চাপ কাটিয়ে উত্থানে শেয়ারবাজার
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: শেয়ারবাজারে এসেছে প্রণোদনার ঋণ- বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন নির্দেশনা আর ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা মুদ্রানীতির চাপে গত দুই কার্যদিবস পতন হয় শেয়ারবাজারে। তৃতীয় দিন আজ বুধবার এসে সেই চাপ কেটেছে। উত্থানে ফিরেছে শেয়ারবাজার। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ৩৭ পয়েন্ট। দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৪১৭ পয়েন্টে।
শরিয়াহ সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে এক হাজার ৩৯৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ পয়েন্ট ১৪ পয়েন্টে বেড়ে অবস্থান করছে দুই হাজার ৩২৩ পয়েন্টে। তবে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কমেছে। আজ শেয়ারবাজারে লেনদেন হয়েছে ১৩ হাজার ৬০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। যা আগের দিন থেকে ১০১ কোটি ৯১ লাখ টাকা কম গতকাল লেনদেন হয়েছিলো ১৪ কোটি ৬২ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
বাজার বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মুদ্রানীতি নিয়ে শেয়ারবাজারে সব সময়ই আতঙ্ক থাকে। সংকোচন ও সম্প্রসারণ দুই ধরনের মুদ্রানীতিই হয়ে থাকে। তবে ব্যাংকিং সেক্টরের সুরক্ষায় বাংলাদেশ ব্যাংক সবসময়ই অনুৎপাদনশীল খাতের বিনিয়োগে ব্যাংকগুলোকে নিরুৎসাহিত করে থাকে।
তারা জানান, উৎপাদন না থাকায় বর্তমান পরিস্থিতিতে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি কম। ফলে দেখার বিষয় বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থনীতিকে সচল রাখতে কী ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। তবে যে উদ্যোগই গ্রহণ করুক না কেন, মুদ্রানীতি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যে ভুল ধারণা আছে, তারই প্রতিফলন এ সময়টিতে দেখা যায়।
উত্থানের দিন আজ ডিএসইতে ৩৭৫টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে। বেড়েছে ২১৮ কোম্পানির দর। কমেছে ১২২টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টি কোম্পানির দর।
এদিন দর বৃদ্ধিতে বীমা খাতের কোম্পানিগুলো এগিয়ে রয়েছে। ব্যাংক খাতের শেয়ার তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। তবে দর বৃদ্ধিতে ভালো অবস্থানে ছিল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলো।
অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৮৭ পয়েন্ট। সূচকটি ১৮ হাজার ৬২০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার।
১৩ হাজার ৬০ কোটি কখনো হয়েছে না কখনো হবে? ভুল ঠিক করলে ভাল হয়।
”শেয়ারবাজারে লেনদেন হয়েছে ১৩ হাজার ৬০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। যা আগের দিন থেকে ১০১ কোটি ৯১ লাখ টাকা কম গতকাল লেনদেন হয়েছিলো ১৪ কোটি ৬২ কোটি ৮১ লাখ টাকা।”’
এতো ভুল কেমনে হয় ??