ভারতীয় পত্রিকা আনন্দ বাজার সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে এটা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
প্রশ্ন উঠছে এ বয়সের শিশু অভিনেতাকে দিয়ে নেগেটিভ চরিত্র করানোটা কতটা যুক্তিসঙ্গত? সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে বিতর্কের ঝড় বইছে।
বিয়য়টি নিয়ে সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘এটা একদম ঠিক হচ্ছে না। মোটেই ভাল মেসেজ নয়। আমি তো বলব অত্যন্ত কুরুচির পরিচয়। আমার বাড়িতেও এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমি দেখেছি, মেয়েটি এত বুদ্ধি করে দুষ্টুমি করে যেটা ওর পক্ষে করা অসম্ভব। বাস্তবে এমন মেয়ে আছে কি না আমার জানা নেই। তবে এতটা নেগেটিভ দেখানো বোধহয় ঠিক নয়। ওর মনেও তো প্রভাব পড়তে পারে!’
তুলি চরিত্রে অভিনয় করতে করতে সিঞ্চনার বাস্তব চরিত্রেও তো এর প্রভাব পড়তে পারে? এমন প্রশ্নের উত্তরে মনোবিজ্ঞানী মোহিত রণদীপ বলেন, ‘আশঙ্কাটা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে ওকে না দেখে বলাটা বেশ মুশকিল। দেখতে হবে কতটা ও নিজে অভিনয় করছে, আর কতটা ওকে দিয়ে করানো হচ্ছে।’
সিঞ্চনার মা রীতা সরকারের দাবি— এর কোনো প্রভাব পড়েনি সিঞ্চনার ওপর। তুলির মা বললেন, ‘দেখুন আমার মেয়ে ক্যামেরার সামনে তুলি আর ক্যামেরা অফ হলেই আমার মনে হয়নি ওর কোনো চেঞ্জ হয়েছে। ও ভাল অভিনয় করছে। আমি তাতেই খুশি।’
অন্যদিকে ক্ষেপেছেন দর্শকও। অধিকাংশ দর্শকের মতামত তারা চান না বাড়ির ছোটরা এ সিরিয়াল দেখুক। কলেজপড়ুয়া শ্রীতমার কথায়, ‘তুলি অভিনয়টা ফাটাফাটি করছে কোনো সন্দেহ নেই। সে জন্যই গায়ে জ্বালা ধরছে আমাদের। তবে আমার ভাইঝি ক্লাস ফোরে পড়ে। ওকে আমরা সিরিয়ালটা দেখতে দেই না। কারণ ওটা দেখে ওই অ্যাটিটিউড যদি কপি করার চেষ্টা করে, সেই ভয়টা তো আছেই।’
এ মুহূর্তে টেলি দুনিয়ার পয়লা সেলেব ‘ভুতু’ ওরফে আরশিয়া মুখোপাধ্যায়। সরাসরি প্রশ্ন করা গেল ভুতুর মা ভাস্বতী মুখোপাধ্যায়কে। এ অফারটা ভুতু পেলে রাজি হতেন? ছোট্ট পোজ নিয়ে ভাস্বতী বললেন, ‘হয়তো রাজি হতাম না।’
মোহিতের কথায়, ‘আমাদের একটা প্রপার গাইডলাইন থাকা দরকার। এত ছোট বাচ্চাকে দিয়ে এগুলো করানো ঠিক কি না সেটা আগে ঠিক করতে হবে।’
অন্যদিকে ‘পটলকুমার গানওয়ালা’ টিম এর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পক্ষে কোনো সাড়া মেলেনি।
শেয়ারবাজারনিউজ/মা