আজ: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৫ মে ২০১৫, মঙ্গলবার |

kidarkar

মুসক অর্ধেক করার দাবি ঢাকা চেম্বারের

NBR_Dhaka_Chamber_Pree_Budgetশেয়ারবাজার রিপোর্ট: পণ্যের বিক্রির পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট হার অর্ধেকে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই)। দাবি অনুযায়ী নতুন ভ্যাট আইনে পন্যের বিক্রির পর্যায়ে মুসক ১৫ শতাংশ থেকে নামিয়ে ৭.৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ সব প্রস্তাবনা দেয় সংগঠনটি।

এই দাবির পাশাপাশি আসন্ন বাজেটে কর্পোরেট কর কমানো, ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা, বেশ কিছু পণ্যে উৎসে কর প্রত্যাহারসহ ৫৩টি প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি।

প্রস্তাবনায় ঢাকা চেম্বারের সভাপতি হোসাইন খালেদ বলেন, বিগত কয়েক মাসের রাজনৈতিক অচলাবস্থায় ব্যবসায়ীরা স্বাভাবিক কাজ চালিয়ে যেতে পারেননি। ব্যাংক ঋণ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করায় ঋণ পরিশোধ করে ব্যবসা পরিচালনা করাই তাদের পক্ষে কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমতাবস্থায় বিগত কয়েক মাসের ব্যবসার ওপর ৫০ শতাংশ ভ্যাট মওকুফ করা দরকার।

নতুন ভ্যাট আইনে বহু স্তরের ভ্যাট তুলে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে ভ্যাটের যে হার রয়েছে তা যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি। ব্যবসায়ীদের টিকিয়ে রাখতে ভ্যাটের এ হার ১৫ শতাংশ থেকে অর্ধেকে নামিয়ে ৭.৫ শতাংশে নিয়ে আসা দরকার।

তিনি আরো বলেন, গত কয়েক বছর ধরে বাজেটের আকার ক্রমাগত বাড়ছে। চলতি বছরের বাজেট ২ লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে আগামী অর্থবছরে ২ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা বাজেটের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাজেটের পরিমাণ বাড়ানো হলেও ব্যবসায়ীদের সুযোগ বাড়ানো হচ্ছে না। অথচ ব্যবসায়ীদের দেওয়া করের টাকায়ই বাজেট বাস্তবায়ন হয়ে থাকে।

বিগত বাজেটে ঢাকা চেম্বারের বিভিন্ন প্রস্তাবনা গুরুত্বসহ বিবেচনার কথা জানিয়ে আগামী বাজেটের জন্য আয়কর, মূসক ও শুল্ক খাতে ৫৩টি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন হোসাইন খালেদ।

লিখিত বক্তব্যে ডিসিসিআই সভাপতি চেম্বার ও ট্রেড বডির ওপর কর প্রত্যাহার, পাট শিল্পের জন্য বিশেষ প্রণোদনা, প্রতি পণ্যের নির্দিষ্ট মূল্য ঘোষণা, কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কর্মসূচি আয়করমুক্ত ঘোষণা, ইন্টারনেট ব্যবহারের ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানান।

পুঁজিবাজারের ভঙ্গুর অবস্থা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিএসই’র লেনদেন গত ৫ বছরে ৭০ শতাংশ করলেও টার্নওভারের ওপর অগ্রিম আয়কর একই অবস্থায় রয়েছে। অর্থনীতির এ প্রধান চালিকাশক্তিকে টিকিয়ে রাখতে এ করের হার দশমিক ৫ শতাংশ থেকে দশমিক ২৫ করা দরকার।

ডিসিসিআইর দাবির প্রেক্ষিতে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে শুধু ব্যবসায়ীরা নন; সবাই ক্ষতিগ্রস্ত। ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবনা আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখব। আমাদের মূল উদ্দেশ্য ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করা। ব্যবসায়ীদের ভ্যাট প্রদানকে সহজতর করা।

তিনি বলেন, রাজস্ব আয় বাড়াতে এনবিআর নতুন কর্মপরিকল্পনা ঠিক করেছে। করের পরিধি বাড়াতে আগামীতে উপজেলা পর্যায়ে কর মেলা করা হবে। রাজস্ব আহরণের সব পর্যায়ে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে।

এনবিআরের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদক, সিনিয়র সাংবাদিক, ডিসিসিআইয়ের পরিচালকবৃন্দ, এনবিআরের বিভিন্ন বিভাগের সদস্য ও বাজেট প্রণয়ন কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ারবাজারনিউজ/রু/মু/ও/তু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.