চোখের দৃষ্টি বাড়ায় তালমিছরি!
শেয়ারবাজার ডেস্ক: তালমিছরিতে আছে প্রচুর পরিমাণে এসেনশিয়াল ভিটামিনস, মিনারেলস, ক্যালশিয়াম, পট্যাশিয়াম, আইরন, জিঙ্ক, ফসফরাস ইত্যাদি আর আমাইনো এসিডস। একটি অল্প লভ্য ভিটামিন, বি ১২,যা মূলত আমিষাশী খাবারেই পাওয়া যায়,তা পাওয়া যায় এই তালমিছরিতে।
এ ছাড়াও এতে আছে ২৪ টি প্রাকৃতিক উপাদান,যার জন্য এটি প্রভূতভাবে আয়ুর্বেদিক ঔষধি তৈরির ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়। ছোটবেলাতেই আগেকার দিনে বাচ্চাদের দেওয়া হতো তালমিছরির জল। গুড় এবং চিনিতে কৃমির প্রকোপ বাড়ে। তাই তালমিছরিই ভরসা। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক তালমিছরির নানা ধরনের উপকারিতা সম্পর্কে-
১) অ্যানিমিয়া-
তালমিছরিতে প্রচুর পরিমানে আয়রন থাকার কারনে এটা অ্যানিমিয়াতে ভীষণ ভাবে কাজে দেয়। বিশেষত মেয়েদের জন্য তালমিছরি খুব উপকারী। আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন লেভেল ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
২) সর্দি কাশির উপশম করে-
তালমিছরির রস কাশি উপশম করতে সাহায্য করে এবং গলায় শ্লেষ্মা নরম করে দেয়, ফলে গলায় খুশখুশানি কমে যায়। এক টুকরো তালমিছরি মুখে নিয়ে চুষলে সর্দিতে এবং কাশিতে আরাম পাওয়া যায়। ছোট বাচ্চাদের জন্য ওষুধ না ব্যবহার করে তালমিছরির প্রয়োগ করে দেখতে পারেন। এটি ঠান্ডা লাগাও প্রতিরোধ করে।
৩) চোখের দৃষ্টি বাড়ায়-
বাদাম,মৌরী,তালমিছরি এবং গোলমরিচ এক সাথে গুঁড়ো করে রোজ রাতে এক চামচ করে দুধের সাথে খেলে তা চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
৪) ক্লান্তি দূর করে-
তালমিছরিতে ডায়েটারি ফাইবারের প্রাচুর্যের জন্য এটি হজমে সাহায্য করে এবং কন্সটিপেশান সারিয়ে তোলে। এছাড়াও চিনি বা মধুর তুলনায় তালমিছরি আমাদের শরীরে অনেক কম পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট তৈরি করে, ফলে তালমিছরি সেবনে ক্লান্তি অনেক কম হয়, শরীরকে সতেজ রাখে।
৫) সাইনাসের সমস্যা দূর করে-
সাইনাসের জন্য বা চোখের জন্য মাথা ধরা খুব সাধারণ একটি ব্যাপার। বহু মানুষ এই সমস্যায় ভোগেন। আদার রসের সাথে তালমিছরি খেলে সাইনাস জনিত মাথাধরা থেকে উপশম মেলে। তুলসী পাতা, তালমিছরি আর গোটা মরিচ একসাথে খেলেও উপকার পাওয়া যায়।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু