তবায়িত হবে।
প্রতিটি পর্যায়ে এর কাজ ৩টি পৃথক ডিপিপির আওতায় বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটি বঙ্গবন্ধু সেতুর ভাটি থেকে আরিচা পর্যন্ত যমুনা নদীর উভয় তীর, গঙ্গা নদীর প্রস্তাবিত গঙ্গা ব্যারেজের ভাটি থেকে আরিচা পর্যন্ত উভয় তীর এবং পদ্মা নদীর আরিচা থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত নদীর উভয় তীর পর্যন্ত বিস্তৃত।
তিনি বলেন, গত ২০১৪ সালের ১৭ জুনে মোট ৮২৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের ডিপিপি অনুমোদন হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ শুরু হয়েছে। ট্রেন্স-১ প্রকল্পের আওতায় মোট ১৭ কিলোমিটার ৮০ মিটার নদী তীর সংরক্ষণ কাজ, ২৩ কি.মি. বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ নির্মাণ, ৪টি রেগুলেটর নির্মাণ, ভূমি পুনরুদ্ধার পাইলটিং কাজ এবং ৬০টি কমিউনিটি বেইজড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ইউনিট স্থাপন করা হবে।
নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালামের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় তিস্তা নদীর অর্ন্তবর্তীকালীন পানি বণ্টন চুক্তির ফ্রেমওয়ার্ক চূড়ান্ত করা হয়েছে। এছাড়া ফেনী নদীর অর্ন্তবর্তীকালীন পানি বণ্টন চুক্তির ফ্রেমওয়ার্ক চূড়ান্ত করা হয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, মনু, মুহুরী খোয়াই গোমতী ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি বণ্টন বিষয়েও আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। অচিরেই সমতা, ন্যায়ানুগতা এবং পারস্পরিক ক্ষতি না করার নীতির ভিত্তিতে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি সম্পাদন করা হবে। ভারতের সঙ্গে আলোচনা পূর্বক চুক্তি স্বাক্ষরের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু