দরপতন থেকে বের হতে চান বিনিয়োগকারীরা
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: সাপ্তাহিক ব্যবধানে দেশের উভয় পুঁজিবাজারে সূচকের পতন ঘটেছে। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া ৪ কার্যদিবসের মধ্যে দুই দিন কমেছে সূচক। বাকি দুই কার্যদিবস সূচক বাড়লেও এর মাত্রা তুলনা মূলক কম ছিলো। এদিকে সূচক কিছুটা কমলেও বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। তবে টাকার অংকে গত সপ্তাহে লেনদেনের পরিমান কিছুটা কমেছে। আলোচিত সপ্তাহটিতে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৩২ কোটি ৬২ লাখ ৪ হাজার ৪৭১ টাকা। এছাড়া গত সপ্তাহে ডিএসই’র পিই রেশিও দাঁড়িয়েছে ১৪.৩৬ যার তার আগের সপ্তাহে ছিলো ১৫.৪৮।
সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সপ্তাহ শেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স সূচক কমেছে ০.০৯ শতাংশ বা ৪.৯৮ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ০.২৮ শতাংশ বা ৫.৪০ পয়েন্ট। অপরদিকে শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক কমেছে ০.৪৫ শতাংশ বা ৫.৬১ পয়েন্ট। আর সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৫৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৬টির কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৪৩টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির এবং লেনদেন হয়নি ৫টির। এগুলোর ওপর ভর করে গত সপ্তাহে লেনদেন মোট ১ হাজার ২৩২ কোটি ৬২ লাখ ৪ হাজার ৪৭১ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। তবে এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ১ হাজার ৬৭৩ কোটি ৪৯ লাখ ২৫ হাজার ৭৫৫ টাকার। সেই হিসাবে সমাপ্ত সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ২৬.৩৪ শতাংশ।
আর সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৪.১৬ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ১১.৩০ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ২.৯১ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে ১.৬৩ শতাংশ।
সপ্তাহ শেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সেচঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স ৩০.৬৫ পয়েন্ট বা ০.৩১ শতাংশ কমে সপ্তাহ শেষে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৮৪২ পয়েন্টে। আর সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে হাতবদল হওয়ার ২৮৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২৭টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১২৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টির। এগুলোর ওপর ভর করে বিদায়ী সপ্তাহে ৫২ কোটি ১০ লাখ ২৬ হাজার ৭৪৫ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু