আজ: রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৭ জুন ২০১৬, মঙ্গলবার |

kidarkar

জয় আর্জেন্টিনার

argentinaশেয়ারবাজার ডেস্ক: চার বছর পরে হলেও স্মৃতিটা ফিরে আসতই। মাত্র এক বছর পরে আবারও কোপা আমেরিকা হচ্ছে, প্রথম ম্যাচেই আবার সেই চিলির বিপক্ষেই ম্যাচ বলে আর্জেন্টিনার ক্ষতটায় খোঁড়া লাগল। গতবার ফাইনালে এই চিলির বিপক্ষেই তো টাইব্রেকারে ম্যাচ হারল আর্জেন্টিনা, টানা দ্বিতীয় বছর বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে গিয়েও পারল না দীর্ঘ শিরোপা-খরা ঘোচাতে। গতবারের টাইব্রেকারের অন্যতম খলনায়ক আজ নায়ক হয়ে গেলেন। এভার বানেগা একটা গোল করলেন, এর আগে অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়াকে দিয়ে করিয়েছেন একটা। আর এই দুই গোলেই আর্জেন্টিনা জিতল ২-১ ব্যবধানে।

ব্যবধান আরও বড় হতেই পারত। তা হয়নি আর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতা আর চিলি গোলরক্ষক ক্লদিও ব্রাভোর দৃঢ়তায়। বিশেষ করে গঞ্জালো হিগুয়েইন আর এরিক লামেলার দুটি শট ব্রাভো ঠেকিয়েছেন দারুণভাবে, যে দুটি গোল না হওয়াতে হিগুয়েইন আর লামেলাকে অবাক বিস্ময়ে, হতাশায় মাথা হাত পর্যন্ত তুলতে হলো। আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক সার্জিও রোমেরোও দুর্দান্ত খেলেছেন। তবে আর্জেন্টিনার চিরায়ত দুর্বল যে জায়গা, সেই রক্ষণে দুর্দান্ত উন্নতি আজ চোখে পড়েছে। নিজেদের রক্ষণে প্রতিপক্ষকে শট নেওয়ার সামান্য জায়গা দেয়নি। এ কারণে প্রতি–আক্রমণে যে কয়টি সুযোগ তৈরি করেছিল চিলি, তা কাজে আসেনি। যদিও যোগ করা সময়ে সেট পিস থেকে একটা গোল খেয়ে গেছে আর্জেন্টিনা। অবশ্য ততক্ষণে ম্যাচই শেষ।

চোট আর ভ্রমণক্লান্তি পুরো কাটিয়ে ওঠেননি বলে এই ম্যাচে খেলেননি লিওনেল মেসি। ম্যাচের পুরো সময়ে সান্তা ক্লারার গ্যালারিতে মেসি মেসি স্লোগান উঠল থেমে থেমে। বিশেষ করে প্রথমার্ধে। আর্জেন্টিনা যে কিছুতেই খুলতে পারছিল না গোলমুখ। ডাগ–আউটে খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি নিয়ে বসে থাকা মেসিকেও দেখাচ্ছিল চিন্তিত।

কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা দুর্দান্ত করে আর্জেন্টিনা। আক্রমণের পর আক্রমণে চিলির অটুট রক্ষণে চিঁড় ধরায়। আর তা থেকেই বানেগার দুর্দান্ত বাড়িয়ে দেওয়া বলে ব্রাভো আর বাঁ পোস্টের সামান্য ফাঁকা জায়গা দিয়েই বল জালে পাঠিয়ে দেন ডি মারিয়া। ম্যাচের ঘড়িতে তখন ৫১ মিনিট।

সাত মিনিট পরেই এবার ডি মারিয়া ঋণ শোধ করেন। তাঁর বাড়ানো বল থেকে বানেগার জোরাল শট চিলি ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে খানিকটা দিক বদলে চলে যায় জালে। গত বছর ফাইনালে টাইব্রেকারে নেওয়া বানেগার শট ব্রাভো ঠেকিয়ে দেওয়াতেই নিশ্চিত হয়েছিল আর্জেন্টিনার পরাজয়।

সেদিনের আরেক খলনায়ক হিগুয়েইনও প্রায়শ্চিত্ত করতে পারতেন। কিন্তু ৬৬ মিনিটে তাঁর শট দারুণ রিফ্লেক্সে ঠেকিয়ে দেন ব্রাভো। পা দিয়ে। বদলি হিসেবে নামা লামেলাকেও ম্যাচের শেষ দিকে গোল বঞ্চিত করেছেন। ওই শেষ প্রান্তেই ফ্রি কিক থেকে গোল খেয়ে গেছে আর্জেন্টিনা। পুরো ম্যাচে মার্টিনোর খাতায় এই একটাই লাল দাগ। পাশাপাশি বিশ্বের সেরা দুই স্ট্রাইকারকে নিয়েও কেন বারবার অন্য কারও গোলে আর্জেন্টিনাকে পার হতে হচ্ছে, এটা নিয়েও নিশ্চয়ই ভাববেন কোচ।

গত দুটি কোপার শুরুটা ভালো হয়নি। ড্র দিয়ে শুরু করেছিল আর্জেন্টিনা। তবে এবার চ্যাম্পিয়নদের মোটামুটি একপেশে ম্যাচে হারিয়ে দিয়ে শুরু করল। এবং আরও একবার সমর্থকদের আশায় বুক বাঁধাল। এইবারই কি তবে…।

শেয়ারবাজারনিউজ/আ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.