আজ: শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৬ জুলাই ২০১৭, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

আম খেয়েই সরে গেল পথের কাঁটা!

mangoশেয়ারবাজার ডেস্ক: বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির শিয়ালপাড়ায় মৃত্যু হয়েছিল পেশায় এলআইসি-র ডেভেলপমেন্ট অফিসার উত্তম মোহান্তর। আর সেই ঘটনার তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল পুলিশ। তদন্তকারীদের অনুমান, আমের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে উত্তমবাবুকে খুন করা হয়েছিল। আর এই ঘটনায় সন্দেহের তির মৃতের স্ত্রী এবং তার প্রেমিকের দিকে।

ঘটনার পরেই মৃত উত্তমবাবুর স্ত্রী লিপিকা মোহান্তকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। লিপিকার অবশ্য দাবি, তার প্রেমিক অনির্বাণ রায়ই নাকি মুড়ি এবং আমের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে দিয়েছিল। যদিও এখনই লিপিকার কথা বিশ্বাস করছে না পুলিশ। কারণ, অভিযুক্ত প্রেমিক অনির্বাণকে এখনও গ্রেফতার করা যায়নি। পুলিশের ধারণা, নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতেই পলাতক প্রেমিকের ঘাড়ে যাবতীয় দোষ ঠেলছে অভিযুক্ত স্ত্রী।

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত উত্তমবাবু পেশাগত ব্যস্ততার জন্য অধিকাংশ সময়েই তাঁর জলপাইগুড়ির বাড়িতে থাকতেন না। অন্যদিকে, অভিযুক্ত অনির্বাণ লিপিকার বন্ধুর পরিচয়ে উত্তমবাবুর বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করতো। পেশায় ছোটখাটো ঠিকাদার অনির্বাণ উত্তমবাবুর থেকে এলআইসি-র পলিসিও করিয়েছিল।

পুলিশি জেরায় লিপিকা দাবি করেছে, অনেক দিন ধরেই উত্তমবাবুর বাড়ি, জমির হাতানোর মতলব করেছিল অনির্বাণ। বেশ কয়েকবার তার মুখে উত্তমবাবুকে সরিয়ে দেওয়ার কথাও সে শুনেছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছে মৃতের স্ত্রী। ঘটনার দিনেও অনির্বাণ তাদের বাড়িতে ছিল বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছে লিপিকা।

মৃতের স্ত্রীর আরও দাবি, অনির্বাণই উত্তমবাবুকে খেতে দেওয়া মুড়ি এবং আমের মধ্যে বিষ মেশায়। এমনকী, বিষক্রিয়ায় উত্তমবাবুর মৃত্যু পরে এক আয়ুর্বেদিক চিকিৎসককে নিয়ে এসে ডেথ সার্টিফিকেট লিখিয়ে নেয় অনির্বাণ। সেখানে লেখা হয়, উত্তমবাবুর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। ধনঞ্জয় চতুর্বেদী নামে ওই চিকিৎসককেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খোঁজ চলছে এক অ্যাম্বুল্যান্স চালকেরও।

ঘটনার পর থেকেই অবশ্য অভিযুক্ত অনির্বাণ রায় পলাতক। তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করে লিপিকাদেবীর দাবি খতিয়ে দেখতে চায় পুলিশ। ময়নাতদন্তে ইতিমধ্যে প্রমাণিত, বিষক্রিয়াতেই মৃত্যু হয়েছে উত্তমবাবুর।

জলপাইগুড়ির এই ঘটনার সঙ্গে পুলিশকর্তারা বারাসতের মনুয়াকাণ্ডের মিল খুঁজে পাচ্ছেন। ওই ঘটনাকেও স্বামীর খুনের যাবতীয় দায় নিজের প্রেমিক অজিতের উপরে চাপাতে চেয়েছিল অভিযুক্ত স্ত্রী মনুয়া মজুমদার। সূত্র: এবেলা

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.