লোকসানে মাইডাস ফাইন্যান্স:ডিভিডেন্ড না দেওয়ার আশঙ্কা
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: ২০১৪ সালে লোকসানে থাকা সত্ত্বেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি’র বিশেষ বিবেচনায় রাইট ইস্যুর অনুমোদন পাওয়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের মাইডাস ফাইন্যান্স তৃতীয় প্রান্তিকের শেষ তিন মাসে মুনাফার মুখ দেখেছে।
এতে চলতি অর্থ বছরের প্রথম ৯ মাসে কোম্পানিটির লোকসান এর আগের বছরের তুলনায় কমেছে। যদিও এই ৯ মাসে কোম্পানিটি ১১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা নীট লোকসানে রয়েছে।
এর আগের দুটি প্রান্তিকেই কোম্পানিটি লোকসানে ছিল।
কোম্পানিটির সর্বশেষ প্রকাশিত তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম ৯ মাসে কোম্পানিটি লোকসান থেকে বের হতে না পারায় এবারও শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড দিতে পারবে না বলে আশঙ্কা করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটি তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ার’১৫-মার্চ’১৫) কর পরিশোধের পর নীট মুনাফা করেছে ৩ কোটি ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এই সময় শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৩০ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে কোম্পানিটির নীট লোকসান ছিল ১৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১.৩২ টাকা।
আলোচিত ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই’১৪-মার্চ’১৫) কোম্পানিটির নীট লোকসান হয়েছে ১১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১.১৬ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে এই লোকসানের পরিমাণ ছিল ৩১ কোটি ১৫ লাখ টাকা এবং শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৩.১০ টাকা। ৩১ মার্চ ২০১৫ পর্যন্ত কোম্পানিটির সমন্বিত লোকসান হয়েছে ৫৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
প্রসঙ্গত, ২০১৩-২০১৪ হিসাব বছরে লোকসানে থাকার কারণে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের কোন ডিভিডেন্ড দিতে পারেনি। আর এ লোকসান অব্যাহত থাকায় বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ারদর ফেসভ্যালুর (অভিহিত মূল্য) নীচে নেমে এসে এখন ৮ টাকা থেকে ৯ টাকায় লেনদেন হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে লোকসানে থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ অনুযায়ী পরিশোধীত মূলধন ১০০ কোটি টাকা করার জন্য বিএসইসি কোম্পানিটিকে রাইট ইস্যুর মাধ্যমে ৬ কোটি ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৩৮টি সাধারণ শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে ৬০ কোটি ১৩ লাখ ৪৩ হাজার ৩৮০ টাকা উত্তোলন করার অনুমতি দিয়েছিল।
অথচ এর আগে ২০১২ সালে বিএসইসি লোকসানে থেকে রাইট আবেদন করার জন্য কোম্পানিটিকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছিল।
শেয়ারবাজারনিউজ/তু