আজ: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৪ এপ্রিল ২০২১, শনিবার |

kidarkar

টাকা নিয়েছে সিরাম, তাই টিকা দিতে বাধ্য-পাপন

জাতীয় ডেস্ক: বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, সিরাম ইনিস্টিটিউটের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, আমাদের ৫০ লাখ টিকা পুরো রেডি করে রেখেছে। গত মাসে ৫০ লাখ পাঠানোর কথা ছিল। ওরা দিয়েছে ২০ লাখ। আমাদের সরকার অগ্রিম টাকা দিয়ে যেটা কিনে নিয়েছে এটা আটকানোর কোনো সুযোগ নেই। টাকা নিয়ে দেবে না, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না।

আজ শনিবার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

পাপন বলেন, ‘ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ আমাদের পাওয়ার কথা ১ কোটি ৫০ লাখ। আমরা পেয়েছি ৭০ লাখ। বাকী ৮০ লাখ ভ্যাকসিন কবে পাবো সেটা অনিশ্চিত। সরকার অগ্রীম টাকা দিয়েছে। সুতরাং যত দ্রুত সম্ভব বাকী ভ্যাকসিন দিতে হবে। তবে আমরা কবে বাকি ভ্যাকসিন পাবো এটা বলা খুবই কঠিন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সামনে আমাদের সেকেন্ড ডোজ শর্টেজ হয়ে এজন্য বাকী ভ্যাকসিন দ্রুত পেতে হবে। আমাদের সরকারের কাছে সিরাম ইনিস্টিটিউট লিখিতভাবে জানিয়েছে, ওদের সিইও ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সরকার আটকে রেখেছে, ছাড়পত্র দিচ্ছে না। কাজে আমি মনে করি, আমাদের সরকারের চুপ করে থাকার কোনো কারণ নেই। সরকারের বলা উচিত, ভ্যাকসিন অগ্রিম টাকা দিয়ে কিনেছি। আমাদের দিতেই হবে। এই ব্যাপারে জোরালোভাবে বলতে হবে, শক্ত স্টেপ নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বেক্সিমকোর মাধ্যমে সরকাররকে ভ্যাকসিন এনে দিতে সহায়তা করেছি। কিন্তু এখন যে পরিস্থিতি দেখছি, তাতে নিজেরা ভ্যাকসিন বানানো ছাড়া কোনো বিকল্প দেখছি না। আমি বুঝতে পারছি না, দেশের যেসব কোম্পানির ফ্যাসিলিটিজ আছে, সক্ষমতা আছে, তারা কেন এ ব্যাপারটা নিয়ে এগিয়ে আসছে না। তবে একটা জিনিস বলতে পারি, এ বছর আমরা বেক্সিমকো ফার্মা মনে করছি, লোকাল প্রোডাকশন ছাড়া কোনো পথ নেই। এটাও জোর দিয়ে বলতে পারি, এমন কোনো ওষুধ নেই যেটা বাংলাদেশের কোম্পানি বানাতে পারবে না।’

সিরাম সময়মতো ভ্যাকসিন সরবরাহ না করলে সরকার আইনি পদক্ষেপ নেবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পাপন বলেন, ‘আমাদের (বেক্সিমকো) এখানে কিছু করার নেই। সব কাজ ভাগ করা। সরকারের দায়িত্ব আগে টাকা দিয়ে টিকা বুক করতে হবে। সরকার সেটা করেছে। বেক্সিমকোর দায়িত্ব ছিল সেটা দেশে এনে ড্রিস্টিবিউট করা। সেটা করেছে। এখানে সব দায়িত্ব আমাদের। সিরামের কোনো বিষয় নিয়ে আমাদের ইস্যু নেই। ওরা যদি না দেয় সরকার আইনি পদক্ষেপ নিতে পারে। এটাও জরুরি না আবার। এখানে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমরা বিশ্বাস করি, ভারত বাংলাদেশের বন্ধু। সময় এসেছে সেটা ওদের দেখাতে হবে। আমরা দয়া চাচ্ছি না। আমার ন্যায্য পাওনা ভ্যাসকিন সেটা চাচ্ছি।’

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.