বাজারে স্হায়ী স্থিতিশীলতা আনয়নে ৫ সিদ্ধান্ত নেয়া জরুরি
যে পরিস্তিতি বা যেভাবেই হোক বর্তমানে শেয়ার বাজার যেভাবে স্থিতিশীল পর্যায়ের দিকে যাচ্ছে সেটাকে ধরে রাখাটাই DSE এবং BSEC এর বড় চ্যালেঞ্জ। কারন ২০১০ সালের ধস পরবতী সময়ে কমপক্ষে চারবার স্থিতিশীল পযায়ের দিকে ধাবিত হচ্ছিল। কিন্তু প্রতিবারই কতৃপক্ষের দূরদশিতার অভাবে বাজার স্হায়ী স্থিতিশীলতায় আসতে পারেনি। যদিও এবারের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী কতৃপেক্ষর বাজার মনিটরিং এবং বিনিয়োগকারীদেরকে সচেতন করানোর প্রয়াস ব্যাতিক্রম হওয়ায় বিনিয়োগকারীরা অন্তত এবার স্হায়ী স্থিতিশীল বাজার পাবার আশা করতেই পারে।
আর এর জন্য আমরা মনে করি বতমান পরিস্তিতিতে কতৃপক্ষ হঠাৎ এমন কোন সিদ্বান্ত নিবেননা যেন বাজার পুনরায় ৫ম বারের মতন অস্থিতিশীল পযায়ে চলে যায়। কারন বতমানে সূচক ছয় হাজার পার হবার পর যেকোন চক্র স্বাথ হাসিলের আশায় কতৃপক্ষকে ভুল বুঝিয়ে কোন হঠকারী সিদ্বান্ত নিতে বাধ্য না করাতে পারে এবং প্যানিক ঘটিয়ে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা না করতে পারে সে দিকটা নজর দেওয়া বতমানে অত্যন্ত জরুরি। তাই আমরা মনে করি এই স্থিতিশীলতাকে চিরস্হায়ী রূপ দিতে কতৃপক্ষের বতমানে নিন্মের বিষয়গুলির প্রতি নজর দেওয়া উচিত।
যথা: ১। স্বল্প মুলধনী কোম্পানীগুলোকে আলাদা EXCHANCE করে পৃথক করা ।
২। মাচেন্ট ব্যাংক ও হাউজগুলোকে মনিটরিং করার প্রয়াস অব্যাহত রাখা ।
৩। ICB কে দিয়ে নতুন ভাবে একটি স্হায়ী স্থিতিশীল কমিটি গঠন করা যার কাজ হবে স্বয়ং MD বা CEOএর প্রতিদিনের বাজার মনিটরিং করা।৪। BSEC পরিচালিত বিনিয়োগশিক্ষা কমসূচি চালু রাখা এবং কিভাবে শেয়ার বাজারে প্যানিক হওয়া থেকে মুক্ত থাকা যায় তার প্রচার নিয়মিত করা । এবং
৫। এবং যত দ্রত সম্ভব বাজারে T-0 বাস্তবায়ন করা।
লেখক ও গবেষকঃ মোঃ আব্দুল মতিন চয়ন
গ্লোব সিকিউরিটিজ লিঃ রাজশাহী শাখা এবং ICML রাজশাহী শাখা।