মোট কমেছে ২৭ ব্যাংকের
খেলাপি ঋণ কমাতে পেরেছে পুঁজিবাজারের ১৭ ব্যাংক
শেয়ারবাজার ডেস্ক: গত মার্চ থেকে জুন প্রান্তিকে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি বাড়লেও ২৭টি ব্যাংক খেলাপি ঋণ কমাতে পেরেছে।
এর মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আছে ১৭টি। আর ১০টি এখনও তালিকাভুক্ত হয়নি। এর মধ্যে তিনটি করে আছে সরকারি ও বিশেষায়িত আর চারটি বেসরকারি।
পুঁজিবাজারের ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ তালিকাভুক্ত হয়নি, এমন ব্যাংকের তুলনায় এক তৃতীয়াংশের মতো। এর মধ্যে ১৯টি ব্যাংকের এই সাফল্য তা আরও কমিয়ে আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর ভিড়ে এনবিএলের ঋণ তিন মাসেই দুই হাজার কোটি টাকার বেশি বৃদ্ধি না পেলে পরিস্থিতি আরেকটু ভালো দেখাতে পারত।
পুঁজিবাজারে যত খেলাপি ঋণ তার অর্ধেক আবার তিনটি ব্যাংকে। এগুলো হলো এবি, রূপালী ও এনবিএল।
আর পুঁজিবাজারের ব্যাংকগুলোর মধ্যে শতকরা হারের দিকে সবচেয়ে বেশি খেলাপি আইসিবি ইসলামিকে। এরপর এবি আর তৃতীয় অবস্থানে রূপালী ব্যাংক। এর মধ্যে আইসিবি ও রূপালী অবস্থার উন্নতি করতে পেরেছে। কিন্তু অবনতি হয়েছে এবির।
আর খেলাপি ঋণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে অবনতি হয়েছে এনবিএলের। তাদের খেলাপি ঋণ এক লাফে ব্যাংকটির অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ ৫ শতাংশ থকে বেড়ে ১০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
মোট ঋণ ও খেলাপি কত
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, জুন পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১২ লাখ ১৩ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ৯৯ হাজার ২০৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ বিতরণকৃত ঋণের ৮ দশমিক ১৮ শতাংশ খেলাপি হয়ে গেছে।
এর মধ্যে পুঁজিবাজারের বাইরে থাকা ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে মোট ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৯৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি মোট ৫২ হাজার ৪৭৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ এসব ব্যাংকে খেলাপির হার ১৫.৫৬ শতাংশ।
অন্যদিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩২ ব্যাংক বিতরণ করেছে ৮ লাখ ৭৬ হাজার ৬৮ কোটি টাকার ঋণ। এর মধ্যে খেলাপির পরিমাণ ৪৬ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা। শতকরা হার ৫.৩৩ শতাংশ।
অর্থাৎ পুঁজিবাজারের ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণ তালিকাভুক্ত নয়, এমন ব্যাংকের তুলনায় এক তৃতীয়াংশ।
খেলাপি ঋণ কমাতে পেরেছে পুঁজিবাজারের যেসব ব্যাংক
আইসিবি ইসলামী
শতকরা হারের দিকে এই ব্যাংকটি খেলাপি ঋণ কমানোর দিক দিয়ে সবচেয়ে ভালো করেছে। জুন শেষে ব্যাংকটির মোট বিতরণ ৮৫৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ৬৬৪ কোটি। শতকরা হারে খেলাপি ৭২.৬৬ শতাংশ।
মার্চ শেষে ঋণ ছিল একই পরিমাণ, খেলাপি ছিল ৬৬৯ কোটি টাকা। সে সময় ঋণের ৭৮.১৮ শতাংশই ছিল খেলাপি।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ৫.৫২ শতাংশ।
শাহজালাল
জুন পর্যন্ত ব্যাংকটির মোট ঋণ ১৯ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ৭৫৩ কোটি টাকা, যা ঋণের ৩ দশমিক ৮১ শতাংশ।
মার্চে ১৯ হাজার ২৪৩ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে খেলাপি ছিল ৮৯৫ কোটি টাকা, যা ঋণের ৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ০.৮৫ শতাংশ।
ব্র্যাক
জুন পর্যন্ত ব্যাংকটি মোট বিতরণ করেছে ২৮ হাজার ১৩০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ১ হাজার ৩০ কোটি টাকা, যা ঋণের ৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
মার্চ শেষে ব্যাংকটি ২৭ হাজার ৩০১ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছিল। এর মধ্যে খেলাপি ১ হাজার ২১৫ কোটি টাকা, যা ঋণের ৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ০.৭৯ শতাংশ।
ট্রাস্ট
জুন শেষে ব্যাংকটির মোট ঋণ ২৩ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ১ হাজার ১২৫ কোটি টাকা, যা ঋণের ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
মার্চে ঋণ ছিল মোট ২১ হাজার ৭১৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ১ হাজার ১৮১ কোটি টাকা, যা ঋণের ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
তিন মাসে শতকরা হিসেবে খেলাপি কমেছে ০.৫৮ শতাংশ।
প্রিমিয়ার
জুন শেষে মোট বিতরণ ২২ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ৫৫২ কোটি টাকা, যা ঋণের ২ দশমিক ৪১ শতাংশ।
মার্চ শেষে ঋণ বিতরণ ছিল ২১ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ৬০৮ কোটি টাকা, যা ঋণের ২ দশমিক ৮২ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ০.৪১ শতাংশ।
পূবালী
মোট ঋণ ৩২ হাজার ২৬২ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ১ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকা, যা ঋণের ৪ দশমিক ১৩ শতাংশ।
মার্চ শেষে ৩১ হাজার ৮২ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে খেলাপি ছিল ১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা, যা ছিল ঋণের ৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ০.৪০ শতাংশ।
সাউথ বাংলা
পুঁজিবাজার তালিকাভুক্ত নতুন ব্যাংকটি জুন শেষে মোট ৫ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকার ঋণ দিয়েছে। এর মধ্যে খেলাপি ৩৩৯ কোটি টাকা, যা ঋণের ৫ দশমিক ৮১ শতাংশ।
মার্চ শেষে ঋণ ছিল ৫ হাজার ৭১৭ কোটি। এর মধ্যে খেলাপি ছিল ৩৪৯ কোটি টাকা, যা ঋণের ৬ দশমিক ১১ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ০.৩০ শতাংশ।
ইসলামী
জুন শেষে ব্যাংকটির মোট ঋণ ১ লাখ ৫ হাজার ৩৩৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ৩ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা, যা ঋণের ৩ দশমিক ৪০ শতাংশ।
মার্চ শেষে ঋণ ছিল ৯৭ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা। খেলাপি ছিল ৩ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা, যা ঋণের ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ০.২৭ শতাংশ।
আল আরাফাহ
ব্যাংকটি জুন পর্যন্ত ৩৩ হাজার ২৭৯ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি ১ হাজার ৩২২ কোটি টাকা, যা ঋণের ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
মার্চ শেষে ঋণ ছিল ৩১ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ছিল ১ হাজার ৩২৩ কোটি টাকা, যা ঋণের ৪ দশমিক ২০ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ০.২৩ শতাংশ।
রূপালী
পুঁজিবাজার তালিকাভুক্ত একমাত্র রাষ্ট্রীয় ব্যাংকটির জুন পর্যন্ত মোট ঋণ বিতরণ করেছে ৩৩ হাজার ৯৯ কোটি টাকা।
এর মধ্যে খেলাপির ৩ হাজার ৮৭২ কোটি টাকা, যা ঋণের ১১ দশমিক ৭০ শতাংশ।
মার্চ শেষে ৩২ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে খেলাপি ছিল ৩ হাজার ৮৮৬ কোটি টাকা, যা ঋণের ১১ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
ডিসেম্বরে খেলাপি ছিল ৩ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা। তখন ঋণের ১২ দশমিক ৭০ শতাংশ ছিল খেলাপি।
অর্থাৎ ছয় মাসে খেলাপি কমেছে ১ শতাংশ। আর সবশেষ তিন মাসে কমেছে ০.২৯ শতাংশ।
খেলাপি ঋণ কমাতে পারল ২৭ ব্যাংক, পুঁজিবাজারের ১৭টি
এক্সিম
জুন পর্যন্ত মোট ঋণ ৪১ হাজার ১৩৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ১ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা, যা ৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
মার্চে ৪০ হাজার ৩১২ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে খেলাপি ছিল ১ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা, যা ঋণের ৪ দশমিক ১৫ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি কমেছে ০.২০ শতাংশ।
এনআরবিসি
জুন শেষে মোট ঋণ ৮ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ২২৬ কোটি টাকা, যা ঋণের ২ দশমিক ৬২ শতাংশ।
মার্চে খেলাপি ছিল ২২২ কোটি টাকা, যা ঋণের ২ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ০.১৪ শতাংশ।
ডাচ্-বাংলা
জুন শেষে মোট বিতরণ ২৯ হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ৬৫৭ কোটি টাকা, যা ঋণের ২ দশমিক ২২ শতাংশ।
মার্চ শেষে খেলাপি ছিল ৬৫৩ কোটি টাকা, যা ঋণের ২ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ০.১৪ শতাংশ।
এসআইবিএল
ব্যাংকটির জুন পর্যন্ত ঋণ ৩০ হাজার ১৯৯ কোটি টাকা। খেলাপির পরিমাণ ১ হাজার ৬২১ কোটি টাকা, যা ঋণের ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
মার্চ পর্যন্ত ৩০ হাজার ১২৫ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে খেলাপি ছিল ১ হাজার ৬৩২ কোটি, যা ঋণের ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ০.০৫ শতাংশ।
এনসিসি
জুন পর্যন্ত মোট ঋণ ১৮ হাজার ২৮১ কোটি টাকা। খেলাপির পরিমাণ ৯৮১ কোটি টাকা, যা ঋণের ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
মার্চ শেষে ঋণ ছিল ১৭ হাজার ৯৬৯ কোটি টাকা। খেলাপি ছিল ৯৭৩ কোটি টাকা, যা ঋণের ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ০.০৫ শতাংশ।
আইএফআইসি
জুন শেষে মোট ঋণ ২৮ হাজার ৬৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ১ হাজার ১২৩ কোটি টাকা, যা ঋণের ৪ দশমিক ১০ শতাংশ।
মার্চ শেষে খেলাপি ছিল ১ হাজার ৮৯ কোটি টাকা, যা ছিল ঋণের ৪ দশমিক ০৫ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ০.০৫ শতাংশ।
প্রাইম
জুন শেষে মোট ঋণ ২৩ হাজার ৭৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ১ হাজার ১১২ কোটি টাকা, যা ঋণের ৪ দশমিক ৮২ শতাংশ।
মার্চ শেষে ঋণ ছিল ২২ হাজার ৯৯৩ কোটি টাকা। খেলাপি ছিল ১ হাজার ১১২ কোটি টাকা, যা ঋণের ৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ০.০২ শতাংশ।
পুঁজিবাজারের বাইরের যেসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণ কমেছে
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন তিনটি সরকারি, তিনটি বিশেষায়িত এবং ৪টি বেসরকারি ব্যাংকও খেলাপি ঋণ কমাতে পেরেছে।
এর মধ্যে শতকরা হারে সবচেয়ে বেশি সাফল্য দেখিয়েছে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক।
জুন শেষে মোট ৬ হাজার ২৮২ কোটি টাকার ঋণ দিয়েছে ব্যাংকটি। এর মধ্যে খেলাপি ১ হাজার ২১১ কোটি টাকা, যা ঋণের ১৯ দশমিক ২৯ শতাংশ।
মার্চে ঋণ ছিল ৬ হাজার ১৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ছিল ১ হাজার ৫১৬ কোটি টাকা, যা ঋণের ২৫ দশমিক ১৯ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ৫.৯ শতাংশ।
বিডিবিএল
জুন শেষে ব্যাংকটির মোট ঋণ ১ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ৬২৯ কোটি টাকা, যা ঋণের ৩৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
মার্চে ব্যাংকটি ঋণ ছিল ১ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা। খেলাপি ছিল ৬৫৮ কোটি টাকা, যা ঋণের ৩৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ২.২৮ শতাংশ।
খেলাপি ঋণ কমাতে পারল ২৭ ব্যাংক, পুঁজিবাজারের ১৭টি
পদ্মা
জুন শেষে ব্যাংকটির মোট ঋণ ৬ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ৩ হাজার ৫১৯ কোটি টাকা, যা ঋণের ৬১ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
এই ঋণের প্রায় সবই ফারমার্স ব্যাংক থাকার সময়কার। ব্যাংকটি পুনর্গঠন করে পদ্মা নামে যাত্রা শুরু করার পর থেকে অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।
মার্চে ব্যাংকটির ঋণ ছিল ৫ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা। তখন খেলাপি ছিল ৩ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৬৩ দশমিক ২৭ শতাংশ ছিল।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ১.৭২ শতাংশ।
বেসিক
জুন শেষে ব্যাংকটির ঋণের পরিমাণ ১৪ হাজার ৭৯৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ৭ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৫৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
মার্চে ব্যাংকটির ঋণ ছিল ১৪ হাজার ৬০১ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ছিল ৮ হাজার ৮০ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৫৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ১.৩৮ শতাংশ।
কৃষি
জুন শেষে ব্যাংকটির মোট ঋণ ২৫ হাজার ৪৬১ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ২ হাজার ৪০৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
মার্চে ঋণ ছিল ২৪ হাজার ২২১ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ছিল ২ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা ঋণের ১০ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
তিন মাসে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ কমেছে ০.৯৪ শতাংশ।
সোনালী
জুন শেষে ব্যাংকটি ৫৪ হাজার ৬০৪ কোটি টাকার ঋণ দিয়েছে। এর মধ্যে খেলাপি ১০ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ১৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
মার্চে ব্যাংকটির ঋণ ছিল ৫৩ হাজার ৯৬৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ছিল ১০ হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ১৯ দশমিক ৮০ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ০.৮৭ শতাংশ।
প্রবাসী কল্যাণ
জুন শেষে ব্যাংকটির মোট ঋণ ছিল ৪৬৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ৬৮ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ১৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
মার্চ শেষে ব্যাংকটির ঋণ ছিল ৩৫৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ছিল ৫৪ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ১৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ০.৫৫ শতাংশ।
মেঘনা
জুন শেষে ব্যাংকটি মোট ৪ হাজার ৩০৬ কোটি টাকার ঋণ দিয়েছে। এর মধ্যে খেলাপি ২২৫ কোটি টাকা, যা ঋণের ৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
মার্চ শেষে ঋণ ছিল ৪ হাজার ২১১ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ছিল ২৫১ কোটি টাকা, যা ঋণের ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ০.৩০ শতাংশ।
জনতা
জুন শেষে ব্যাংকটি ৫৮ হাজার ২২০ কোটি টাকার ঋণ দিয়েছে। এর মধ্যে খেলাপি ১৩ হাজার ৬৯২ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ২৩ দশমিক ৫২ শতাংশ।
মার্চে ব্যাংকটির ঋণ ছিল ৫৭ হাজার ৮২ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ছিল ১৩ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ২৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ০.২৫ শতাংশ।
ইউনিয়ন
জুন শেষে ব্যাংকটি ১৭ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকার ঋণ দিয়েছে। এর মধ্যে খেলাপি ৪২৮ কোটি টাকা, যা ঋণের ২ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
মার্চ শেষে ঋণ ছিল ১৭ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ৪২৮ কোটি টাকা, যা ঋণের ২ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ০.০৫ শতাংশ।
সীমান্ত
জুন শেষে ব্যাংকটির মোট ঋণ ৮৫৫ টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ৩ কোটি ৪ লাখ টাকা। ঋণের ০.৩৬ শতাংশ খেলাপি।
মার্চ শেষে ঋণ ছিল ৮৫৮ কোটি টাকা। খেলাপি ছিল ৩ কোটি ২ লাখ টাকা, যা ঋণের ০.৩৭ শতাংশ ছিল।
তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ০.০১ শতাংশ।
সূত্র: নিউজবাংলা