ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের বিরুদ্ধে অর্থ লুণ্ঠনের অভিযোগ
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের বিরুদ্ধে অর্থ লুণ্ঠনের অভিযোগ করেছেন বিনিয়োগকারীরা। এছাড়া জিএমজি এয়ারলায়ন্সের মতো যেন এ কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের অর্থ লুটপাট করতে না পারে সেজন্য কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা। বুধবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি এ.কে.এম মিজান-উর-রশিদ চৌধুরী সাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি দেয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়,পুঁজিবাজারে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ২০১০ সালে তালিকাভুক্ত হয়ে আইপিওর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করে। এর পরের বছরই কোম্পানিটি রাইট ইস্যুর মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আরও ৩১৫ কোটি টাকা উত্তোলন করে। বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কোম্পানিটি এখনো পর্যন্ত কোনো ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিতে পারেনি। শুধুমাত্র স্টক ডিভিডেন্ড দিয়ে শেয়ার সংখ্যা বাড়িয়ে চলেছে। অন্যদিকে ব্যবসায় সম্প্রসারণের নামে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ অর্থ লুণ্ঠনের পায়তারা করছে। কারণ এ কোম্পানির পরিচালকদের হাতে মাত্র ৮.৪৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। অন্যদিকে কোম্পানির মোট শেয়ারের ৭১.৯৪ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের ঠকিয়ে অর্থ লুটপাট করে এখন কোম্পানিটি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ লুণ্ঠনের পায়তারা করছে। এক্ষেত্রে কোম্পানিটি ৬২৪ কোটি ৮০ লাখ ৮৮ হাজার টাকা নতুন করে অর্থ লুটপাটের চেষ্টা করছে। ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের পরিচালকদের হাতে ৩০ শতাংশ শেয়ার না রেখে আইন লঙ্ঘন করছে। নামেমাত্র শেয়ার ধরে রেখে বছরে পর বছর শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করছে কোম্পানির পরিচালকরা। অন্যদিকে গত ছয় মাস ধরে পুঁজিবাজারে এ কোম্পানির শেয়ার দর ফেসভ্যালুর নিচে লেনদেন হয়েছে। নতুন করে অর্থ লোপাটের জন্য কোম্পানিটি তাদের শেয়ার দরে প্রভাবিত করতে ভূমিকা রেখেছে। যে কারণে এখন এর শেয়ার দর ফেসভ্যালুর কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে।
তাই মহোদয়ের নিকট আবেদন,জিএমজি এয়ারলায়ন্স থেকে শিক্ষা নিয়ে এ কোম্পানিটির অর্থ লুণ্ঠনের পথ বন্ধ রেখে শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজান-উর-রশিদ চৌধুরী শেয়ারবাজার নিউজ ডটকমকে জানান, কোম্পানিটি তালিকাভুক্তির পর পুঁজিবাজার থেকে শুধু নিয়েই যাচ্ছে। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের এখন পর্যন্ত কিছু দিতে পারেনি। শুধু বছরের পর বছর স্টক ডিভিডেন্ড দিয়ে শেয়ারের সংখ্যা বাড়িয়ে যাচ্ছে। কোম্পানির পরিচালকরা ভঙ্গুর, ব্যবহার অনুপোযোগী বিমান কিনে নিজেদের পকেট ভরছে। ঠিক যেমনটি করে জিএমজি এয়ারলায়ন্স প্লেসমেন্ট শেয়ার বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করেছে। এখন ইউনাইটেড এয়ারওয়েজও বিনিয়োগকারীদের পথের ফকির বানানোর পায়তারা করছে। তাই নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে অনুরোধ ৩৩ লক্ষ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবেন।
উল্লেখ্য, উল্লেখিত চিঠিটির অনুলিপি প্রধানমন্ত্রী,অর্থমন্ত্রী,পরিকল্পনা মন্ত্রী,অর্থ মন্ত্রনালয়ের সচিব ও দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানো হয়েছে।
শেয়ারবাজারনিউজ/এম/সা