এভাবে দেশে ফিরতে চাননি কোহলি
শেয়ারবাজার ডেস্ক: প্রথমবারের মতো বাবা হতে চলেছেন, কোনোভাবেই মাহেন্দ্রক্ষণটা হারাতে চান না।এভাবে দেশে ফিরতে চাননি বিরাট কোহলি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এমনিতেই একেকটা লড়াই যুদ্ধের সমান। সেই যুদ্ধের ময়দান ছেড়ে দলের নিয়মিত অধিনায়ক আগেভাগেই ফিরে যাচ্ছেন দেশে।
কোহলির এই সিদ্ধান্তে আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে অনেক। কপিল দেব থেকে শুরু করে সুনীল গাভাস্কার—নিন্দুকদের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন অনেকেই। তাও নিন্দুকদের মুখ বন্ধ করার একটা সুযোগ থাকত, যদি প্রথম টেস্টে ভারতকে জয়ের বন্দরে নিতে পারতেন কোহলি, যদি সিরিজের শুরুটা ভালো করে দিয়ে যেতে পারতেন। সেটা তো হয়নি-ই, উল্টো নিজেদের টেস্ট ইতিহাসের সর্বনিম্ন রানের লজ্জা জুটেছে ভারতীয়দের কপালে। অ্যাডিলেডে ভারতকে রীতিমতো নাকানিচুবানি খাইয়েছে স্বাগতিকেরা।
দলকে এই অবস্থায় ফেলে আজ অস্ট্রেলিয়া ছাড়ছেন কোহলি। বলার অপেক্ষা রাখে না, দলের প্রত্যেক সদস্যের মানসিক অবস্থা তেমন ভালো নেই। তবে ছাড়ার আগে দলকে উজ্জীবিত করার জন্য শেষ চেষ্টা হিসেবে একটা সভা ডেকেছেন ভারতের নিয়মিত এই অধিনায়ক।
জানা গেছে, কোহলি সবার সঙ্গে একত্রে একটা সভা তো করবেনই, দলের প্রত্যেক সদস্যের সঙ্গেও আলাদা আলাদাভাবে বসবেন। কানে জপে দেবেন জয়ের মন্ত্র। মনে আবারও জিগীষা জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করবেন। নিজে যেহেতু খেলতে পারছেন না, ২৬ তারিখে মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টের আগে সতীর্থরা যেন অন্য সব ক্ষেত্রে তাঁর কাছ থেকে সহযোগিতা পান, সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করবেন কোহলি।
টিম ম্যানেজমেন্টের এক সূত্র ইনসাইড স্পোর্টসকে জানিয়েছেন, ‘আমরা একটা টেস্ট খুব বাজেভাবে হারতেই পারি। কিন্তু এখনো আরও তিনটি টেস্ট বাকি আছে। বিরাট দলের সদস্যদের আলাদাভাবে ও সম্মিলিতভাবে অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করবে। স্বাভাবিকভাবেই দলের আত্মবিশ্বাস তাতে বেড়ে যাবে অনেক। বিরাটের বার্তাটা হবে পরিষ্কার, যত যা-ই হোক না কেন, অধিনায়ক তাদের পাশে আছে।’
শুধু তা–ই নয়, সিরিজের বাকি সময়টায় দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও সরব থাকবেন বিরাট, এমনটা জানা গেছে। ভারতের হয়ে পেসার মোহাম্মদ শামি খেলতে পারবেন না, এটা নিশ্চিত। ওদিকে দ্বিতীয় টেস্টেও অস্ট্রেলিয়া পাবে না ডেভিড ওয়ার্নারকে।
শেয়ারবাজার নিউজ/মি