আজ: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৫ অক্টোবর ২০১৮, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

লালবাগ কেল্লার সুড়ঙ্গ রহস্য!

শেয়ারবাজার ডেস্ক: মুঘল ঐতিহ্য নিয়ে এখনো টিকে আছে লালবাগ কেল্লা। তবে নেই আদি কারুকাজ ও সৌন্দর্য। আজও আছে এর ভিতরে থাকা সুড়ঙ্গ নিয়ে নানা রহস্য। কল্পকাহিনী। লালবাগ কেল্লার দক্ষিণ-পূর্ব দেয়ালের সঙ্গে যুক্ত এ সুড়ঙ্গপথটি। সুড়ঙ্গের পুরনো লোহার গেটে ঝুলছে তালা। সেখানে প্রবেশ নিষিদ্ধ রেখেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। পাশেই আনসার ক্যাম্প। শুধু সুড়ঙ্গ নয়, এই বিশাল আকারের প্রাচীন নিদর্শনটি ঘিরে লোকমুখে প্রচলিত রহস্যগুলোর আজও কোনো স্পষ্ট উত্তর মেলেনি।

দুর্গটির নিরাপত্তায় নিয়োজিতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, লালবাগ কেল্লার নিচে রয়েছে অনেকগুলো সুড়ঙ্গ। এগুলো সুবেদারদের আমলে তৈরি। বিপদের সময় পালানোর জন্য এসব সুড়ঙ্গপথ। তবে একটি সুড়ঙ্গ এখনো বিদ্যমান, যার ভিতরে কেউ ঢুকলে তাকে আর ফিরে পাওয়া যায় না। অর্থাৎ কেউ এই সুড়ঙ্গের ভিতর প্রবেশ করলে সে আর ফিরে আসে না।

পরীক্ষা করার জন্য একবার দুটি কুকুরকে শেকলে বেঁধে সেই সুড়ঙ্গে নামানো হয়েছিল। শেকল ফেরত এলেও কুকুর দুটো কিন্তু ফিরে আসেনি। আবার লোকমুখে শোনা যায়, এই সুড়ঙ্গ দিয়ে পাশেই বুড়িগঙ্গা নদীতে যাওয়া যেত। সুড়ঙ্গমুখ থেকে বেরিয়েই নৌকায় উঠে যাওয়া যেত জিঞ্জিরা প্রাসাদে। আবার নদীর বাতাস অনুভবের জন্য ওই সময়ের সেনাপতিরা এই সুড়ঙ্গ ব্যবহার করতেন। তবে এসব কথাকে কল্পকাহিনী বলে দাবি করেছে লালবাগ কেল্লার কাস্টোডিয়ান কার্যালয়।

এখানকার লিটন নামে এক কর্মচারী জানান, এসব কথার কোনো দালিলিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে যুদ্ধের সময় মুঘল সেনারা যখন বুঝতেন পরাজয় কাছাকাছি, তখন তারা এই সুড়ঙ্গ দিয়ে দুর্গের দেয়াল পেরিয়ে যেতেন। সুড়ঙ্গপথের রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য আজ পর্যন্ত প্রত্নতাত্ত্বিক খননকাজ হয়নি। তাই এটি ঢাকার আদি বাসিন্দাদের কাছে এক বিরাট রহস্য। আজও এই সুড়ঙ্গের সামনে তারা জড়ো হয়ে দাঁড়ান। সাধারণের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় বা কৌতূহলবশত কেউ যাতে এর ভিতরে প্রবেশ না করে, সে জন্য সুড়ঙ্গমুখে ফটক নির্মাণ করে তাতে তালা দেওয়া হয়েছে বলে জানান আনসার সদস্য মোখলেছুর।

সুড়ঙ্গ সম্পর্কে যুক্তিগত মতামত

স্থাপত্যবিদদের মতে, এ পথটি প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে টঙ্গী নদীর সঙ্গে যুক্ত। আবার কেউ মনে করে, এটি একটি জলাধারের মুখ। এর ভেতরে একটি বড় চৌবাচ্চা আছে। মোঘলদের পতনের পর লালবাগ দুর্গ যখন সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয়ে যায়, তখন ঢাকাবাসীর সব আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় এই সুড়ঙ্গ। আর তখন থেকেই নানা মুখরোচক কাহিনী চালু হয় সুড়ঙ্গটি নিয়ে।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.