যে কারণে বাড়ছে ডলারের দাম
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: গত কয়েকদিন ধরেই খোলা বাজারে ডলারের দর ক্রমেই বাড়ছে। প্রতি ডলার দেশের খোলা বাজার বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকারও বেশি। ডলারের নিয়মিত দর বৃদ্ধি নিয়ে রীতিমতো আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে আন্তঃব্যাংক লেনদেনে (ব্যাংকগুলোর নিজেদের মধ্যে কেনাবেচা) ডলারের দর ৮৫ টাকা ৬৫ পয়সায় বেঁধে রাখা হয়েছে। তবে ব্যাংকগুলো নগদ ডলার বিক্রি করছে ৮৮ টাকার বেশি দরে। আর খোলা বাজারে এই দর ৯০ টাকা বা ৯০ টাকা ১০ পয়সা। অনেক জায়গা ডলার বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা ৪০ পয়সা পর্যন্ত।
হঠাৎ করে ডলারের দর এতো কেন বাড়ছে তা জানার চেষ্টা করেছে শেয়ারবাজারনিউজ।
বিষয়টি নিয়ে ব্যাংকাররা বলছেন, বিদেশগমন ও আমদানি বাড়ায় গত কিছুদিনে দেশে ডলারের চাহিদা বেড়ে গেছে। কিন্তু রেমিট্যান্স গেছে কমে। তারই প্রভাব দেখা যাচ্ছে মুদ্রাবাজারে।
কেউ কেউ বলছেন, ডলারের বিনিময় হার বেড়ে গেলে রপ্তানিকারক আর যারা দেশে রেমিট্যান্স পাঠান- তাদের লাভবান হওয়ার সুযোগ থাকে। কারণ একই পরিমাণ ডলার দেশে আশার পর বেশি টাকা পাওয়া যায়।
কিন্তু তাতে পণ্য আমদানির খরচ বেড়ে যায়, যার প্রভাব পড়ে বাজারে, সাধারণ মানুষকেও তার জের টানতে হয়।
জানা গেছে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের দর ছিল ৮৫ টাকা ৩৫ পয়সা। এক মাসের ব্যবধানে ২৭ অক্টোবর তা ৮৫ টাকা ৬৫ পয়সা হয়েছে।
আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে এক বছর আগে ২৭ অক্টোবর ডলার বিক্রি হয়েছিল ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায়। অর্থাৎ এক বছরে ব্যবধানে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে এক শতাংশ বেড়ে গেছে ডলারের দাম।
ডলার ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাইরে যাওয়ার জন্য হঠাৎ ডলারের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। সে তুলনায় হাতে হাতে দেশে ডলার আসছে না। ফলে দাম বেড়ে গেছে। হাতে হাতে ডলার দেশে না এলে এই ঊর্ধ্বগতি শিগগির থামবে না।
মতিঝিল এলাকার কয়েকটি এক্সচেঞ্জ হাউস ও খোলাবাজারের ব্যবসায়ীদের সাথে কথা হয় শেয়ারবাজারনিউজের। তারা বলছেন, মানুষ আর আগের মতো ডলার বিক্রি করতে আসছে না। তবে বিক্রি করতে না আসলেও প্রতিদিনই অনেক ক্রেতা ডলার কিনতে আসছেন। এই কারণে দাম বাড়ছেই।
আলতাফ নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, গতকাল আমি ৯০ টাকা দরে ডলার কিনে ৯০ টাকা ২০ পয়সা দরে বিক্রি করেছি।
গুলশানের একটি মানি এক্সচেঞ্জের মালিক গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকালে ৯০ টাকা ৪০ পয়সা দরে ডলার বিক্রি করছেন তিনি। গত ১৫ বছরে তিনি ডলারের দাম এতটা উঠতে দেখেননি।
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক সভাপতি ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেছেন, দেশে ডলারের চাহিদা হঠাৎ বেড়ে গেলেও যোগান সেভাবে বাড়েনি। তাই ডলারের দাম বেড়ে গেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে রেমিট্যান্স আসা কমে গেছে। ফলে ডলার কম আসছে। অন্যদিকে আমদানি বেশ বেড়ে গেছে। কিন্তু সেই হারে রপ্তানি কিন্তু বাড়েনি। ফলে ডলারের যোগান সেরকম না বাড়লেও চাহিদা বড়ে গেছে।
সৈয়দ মাহবুবুর বলেন, ডলারের চাহিদা বাড়ার আরেকটি বড় কারণ বিদেশগমণ ও পর্যটন। করোনাভাইরাসের বিধি নিষেধ কমতে শুরু করায় মানুষ দেশের বাইরে যাওয়া শুরু করেছে। সেজন্য তাদের ডলার কিনতে হচ্ছে। সেই চাপে আরো একধাপ ডলারের দাম বেড়ে গেছে।
ডলারের দর বৃদ্ধি নিয়ে অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল বলেন, ডলারের প্রাইস তো আমরা নির্ধারণ করিনি, এটা ফিক্সড না। এটা ডিমান্ড ও সাপ্লাইয়ের ওপর নির্ভর করে। ডিমান্ড যদি বেশি থাকে, আর সাপ্লাই যদি কম থাকে, তাহলে ডলারের দাম বাড়বে। এটা স্বাভাবিকভাবেই অ্যাডজাস্ট করে
Prices are always high for the foreign commodities. As we cannot produce more goods compared to rising population, so price gap is a prime factor, no ways to get better products at lower or competitive price. Remember as we earn less but we have to more, these r unwritten ethics.