প্রফিট তুলেছেন বিনিয়োগকারীরা
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসের মধ্যে ৩ দিনই কমেছে সূচক। বাকি দুই কার্যদিবস সূচক কবাড়লেও এর মাত্রা ছিলো সামান্য। তাই গত সপ্তাহে (১৭-২১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব ধরনের সূচক কমেছে। তবে চতুর্থ কার্যদিবসে দিবসে ব্যাংক খাতের নেতিবাচক প্রভাবে কারেকশন হয়েছে সূচকে। গত সপ্তাহজুড়েই বিনিয়োগকারীরা প্রফিট টেকিং মুডে ছিলেন। এদিকে সূচকের পাশাপাশি ৭০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। আর গত সপ্তাহে লেনদেনের পরিমানও কমেছে। আলোচিত সপ্তাহটিতে লেনদেন কমেছে ০.৯৬ শতাংশ। তবে প্রধান সূচক কমেছে ০.৫৪ শতাংশ।
সমাপ্ত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব ধরণের মূল্য সূচক কমেছে। সপ্তাহশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স সূচক বেড়েছে দশমিক ৫৪ শতাংশ বা ৩৩.৪৩ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই৩০ সূচক কমেছে ১ দশমিক ২৪ শতাংশ বা ২৭.৬৫ পয়েন্ট। অপরদিকে, শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ বা ২৩.৩৯ পয়েন্টে।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৩টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ২৩৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টির। আর লেনদেন হয়নি ১টি কোম্পানির শেয়ার। এগুলোর ওপর ভর করে গত সপ্তাহে লেনদেন হয় ৬ হাজার ১০৫ কোটি ২৪ লাখ ৫৫ হাজার ১২৮ টাকার শেয়ার। যা এর আগের সপ্তাহে ছিলো ৬ হাজার ১৬৪ কোটি ২৯ লাখ ৮২ হাজার ৫৫৮ শেয়ার। সেই হিসাবে গত সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ৫৯ কোটি ৫ লাখ ২৭ হাজার ৪৩০ টাকা বা ০.৯৬ শতাংশ।
সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯১ দশমিক ৪২ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২ দশমিক ৪৩ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে ১ দশমিক ৫২ শতাংশ।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সেচঞ্জের (সিএসই)সার্বিক সূচক কমেছে ৭১ দশমিক ৫২ পয়েন্ট বা দশমিক ৬১ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ২৯০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮০টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ২০০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টির। আর সপ্তাহশেষে লেনদেন হয়েছে ৪৩০ কোটি ৯০ লাখ ৫৭ হাজার ২১৬ টাকা।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু