শেয়ারবাজার রিপোর্ট: সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের উভয় শেয়ারবাজারে সূচকের উর্ধ্বমুখী প্রবণতায় শেষ হয়েছে লেনদেন। এদিন লেনদেনের শুরু থেকেই ৭ খাতের ক্রয় প্রেসারে টানা বাড়তে থাকে সূচক। কোম্পানিগুলো হলো: ব্যাংক, প্রকৌশল, জ্বালানী ও বিদ্যুৎ, আইটি, বিবিধ, ওষুধ ও রসায়ন এবং বস্ত্র। মঙ্গলবার সূচকের পাশাপাশি ২১৫ বা ৬৫.১৫ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। আর টাকার অংকেও লেনদেন আগের দিনের তুলায় কিছুটা বেড়েছে। আলোচিত সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬৪৪ কোটি টাকা।

এ প্রসঙ্গে একাধিক মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়,  ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার আর মাত্র দুই কার্যদিবস বাকি। এখন আর শেয়ার বিক্রি করে অর্থ তুলে নেওয়ার সুযোগ নেই। কারণ ২দিন পর ব্যাংকগুলোয় ছুটি শুরু হয়ে যাবে। যার কারণে গতকালের ধারবাহিকতায় আজও বাজারে ক্রয় চাপ বেড়েছে। অন্যদিকে ঈদের পর বাজার ভালো হবে এই আশায় অনেকে শেয়ার কিনে রাখছেন। পাশাপাশি নতুন বিনিয়োগের ফলে উভয় বাজারে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে।

দিনশেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৪৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫৫২৭ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১২৭২ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ২০৪৯ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩২৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২১৫টির, কমেছে ৬৭টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৭টি কোম্পানির শেয়ার দর। যা টাকায় লেনদেন হয়েছে ৬৪৪ কোটি ৭৪ লাখ ২৪ হাজার টাকা।

এর আগে সোমবার ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৫৪৭৮ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১২৬২ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ২০৩২ পয়েন্টে। ওইদিন লেনদেন হয় ৫৪০ কোটি ৮৮ লাখ ৯২ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১০৩ কোটি ৮৫ লাখ ৩২ হাজার টাকা বা ১৯.২০ শতাংশ।

এদিকে দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক ৭১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১০ হাজার ৩৪০ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৪৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৬৮টির, কমেছে ১৬টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টির। যা টাকায় লেনদেন হয়েছে ৪৮ কোটি ২৩ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু