আজ: শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০১ অগাস্ট ২০১৭, মঙ্গলবার |

kidarkar

করপোরেট বন্ডকে এসএলআরে যুক্ত করার প্রস্তাব দিবে বিএসইসি

bsec-bbশেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে করপোরেট বন্ডের অংশ বাড়াতে ব্যাংকের এসএলআর হিসাবে যুক্ত করার প্রস্তাব দিবে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

আজ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত নিয়ন্ত্রক সংস্থাদের সমন্বয় সভায় পুঁজিবাজারের পক্ষে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এমন এজেন্ডা উপস্থাপন করবে।

বিএসইসি’র মতে, পুঁজিবাজারে বন্ডের শক্তিশালী অবস্থান স্থিতিশীলতার অন্যতম উপাদান। বন্ডে মুনাফার নিশ্চয়তা রয়েছে। বিশেষ করে করপোরেট বন্ড সেকেন্ডারি মার্কেটে সহজে লেনদেন করা যায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহায়তায় করপোরেট বন্ড ব্যাংকের এসএলআর হিসাবে যুক্ত করে এর বিকাশ সম্ভব। এতে প্রাতিষ্ঠানিক এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বন্ডটি জনপ্রিয় হবে।

পুঁজিবাজারে ২টি করপোরেট বন্ড রয়েছে। এগুলো হল—  আইবিবিএল মুদারাবা পারপেচুয়াল বন্ড ও সাব ২৫% কনভারটেল বন্ডস অব ব্র্যাক ব্যাংক। এ দুটি করপোরেট বন্ড বাজারে লেনদেন হচ্ছে।

এসএলআর: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে তফসিলি ব্যাংকগুলোর বাধ্যতামূলক জমা সঞ্চিতির অনুপাত হলো বিধিবদ্ধ জমা অনুপাত (স্ট্যাটুটরি লিকুইডিটি রেশিও বা এসএলআর) এবং নগদ জমা সংরক্ষণ (ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও বা সিআরআর)। এ দুটি অনুপাত পৃথক ভাবে গণনা করা হয়।

বর্তমানে এসএলআর ও সিএসআর এর আওতায় ১৯ শতাংশ পরিমাণ তারল্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে সংরক্ষণ করতে হচ্ছে ব্যাংকগুলোকে, যা সার্বিকভাবে এসএলআর হিসেবে পরিচিত। তবে এ ১৯ শতাংশ এসএলআরের মধ্যে ৬ শতাংশ সিআরআরও রয়েছে।

এ ১৯ শতাংশ এসএলআরের সবটাই ব্যাংকগুলোর তারল্য সম্পদ হিসেবে গণ্য। এর আওতায় নগদ অর্থ, স্বর্ণ ও সরকারের ট্রেজারি বিল ও বন্ড অন্তর্ভুক্ত।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা আছে, ব্যাংকের ক্ষেত্রে সিআরআরের অতিরিক্ত নগদ জমাসহ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সহজে বিনিময়যোগ্য সম্পদের রক্ষণীয় মাত্রা তাদের মোট তলবি ও মেয়াদি দায়ের অন্যূন ১৩ শতাংশ এবং ইসলামী শরীয়াহ্ ব্যাংকের ক্ষেত্রে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ হতে হবে।

এছাড়া সেকেন্ডারি মার্কেটে ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন সহজ করতে করণীয় বিষয়ে সমন্বয় সভায় এজেন্ডা হিসেবে উপস্থান করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা জানান, ট্রেজারি বন্ডের ইক্যুইটি লেনদেনে আইনি সমস্যা রয়েছে। এগুলো নিয়ে কাজ করার সময় এসেছে। কারণ স্থিতিশীল এবং অংশগ্রহণমূলক পুঁজিবাজার গড়তে শক্ত বন্ড মর্কেট প্রয়োজন।

শেয়ারবাজারনিউজ/আ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.