অপরের সহযোগিতায় ‘স্বেচ্ছামৃত্যু’ চাইতে পারেন হকিং
শেয়ারবাজার ডেস্ক: অপরের সহযোগিতায় ‘স্বেচ্ছামৃত্যু’র মতো সিদ্ধান্তও নিতে পারেন বিশ্বনন্দিত পদার্থবিদ ও মহাকাশ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং। তিনি মনে করেন, যদি প্রচণ্ড শারীরিক যন্ত্রণার মধ্যে পড়েন কিংবা মনে করেন বিজ্ঞানে তার আর অবদান রাখার কোনো সম্ভাবনা নেই কিংবা নিজের জীবন অন্যের কাছে বোঝা হয়ে উঠেছে, তাহলে চিকিৎসকের সহায়তায় জীবন অবসানের কথা ভাবতে পারেন বিশ্বের সৃষ্টিরহস্য নিয়ে ব্যস্ত এই পদার্থবিদ ও মহাকাশ বিজ্ঞানী।
জানা যায়, বিবিসি প্রোগ্রামের সঙ্গে একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি হকিং এসব কথা বলেছেন। এই সাক্ষাৎকারটি ১৫ জুন সম্প্রচার হবে।
তবে হকিং মনে করেন এখনও অনেক বৈজ্ঞানিক গবেষণা বাকি রয়েছে তার। দীর্ঘদিন ধরেই মোটর নিউরন রোগে ভুগছেন তিনি।
৭৩ বছর বয়সী বিজ্ঞানী হকিং সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী কমেডিয়ান ডারা ও’ব্রায়েনকে বলেন, ‘কাউকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাঁচিয়ে রাখা আসলে অমর্যাদার ব্যাপার। আমি যদি তীব্র যন্ত্রণার মধ্যে থাকি কিংবা আমি আর কোনো অবদান রাখতে পারব না বলে মনে করি, তার ওপর আমার চারপাশের মানুষের কাঁধের বোঝা হয়ে যায়, তাহলে হয়তো অপরের সহযোগিতা নিয়ে আত্মহত্যার কথাই ভাবব।’
এ বিষয়ে ও’ব্রায়েন দাবি করেছেন, তার ওই অনুষ্ঠানে স্টিফেন হকিং অনেক বিষয়ে সরাসরি ও আন্তরিকভাবে কথা বলেছেন, যা মুগ্ধ করে দেবে যে কাউকেই। ও’ব্রায়েন নিজেও তাত্তি্বক পদার্থবিদ্যার উচ্চতর ডিগ্রিধারী ব্যক্তি। তবে এবারই যে হকিং অপরের সহযোগিতা নিয়ে আত্মহত্যার কথা বললেন, তা নয়। ২০১৪ সালে বিবিসির আরেকটি অনুষ্ঠানে আত্মহত্যার চেষ্টার কথা জানিয়েছিলেন। ১৯৮০ সালের মাঝামাঝি তার শ্বাসনালিতে অস্ত্রোপচারের পর তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘শ্বাস নেওয়া বন্ধ করে দিয়ে আমি একটু চেষ্টা করেছিলাম। তবে শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রতিবর্তীক্রিয়া অত্যধিক শক্তিশালী।’ আর সে কারণেই হকিং আত্মহত্যায় সে যাত্রায় সফল হতে পারেননি।
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের তাত্তি্বক মহাকাশবিজ্ঞানের গবেষণা পরিচালক হকিং জানান, যারা নিজের প্রিয়জনের ইচ্ছা অনুযায়ী মৃত্যুতে সহযোগিতা করেন তাদের বিচারের হাত থেকে মুক্তি দেওয়া উচিত।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু